শনিবার ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫


পুষ্টিকর মুলোশাক শরীরের জন্য বেশ ভালো। ছবি: সংগৃহীত।

শীতকালের একটি পুষ্টিকর সব্জি হল মুলোশাক। দামও কম। মুলোশাক ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট এবং ক্যালশিয়ামে পরিপূর্ণ। এই সব্জিকে শীতকালীন স্বাস্থ্যের সুপার হিরো বলা যেতে পারে। সস্তার এই শাকের পুষ্টিগুণ প্রচুর। তাই একে খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে।
 

মুলোশাক কেন খাবেন?

 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে

মুলোশাকে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি রাডিকেলকে নিরপেক্ষ করতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনে। স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। ফলস্বরূপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভীষণভাবে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন:

খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইলে পরিবর্তন এনে গ্যাস-অম্বল থেকে মুক্তি

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৭৯: সুন্দরবনের পাখি: টুনটুনি

 

হজমশক্তি বাড়ায়

পেটের সমস্যার জন্য একটি উপকারী খাবার হতে পারে এই মুলোশাক। এই শাকে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আপনার পরিপাকতন্ত্রকে মসৃণ করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজমকে বিদায় জানাতে নিয়মিত এই শাক খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে পেটের সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণে আসবে।

আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৯৪: পরবর্তী পদক্ষেপ

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-১০৪: আশ্রমের আনন্দময় পিকনিক

 

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

যারা রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার হতে পারে মুলোশাক। সবুজ রঙের এই শাক সোডিয়াম সমৃদ্ধ, যা রক্তচাপ স্থিতিশীল করার জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। আপনার হার্টও ভালো থাকবে মুলো শাক খেলে।
 

রক্ত পরিস্রুত করে

মুলোশাক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ। তাই এই শাক রক্ত থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে খুবই সাহায্য করে। রক্তে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে এবং ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতে এই শাক বেশ সাহায্য করে। এর জেরে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। কোষ ক্ষয়ে যাওয়া অথবা রক্তবাহিকার ক্ষতিও আটকে দিতে পারে এই মুলোশাক।

আরও পড়ুন:

গল্পবৃক্ষ, পর্ব-৯: আসছে আমার পাগলা ঘোড়া

গল্পবৃক্ষ, পর্ব-১১: কাঁটার মুকুট

 

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

মুলোশাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমের জন্য উপকারী। আবার কোষ্ঠকাঠিন্যও কমিয়ে আনে। স্বাভাবিক মলত্যাগ করতে সাহায্য করে।
 

ডায়াবেটিস দূরে রাখে

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মুলোশাক ভীষণ উপকারী। মুলোশাক রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বা যাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রয়েছে, তারা এই সময়ে নিয়মিত পাতে রাখতে পারেন মুলোশাক।

আরও পড়ুন:

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৭০: জন্মান্তরের সুরসাধক আরডি বর্মণ

ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৪১: রবীন্দ্রনাথ ও ব্রজেন্দ্র কিশোর

 

চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

মুলোশাকে আছে ‘লুটেইন’ এবং ‘জিশানথিন’ নামে দুই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এগুলি ক্যারোটিনয়েড, যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। তাই আমাদের দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। ‘ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন’ বা চোখের বার্ধক্যজনিত যে সমস্যা তৈরি হয়, তার গতিও ধীর করে দেয় এই মুলোশাক।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।/strong>

Skip to content