বুধবার ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী। সংগৃহীত।

ভালো স্বাস্থ্যের জন্য হজমশক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হজমশক্তি যদি বাধাপ্রাপ্ত হয় তাহলে তা আমাদের গোটা শরীরের ওপরে প্রভাব ফেলে। হজমশক্তি ভালো করতে গেলে শোষণ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

হজম প্রক্রিয়ার তিনটি ধাপ থাকে। যেমন—
কী খাবার খাওয়া হচ্ছে।
সেই খাবার পরিপূর্ণ ভাবে হজম হওয়া।
হজমের পর সেটা দেহে শোষণ হওয়া।
এই তিনটি ধাপই দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
পুজোর সময় আমাদের খাওয়া দাওয়ার কোনও রুটিন বা নিয়ম থাকে না। আর ঠিক সেই কারণেই হজমের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা যায়। এই সময় বাইরের খাওয়া-দাওয়া প্রচুর পরিমাণে হয়। বলা যেতে পারে, উৎসবের দিনগুলিতে খাওয়া দাওয়ায় আমাদের ততটা নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এ সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা সাদা চাল বা সাদা ময়দার জিনিস বেশি খেয়ে ফেলি। সাদা চাল বা সাদা ময়দা আসলে পরিশোধিত হয়। আর তার প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়ে আমাদের পরিপাক ব্যবস্থায়। ফলে হজম ভালো হয় না, আর তার জন্য শরীরে বিভিন্ন রকমের অস্বস্তি দেখা যায়।

কিন্তু আমরা বাঙালিরা পুজোর সময় বাইরে খাওয়া-দাওয়া কোনওভাবেই বন্ধ করতে পারি না। তাই বাইরে খাওয়া-দাওয়া বজায় রেখে আর কী কী পরিবর্তন করলে হজমের সমস্যাটা এই সময় কিছুটা হলেও কমবে তা আমাদের জেনে রাখা দরকার।
আরও পড়ুন:

হেলদি ডায়েট: ফিট থাকতে হলে চিনি খাওয়া ছাড়তেই হবে? বিকল্প হিসাবে আর কী ব্যবহার করার চল রয়েছে?

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১৮: সুন্দরবনে বিচিত্র অবয়বের দেবতা জ্বরাসুর

 

শরীরচর্চা

সারাদিনে অন্তত ৩০ মিনিট প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। এতে আমাদের হজম ক্ষমতা ভালো হবে। শরীরও সতেজ থাকবে। এনার্জি বেশি পাওয়া যাবে।
 

পর্যাপ্ত ঘুম

সারারাত জেগে হোক বা সারা দিন ঘুরে ঠাকুর দেখা হোক পর্যাপ্ত ঘুম প্রতিদিন অবশ্য প্রয়োজনীয়। দিনে অন্তত ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন।

আরও পড়ুন:

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪২: অ্যান্টিবায়োটিক খেলেই গন্ডগোল?

পরিযায়ী মন, পর্ব-১১: ঘরের কাছে জলমহল—চাঁদনি জলটুঙ্গি

 

ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে

তাড়াহুড়োতে আছি বলে ভালো করে না চিবিয়ে খাওয়া, গিলেগিলে খাওয়া এই অভ্যাসগুলো ত্যাগ করতে হবে। ভালো করে চিবিয়ে খেলে নানান রকম উৎসেচক খাবারে মেশে, যার ফলে খাবারটা সহজেই পাচিত হয়।
 

গ্রিন টি

গ্রিন-টিতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হজমে সহায়ককারী উৎসেচকগুলির কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তাই হজম সংক্রান্ত সমস্যায় গ্রিন-টি একটা স্থায়ী সমাধান হতে পারে।
 

দই

দইতে উপস্থিত থাকে ভালো ব্যাকটিরিয়া বা প্রোবায়োটিক্স, হজমে সাহায্য করে। তাই খুব বেশি খাবার খাওয়ার পরে ঘরেপাতা টক দই হজমে ভীষণ ভালোভাবে সাহায্য করে। যার একটা খুব ভালো উদাহরণ হল রায়তা।

আরও পড়ুন:

ইতিহাস কথা কও, পর্ব-১৪: মধুপুর ধাম, বাণেশ্বর মন্দির ও ধলুয়াবাড়ি সিদ্ধ নাথ শিবমন্দির

কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-১০: রাজ ও স্প্যানিশ

 

কলা

কলাতে থাকা কার্বোহাইড্রেট হজম করা সহজ। বিশেষ করে পাকা কলা হজমে সহায়তা করে। কারণ এতে কাঁচাকলার তুলনায় কম পরিমাণে শ্বেতসার থাকে। তাই কলার রং যত বাদামি হবে হজমে তত বেশি সহায়তা করবে।
 

ডিম

ডিমের সাদা ও হলুদ অংশ সহজেই হজম করা যায়। ডিম পুষ্টির ভালো উৎস, যা হজম শক্তি ভালো রাখার পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখতেও সহায়তা করে। তবে ডিম সিদ্ধ করে খাওয়া ভালো।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

Skip to content