ছবি প্রতীকী
মস্তিষ্ক বৃদ্ধিতে
শিশুর মস্তিষ্কের অন্যতম উপাদান কলায় উপস্থিত। কলাতে থাকা পটাসিয়াম মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। এতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ঠিক থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কলা মনঃসংযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। কলার শেক বানিয়ে স্কুলে নিয়ে গেলে অথবা পড়াশোনা করার মাঝে খেলে উপকার পাওয়া যায়। কলার কেক বানিয়েও শিশুদের দেওয়া যেতে পারে।
রক্তাল্পতা রোধ
যাদের শরীরে লোহিত রক্তকণিকা ঠিকমতো উৎপাদন হয় না তারা রক্তাল্পতায় ভোগে বেশি। শিশুর ডায়েটে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন-বি১২ ও কপার যথেষ্ট পরিমাণে থাকা দরকার, যা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। কলা এই সব পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। তাই হিমোগ্লোবিন তৈরির পাশাপাশি অ্যানিমিয়া প্রতিরোধেও অত্যন্ত কার্যকর।
সরাসরি এনার্জি
শিশুরা সারাদিন ছোটাছুটি করে, দুরন্তপনা করে। তাই ওদের এনার্জি দরকার প্রচুর। সারাদিনের ক্লান্তির পর একটা কলা যদি তারা খায় তাহলে দ্রুত চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে। তাই শিশুদের সারাদিন চনমনে রাখতে রোজ একটা করে পাকা কলা খাওয়াতে হবে। বিশেষ করে শিশুকে খেলাধুলো করার পর একটা কলা খেতে দেওয়া খুবই ভালো অভ্যাস। এতে করে শিশু কখনওই ক্লান্ত হয়ে পড়বে না।
পৃথিবী ও ‘থিয়া’র সংঘর্ষে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চাঁদের জন্ম হয়েছিল? চাঞ্চল্যকর দাবি বিজ্ঞানীদের
আসছে নতুন ধারাবাহিক ‘নাগপঞ্চমী’! দেখা যাবে রাজদীপ ও সুস্মিতাকে? গুঞ্জন টলিপাড়ায়
হজমশক্তি ঠিক রাখে
কলার মধ্যে যে ফাইবার রয়েছে তা হজমশক্তি ঠিক রাখতে দারুণ কাজ করে। এতে ‘পেকটিন’ নামক ফাইবার রয়েছে। জলে দ্রবীভূত এই ফাইবার শরীরে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেটকে সিম্পল সুগারে পরিণত করে দিতে পারে। রোজ একটা করে কলা খেলে শিশুর মলের সমস্যাও প্রতিহত হয়। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা দূর করা সম্ভব হয়। এছাড়া একটি কলা পেট ভরিয়ে রাখে অনেকক্ষণ।
হাড় ও চোখের জন্য ভালো
কলাতে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। এই পটাশিয়াম, সোডিয়ামকে লঘু করে দেয়। শিশুর ডায়েটে সোডিয়াম থাকতেই পারে। কলা খেলে তা নিউট্রালাইজ হয়ে যায়। এর ফলে শিশুর হাড় শক্ত হয়। এছাড়া শিশুদের প্রস্রাবের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম বেরিয়ে যায়। কলা খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়, হাড় শক্ত হয়। এছাড়া রোজ কলা খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। কলাতে ভিটামিন-এ উপস্থিত, যা চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যে কোনও অসুখের হাত থেকে তাদের চোখের রেটিনা সুরক্ষিত রাখে।