শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।

সামনেই তোমাদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। প্রস্তুতিও এখন প্রায় শেষের দিকে। এখন শুধু দরকার অনুশীলন। এই অনুশীলনটাকে আমরা কতকগুলো ধাপে ভাগ করে নিয়ে আলোচনা করব।

এবারে পরীক্ষায় ভালো নম্বর করার জন্য আমরা বাড়িতে যে অনুশীলন করি সেই অনুশীলনটাকে আমরা মূলত তিনটি অংশে ভাগ করে নিতে পারি—
প্রথমত, অধ্যায়ভিত্তিক বিষয়বস্তু ভালো করে বুঝে নেওয়া, যা ইতিমধ্যেই তোমরা অধ্যায়গুলি ভালোভাবে প্রস্তুত করে নিয়েছ।
দ্বিতীয়ত, প্রথম থেকেই বিভাগ অনুযায়ী নির্দিষ্ট একটি সময় বিভাজন তৈরি করে নেওয়া, কারণ যাতে আমরা পরীক্ষার সব প্রশ্নের উত্তর ভালো করে লিখে আসতে পারো এবং হাতে কিছুটা হলেও সময় রাখতে হবে যাতে উত্তরপত্রটি ভালো করে মিলিয়ে দেখে নিতে পারো। এক্ষেত্রে আমি তোমাদের বলব সারাদিনের মধ্যে সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সময়কে বেছে নাও। তাহলে দেখবে তোমাদের অনুশীলনও হবে সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রে ওই সময় পরীক্ষা দেওয়ার সময় তোমাদের ঘুম বা শারীরিক ক্লান্তি তোমাদের পরীক্ষার অন্তরায় হবে না।
তৃতীয়ত, খাতায় উপস্থাপনা। খাতায় উপস্থাপনার ব্যাপারে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।

উত্তর লেখার জন্য কিছু সাধারণ নির্দেশ
প্রশ্নপত্রে কোনও উত্তর লেখা যাবে না।
উত্তরপত্রে কোনও চিহ্ন অঙ্কন করা উচিত নয় যাতে তোমার উত্তরপত্রটি আলাদা করে চিহ্নিত করা যায়।
প্রত্যেকটি বিভাগের উত্তর সংক্ষিপ্ত ও যথাযথ ভাবে লিখতে হবে।
হাতের লেখা যথাসম্ভব পরিষ্কার করার চেষ্টা করবে।
উত্তর নিজের ভাষায় লেখা উচিত।
প্রশ্নের দাগ নম্বর লেখার ক্ষেত্রে সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
প্রতিটি বিভাগের প্রশ্নের উত্তর পরপর করার চেষ্টা করবে।
সব প্রশ্নের উত্তর যাতে সমমানের হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে।

●প্রশ্নপত্র পড়া ও নির্বাচনের ক্ষেত্রে খেয়াল রেখো
পুরো প্রশ্নপত্রটি মনোযোগ সহকারে ভালো করে পড়ে (বিশেষত বিভাগ ‘খ’ থেকে ‘ঙ’ পর্যন্ত) প্রশ্ন নির্বাচন করবে।
MCQ-এর প্রশ্ন আবশ্যিক ও বিকল্প না থাকায় সেটিকে সবশেষে পড়াই ভালো।
যে সংক্ষিপ্ত বা দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নগুলিতে বিভিন্ন Part Question রয়েছে সেগুলি যথাসম্ভব লেখার চেষ্টা করো।
যেসকল দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নে পয়েন্ট ভিত্তিক উত্তর দেওয়া যায়, সেগুলি লেখার চেষ্টা করো।
কোন প্রশ্নগুলির উত্তর করবে সেগুলোকে বেছে নিয়ে চিহ্নিত করে রাখো।

উত্তর লেখার সময় যে বিষয়গুলো মনে রাখবে

বিভাগ-ক

প্রশ্নের সঠিক দাগ নম্বর দিয়ে কেবলমাত্র উত্তরটি করলেই হবে।
প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর প্রশ্নের ক্রমানুযায়ী পরপর লিখবে। দুটি প্রশ্নের উত্তর একই লাইনের পাশাপাশি দুটি স্তম্ভের নাম লেখাই বাঞ্ছনীয়।

