ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।
কলা খেতে ভালোবাসেন? জানেন কি কীভাবে খেলে এই ফলেরই কার্যকারিতা বদলে যেতে পারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে?
কলা খেতে ভালোবাসেন এমন মানুষের কিন্তু অভাব নেই। সহজে, সস্তায় পুষ্টিকর ফল হিসাবে কলার জুড়ি মেলা ভার। তবে অনেক মানুষই কলাকে এড়িয়ে চলেন ওজন বৃদ্ধির ভয়ে। এটি একটি অত্যন্ত ভ্রান্ত ধারণা। কলা খাচ্ছেন কীভাবে তার ওপরে নির্ভর করে অপনার ওজন বাড়বে না কমবে।
কলার উপকারিতা
● একটি মাঝারি আকারের কলা আপনার শরীরে দৈনন্দিন আনুমানিক দশ শতাংশের মতো ফাইবার সরবরাহ করে থাকে এবং কলায় থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল যা আপনার হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
● কলায় উপস্থিত দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ফাইবারই ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কলা হল একটি উচ্চ ফাইবারযুক্ত ফল যার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মান কম হওয়ায় (৫১) এটি রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
● কলায় রয়েছে ট্রিপটোফেন, যেটি মূলত একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা স্মৃতি সংরক্ষণে সাহায্য করে থাকে। পাশাপাশি ট্রিপটোফেন নতুন জিনিস শেখার ও মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ায় এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
● লেকটিন, একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন যা কলায় পাওয়া যায়। লেকটিন মূলত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে যা শরীর থেকে ফ্রি-রাডিকাল নামে পরিচিত অণুগুলিকে অপসারণ করতে সাহায্য করে। কলায় উপস্থিত ভিটামিন সি-ও এই একই কাজ করে, যে কারণে লিউকোমিয়া হওয়ার প্রবণতা কমে।
● কলাতে রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম, ফোলেট এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যেগুলি আপনার হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। একটি মাঝারি আকারের কলা একজন ব্যক্তির শরীরে দৈনিক পটাশিয়ামের চাহিদার প্রায় নয় শতাংশ প্রদান করে, যা রক্তচাপ পরিচালনা করতে এবং কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমে চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
সংক্ষেপে বলা যেতে পারে যে, কলা হল একটি নিরাপদ এবং অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল যার জিআই মান কম থাকার কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এটি একটি সুষম এবং পরিমিত পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফল হিসাবে জায়গা করে নিতে পারে। এটি ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে, পাশাপাশি কলায় প্রচুর ক্যালোরি না থাকলেও কিন্তু এটি মানবশরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে।
কলার অপকারিতা
● কলার মতো উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার প্রদাহজনক অন্ত্রের রোগ (IBD)-এর মতো ব্যাধি, পেটের ফোলাভাব, গ্যাস, পেটে ক্র্যাম্প ইত্যাদির কারণ হতে পারে।
● আপনার রক্তে যদি পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু কলা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। পাশাপাশি কিডনির সমস্যা থাকলে এবং ‘বিটা ব্লকার’-এর মতো কোনও ওষুধ খেলেও কলা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
● কলা কিছু বিশেষ অ্যালার্জির ক্ষেত্রে ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে এবং আপনার যদি মাইগ্রেনের সমস্যা থাকে তবে কলা খাওয়া আপনার এড়িয়ে চলাই ভালো কারণ কলা মাইগ্রেনের সমস্যা বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে।
এইভাবে কলার পুষ্টিগুণ এবং সমস্যার দিকগুলি মাথায় রেখে কলা খেলে ওজন বৃদ্ধি বা অন্য কোনওরকম সমস্যার সম্মুখীন আপনাকে চট করে হতে হবে না।
একটি মাঝারি আকারের কলা থেকে আমরা পেতে পারি—
● ক্যালোরি: ৮৯
● মোট চর্বি: ০.৩ গ্রাম (এসএফএ: ০.১ গ্রাম, কোলেস্টেরল: ০ মিলিগ্রাম)
● সোডিয়াম: ১ মিলিগ্রাম
● পটাশিয়াম: ৩৫৮ মিলিগ্রাম
● কার্বোহাইড্রেট: ২৩ গ্রাম (ডায়েটারি ফাইবার: ২.৬ গ্রাম, প্রাকৃতিক চিনি: ১২ গ্রাম)
● প্রোটিন: ১.১ গ্রাম৷
(মানের উৎস: ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার)
যোগাযোগ: ৯৯৩২০২২১৫২
কলা খেতে ভালোবাসেন এমন মানুষের কিন্তু অভাব নেই। সহজে, সস্তায় পুষ্টিকর ফল হিসাবে কলার জুড়ি মেলা ভার। তবে অনেক মানুষই কলাকে এড়িয়ে চলেন ওজন বৃদ্ধির ভয়ে। এটি একটি অত্যন্ত ভ্রান্ত ধারণা। কলা খাচ্ছেন কীভাবে তার ওপরে নির্ভর করে অপনার ওজন বাড়বে না কমবে।
সংক্ষেপে বলা যেতে পারে যে, কলা হল একটি নিরাপদ এবং অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল যার জিআই মান কম থাকার কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এটি একটি সুষম এবং পরিমিত পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফল হিসাবে জায়গা করে নিতে পারে। এটি ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে, পাশাপাশি কলায় প্রচুর ক্যালোরি না থাকলেও কিন্তু এটি মানবশরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে।
এইভাবে কলার পুষ্টিগুণ এবং সমস্যার দিকগুলি মাথায় রেখে কলা খেলে ওজন বৃদ্ধি বা অন্য কোনওরকম সমস্যার সম্মুখীন আপনাকে চট করে হতে হবে না।
(মানের উৎস: ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার)
যোগাযোগ: ৯৯৩২০২২১৫২