ছবি প্রতীকী
শব্দরূপ পঠনের প্রথমেই বিভক্তির অর্থ জানবে যা তোমরা ব্যাকরণ বইতেই পেয়ে যাবে। তারপর বচন সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট করবে।
‘নর’ শব্দরূপ-এর তলায় অনুরূপ শব্দগুলোর তালিকা লক্ষ করবে। এই একই ভাবে অ-কারান্ত ক্লীব লিঙ্গ, আ-কারান্ত স্ত্রী লিঙ্গ, উ, ঊ কারান্ত, ঋ কারান্ত পুং, স্ত্রী, ক্লীবলিঙ্গ শব্দগুলি পড়বে, তাহলে সরল অনুবাদ করতে সক্ষম হবে।
এরপর আসি সন্ধি প্রসঙ্গে, স্বরসন্ধি সম্পর্কে তোমাদের জ্ঞান থাকা খুবই প্রয়োজন।
এই ক্ষেত্রে সন্ধির নিয়মগুলো দেখে দেখে সন্ধি বিচ্ছেদ ও বিচ্ছিন্ন শব্দকে সন্ধিবদ্ধ করতে চেষ্টা করবে, যেমন ‘ প্রত্যেক’এই শব্দটি কীভাবে তৈরি হল?
প্রতি+ এক=প্রত্যেক, এর পিছনে যে নিয়ম পূর্বস্বর ‘ই’, পরস্বর ‘স্বরবর্ণ’ থাকলে দুই বর্ণের মিলনে ‘য ফলা’ হবে আর তা পূর্ববর্ণে যুক্ত হবে। এই নিয়ম খেয়াল রাখতে হবে।
অনুবাদ-এর ক্ষেত্রে সন্ধির উপযোগিতা
সন্ধি শব্দকে ছোট করতে ও শ্রুতিমধুর করতে সাহায্য করে। যেমন একটি বাক্য দিয়ে বোঝাই, ‘আমি বিদ্যালয়ে যাই’—এর অনুবাদ করতে গেলে বলা যায়, ‘গচ্ছাম্যহং বিদ্যালয়ম্’। তাহলে গচ্ছামি + অহম্। ই-কারের পর স্বরবর্ণ থাকায় ‘য-ফলা’ হল। শ্রুতিমধুরও হল।
এছাড়াও ক্রিয়াপদের কালের জ্ঞান থাকা খুব প্রয়োজন।
তোমাদের ধাতুর কাল অর্থাৎ বর্তমান, অতীত ও ভবিষ্যৎ কাল সম্পর্কে প্রথমেই জানতে হবে। অর্থাৎ বর্তমানকাল বোঝাতে সংস্কৃতে লট্ ল-কার, অতীতকাল বোঝাতে লঙ ল-কার, আর ভবিষ্যৎকাল বোঝাতে লৃট্ ল-কার হয়ে থাকে। এগুলো মন দিয়ে অভ্যাস করবে। ধাতুরূপের মধ্যে গম্, ভূ, স্থা, পঠ্, দৃশ্, খাদ্, দা ধাতু খুব প্রয়োজনীয়।
বর্ণপরিচয় ও শব্দরূপের, ধাতু রূপের, সন্ধির প্রয়োগ পরীক্ষাপত্রে কীভাবে প্রয়োগ করবে তার নমুনা দেওয়া হল—
বর্ণবিশ্লেষণং কুরু
শব্দরূপং লিখ
ধাতুরূপং লিখ
অনুবাদং কুরু
এইভাবে অনুশীলন করলে সংস্কৃত ভাষাটি খুব সহজেই শিখে নিতে পারবে।
তোমাদের সকলের সাফল্য কামনা করি।