বিভাগ-খ

প্রশ্নের নির্দেশ অনুসারে যথাযথ উত্তর লিখবে।
যে সকল প্রশ্নের উত্তর কেবল একটি বা দুটি শব্দ সেই সকল উত্তরগুলি লেখার সময় বানানের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্ক হবে।

বিভাগ-গ

অনধিক ৩০টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখার চেষ্টা করবে।
সংজ্ঞা বা কাকে বলে এই ধরনের প্রশ্নের ক্ষেত্রে অবশ্যই ভাবে উদাহরণ দেওয়ার চেষ্টা করবে।
এই বিভাগে ছবি আবশ্যক না হলেও প্রয়োজনে দেওয়া যেতে পারে।

বিভাগ-ঘ

উত্তর লেখার ক্ষেত্রে যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দেবে।
কমপক্ষে তিনটি প্রধান পয়েন্টে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবে।
উত্তরের সপক্ষে প্রয়োজনীয় ছবি দেবে।
উত্তরের শুরুতে প্রাসঙ্গিক ভূমিকা দেবে।
পার্থক্য লেখার ক্ষেত্রে পার্থক্য বা তুলনার বিষয়টি বাঁদিকে একটি আলাদা স্তম্ভে উল্লেখ করে দেবে।

বিভাগ-ঙ

কমপক্ষে পাঁচটি প্রধান পয়েন্টে উত্তর লেখার চেষ্টা করবে।
সাধারণভাবে উত্তরের মূল হেডিংটি উত্তরপত্রের মাঝামাঝি অংশে (Center Aligned) এবং সাব-হেডিং (Left Aligned)গুলি লেখার বাঁদিকে করার চেষ্টা করবে।
উত্তর লেখার সময় যথাযথ ও প্রাসঙ্গিক উদাহরণ ও ছবি দেবে। ছবি আঁকার সময় কিছু কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে।
ছবিগুলিকে প্রাসঙ্গিক পয়েন্টের পাশে আঁকো এবং সেদিকে বক্স করে দাও।
ছবিগুলিকে দ্বিমাত্রিকভাবে (Two dimensional) আঁকার চেষ্টা করো।
আঁকা ছবিটি যেন দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
প্রতিটা ছবির Caption, Heading এবং Sub-Headingগুলো নির্দিষ্ট স্থানে ঠিক করে লিখবে।
ছবি আঁকার ক্ষেত্রে তোমরা পেনসিল বা রং পেনসিল ব্যবহার করতে পারো তবে মনে রাখতে হবে ছবিটা যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়।

বিভাগ-চ

পরীক্ষার সময় তোমাদের যে মানচিত্রটি দেওয়া হবে তাতে তোমরা প্রথমেই তোমাদের নিজের নাম, রোল নম্বর এবং কোশ্চেন-এর দাগ নাম্বারটা লিখে নেবে। এবারে মানচিত্র চিহ্নিতকরণ করার সময় যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে।
মানচিত্রে যে বিষয়গুলিকে চিহ্নিত করতে দেবে সেগুলিকে সঠিক প্রশ্নের দাগ নম্বর দিয়ে যথাসম্ভব সঠিক অবস্থান চিহ্নিত করার চেষ্টা করবে।
প্রতিটা বিষয়ের জন্য আলাদা প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার করবে।
মানচিত্রে প্রতীক চিহ্নের সাহায্যে নির্দিষ্ট বিষয় চিহ্নিত করার পরে বিষয়টি পাশেই লিখে দেবে।
মানচিত্রের ফাঁকা জায়গায় নির্দেশিকার ঘর তৈরি করে তার ভেতরে বিষয়ের জন্য ব্যবহৃত প্রতীক চিহ্ন ও তার পাশে নির্দিষ্ট বিষয়ের নাম সারিবদ্ধভাবে লিখে দেবে।

Skip to content