ফুচকা খেতে কার না ভালো লাগে! আর ফুচকা খাওয়ার সময় তেঁতুলের টক না হলে চলেই না। মুখরোচক খাবারগুলির মধ্যে স্বাদ বাড়াতে তেঁতুলের জুড়ি মেলা ভার। ঘরোয়া বিভিন্ন কাজেও তেতুল ব্যবহার করা হয়, যেমন কাঁসা বা পিতলের বাসন বা গয়না পরিষ্কার করতে। জানলে অবাক হবেন, তেঁতুলের পুষ্টিগুণও অনেক। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা তেঁতুলে মোট শক্তি ২৮৩ কিলো ক্যালোরি। এছাড়াও আছে চর্বি ০.১ গ্রাম, শর্করা ৬৬.৪ গ্রাম, ক্যালশিয়াম ১৭০ মিলিগ্রাম, আয়রন ১০.৯ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ৬০ মাইক্রোগ্রাম এবং ভিটামিন-সি ৩ মিলিগ্রাম।
একঝলকে জেনে নিন তেঁতুলের স্বাস্থ্যগুণ
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল
● তেঁতুল খেলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়। তেঁতুলের টক উপাদান গর্ভবতী নারীদের মর্নিংসিকনেস থেকে অনেকটাই মুক্তি দেয়। গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া নিরাপদ বলেই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তেঁতুলে থাকা নির্দিষ্ট কিছু প্রোটিন এসময় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে ব্লাড প্রেসার। তেঁতুলের পটাশিয়াম এবং আয়রন ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
বদ-হজমে
● গরমে কমবেশি অনেকেই বদহজমের সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে এক কাপ জলে তেঁতুল ভিজিয়ে সামান্য লবণ, চিনি বা গুড় মিশিয়ে খেলে বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। গ্যাসের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে তেঁতুল।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
● তেঁতুলে থাকা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান রক্তের শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ফলে ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সর্দি-কাশিতে
● রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে পারে তেঁতুল। ঋতু পরিবর্তনের সময় সর্দি-কাশি থেকে রেহাই পেতে গরম জলে তেঁতুল ও গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে দারুণ উপকার মেলে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
● তেঁতুলে থাকা ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে
● তেঁতুল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এটি দারুণ উপকারী।
ওজন কমাতে তেতুল
● ফাইবার সমৃদ্ধ ও কম চর্বিযুক্ত হওয়ায় তেঁতুল ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এটি ফ্ল্যাভোনয়েড ও পলিফেনল সমৃদ্ধ, যা বিপাকক্রিয়া বাড়ায় ও ওজন কমাতে সহায়তা করে।
অ্যানিমিয়া নিয়ন্ত্রণে
● রক্ত স্বল্পতা দূর করতেও একটি কার্যকরী উপাদান হল তেঁতুল। এতে প্রচুর আয়রন থাকে, যা মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২
* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।