শুক্রবার ৫ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

অ্যাসিডিটি, বদহজম, পেটে গ্যাস, পেটব্যথা, অরুচি ইত্যাদি বিভিন্ন হজম সংক্রান্ত সমস্যার কারণ হতে পারে গ্যাসট্রাইটিস নামক অসুখ থেকে। এই ধরনের সমস্যার জন্য যেমন দায়ী হেলিকোব্যাকটর পাইলোরির মতো এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া, তেমনি অতিরিক্ত তেল-ঝাল-মশালা এবং মানসিক চাপ উত্তেজনা রাগ বা অনিদ্রা থেকেও বাড়তে পারে, গ্যাস্ট্রাইটিসের প্রকোপ হতে পারে যে কোন বয়সের পুরুষ ও মহিলাদের।
এছাড়া ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের কারণেও হতে পারে গ্যাস্ট্রাইটিসের মতো সমস্যা। সময় মতো চিকিৎসা ও ডায়েট কন্ট্রোল না করলে অন্ত্রে জমে থাকা পেপসিন ও হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের ক্ষতিকর প্রভাবে পাকস্থলী ও অন্ত্রের গাত্র ফুটো হয়ে যেতে পারে। পাকস্থলীতে এই ক্ষত সৃষ্টি হলে গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং অন্ত্রে হলে একে ডিওডিনাল আলসার বলে। খাদ্যনালীতেও হতে পারে আলসার। আর দীর্ঘদিন ধরে এই আলসার বই বেড়ালে তা থেকে ক্যানসার হওয়াও বিচিত্র নয়।
আরও পড়ুন:

ফুচকা খাওয়া কি শরীরের জন্য আদৌও ভালো?

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫৩: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—খলসি ও করঞ্জা

 

গ্যাস্ট্রিক আলসারের খাদ্য চিকিৎসা

বারবার অল্প পরিমাণে সহজপাঠ্য খাবার খেতে হবে।
অতিরিক্ত তেল-ঝাল ও মশালাদার খাবার চলবে না।
রান্নার লাল লঙ্কা, ভাজা মশলা, গরম মশলা, হিং, ভাজা পেঁয়াজ ইত্যাদি উত্তেজক খাবার চলবে না।
অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।

আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৭০: পাভেল কোথায়?

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৪৯: রসিক স্বভাব মা সারদা

চলবে না অতিরিক্ত চা, কফি, সফট ড্রিংকস, অ্যালকোহল, স্মোকিং, আইসক্রিম এবং চিনি জাতীয় খাবার ও পানীয়।
ভুষিওয়ালা আটা, ফল ও সব্জির খোসা এবং দানা, কাঁচা স্যালাড এবং শাক, খোসাওয়ালা ডাল ইত্যাদিও রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে বাদ দিতে হবে।
ফুলকপি, মূলো, ধনেপাতা, রেডমিট, কাঁকড়া, চিংড়ি, সয়াবিন ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো।
এড়িয়ে চলতে হবে মানসিক চাপ, উত্তেজনা, রাগ, ভয় ও অনিদ্রা।
আরও পড়ুন:

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৪৬: রাজার নিয়ন্ত্রণহীন অনুচরেদের কুকর্মের দায় রাজাকেই নিতে হয়

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৩৪: পুণ্য আষাঢ়ের প্রথম দিবসে

 

গ্যাসট্রাইটিসে কী কী খাওয়া উচিত

গ্যাসট্রাইটিসে ভাত ও চাল জাতীয় খাবার উপকারী।
দুধের বদলে দইয়ের ঘোল, ছানা, ছানার জল, ডালের জল, চিজ, ডিম সেদ্ধ, পনির, মাখন ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
হালকা রান্না, বিভিন্ন ধরনের তাজা সব্জি, আপেল, কলা, আঙুর, সবেদা, আম, তরমুজ ইত্যাদি উপকারী।
ডায়েটে প্রোটিন, এ বি এবং সি ভিটামিনের উচ্চ চাহিদা মেটানোর জন্য মাছ, মাংসের মেটে, ডিম, পেঁপে, গাজর, কুমড়ো ইত্যাদি রাখা উচিত। মনে রাখতে হবে, দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য ডায়েটের কোনও বিকল্প নেই।

যোগাযোগ: ৯৮৩০২১৪৯৭১

* ডায়েট ফটাফট (Healthy Diet tips): শম্পা চক্রবর্তী (Shampa Chakrabarty), কনসালট্যান্ট ডায়েটিশিয়ান।

Skip to content