২৩ বৈশাখ, ১৪৩২ মঙ্গলবার ৬ মে, ২০২৫

আলোকের ঝর্ণাধারায়

পর্ব-৯৬: মা সারদার প্রথম মন্ত্রশিষ্যা ছিলেন দুর্গাপুরীদেবী

পর্ব-৯৬: মা সারদার প্রথম মন্ত্রশিষ্যা ছিলেন দুর্গাপুরীদেবী

ঠাকুরের মহিলা ভক্তদের মধ্যে প্রথম শিষ্যা ছিলেন যেমন গৌরীমা, তেমনই শ্রীমার প্রথম শিষ্যা হলেন দুর্গাপুরী। শ্রীমার কাছে বাল্যকাল থেকেই তাঁর অবাধ যাতায়াত। শ্রীমা স্বেচ্ছায় তাঁকে বাল্যবয়সেই দীক্ষা দেন। চোদ্দ পনেরো বছর বয়সেই একান্তভাবে তাঁর আগ্রহে তিনি দুর্গাদেবীকে সন্ন্যাসদীক্ষা দেন। দুর্গাদেবী ছিলেন গৌরীমার পালিত কন্যা। তিনি আবাল্য সন্ন্যাসিনী ছিলেন।

read more
পর্ব-৯৫: ঠাকুর বলতেন—‘যে সয় সে রয়’

পর্ব-৯৫: ঠাকুর বলতেন—‘যে সয় সে রয়’

সরলাবালা যখন বোসপাড়া লেনে সিস্টার নিবেদিতার স্কুলে পড়তেন, তখন একদিন স্কুল ছুটির পর সুধীরাদিদি তাঁদের চার-পাঁচজনকে নিয়ে শ্রীমার বাড়িতে গেলেন। প্রসঙ্গত, সুধীরাদি নিবেদিতার সহকারিণী ছিলেন। তাঁর পাশে সবসময় থাকতেন। সুধীরাদি সরলাদের নিয়ে এলেন যখন, তখন সারদা মা ঠাকুরঘরে আসনে বসেছিলেন। আর কুসুমদি তাঁকে একটি বই পড়ে শোনাচ্ছেন। মেয়েরা তাঁকে প্রণাম করলে শ্রীমা তাদের বসতে বললেন।

read more
পর্ব-৯৪: ‘মহেশ্বরের অনন্ত ধৈর্য’

পর্ব-৯৪: ‘মহেশ্বরের অনন্ত ধৈর্য’

শ্রীমার বাড়িতে সন্ধ্যের সময় ‘কাশীখণ্ড’ পাঠ হত। একবার পাঠের পর স্বামী অরূপানন্দ মা সারদার কাছে জানতে চান যে, কাশীতে মৃত্যু হলে সবারই কি মুক্তি হয়? শ্রীমা বলেন যে, শাস্ত্রে বলে ‘হয়’। অরূপানন্দ বলেন যে, ঠাকুর তো কাশীতে দেখেছিলেন, শিব তারকব্রহ্ম মন্ত্র দেন। তা শ্রীমা সেখানে কি দেখলেন। শুনে শ্রীমা বলেন, ‘কি জানি বাপু, আমি তো কিছু দেখিনি’।

read more
পর্ব-৯৩: মা সারদার সঙ্গে সরলাদেবীর কাশীভ্রমণ

পর্ব-৯৩: মা সারদার সঙ্গে সরলাদেবীর কাশীভ্রমণ

বড়দিনের ছুটিতে মা সারদার কাছে থাকবেন বলে সুধীরাদি সরলাবালাদের নিয়ে কাশী যান। শ্রীমা তখন কাশীতে রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে দেখা হওয়ার পর তিনি যোগেনমা আসতে পারল না বলে আক্ষেপ করতে লাগলেন। যোগেনমার অসুখ হয়েছিল, তাই সরলাদেবীর বড় ভাবনা হয়েছিল। সুধীরাদি কিছুক্ষণ কথা বলে যে ভাড়াবাড়ি তাদের থাকার জন্য ঠিক করা হয়েছে, তা দেখতে গেলেন।

read more
পর্ব-৯২: শ্রীমার সঙ্গে এক মেমসাহেবের কথোপকথন

পর্ব-৯২: শ্রীমার সঙ্গে এক মেমসাহেবের কথোপকথন

আজ দুর্গাষ্টমী। শ্রীমায়ের চরণপুজোর জন্য তাঁর পায়ে ভক্তদের দেওয়া ফুলবেলপাতার স্তূপাকার হয়েছে। এমন সময়ে বহুদূর থেকে তাঁর কাছে তিনজন গরীব পুরুষ আর মহিলারা দর্শন করতে এসেছেন। তারা একবস্ত্রে ভিক্ষা করে টাকা জোগাড় করে পথের খরচ চালিয়ে এসেছেন। এদের মধ্যে একজন পুরুষভক্ত শ্রীমার সঙ্গে গোপনে কথা বলেই চলেছেন।

read more
পর্ব-৯১: গরীব-দুঃখী মানুষদের প্রতি শ্রীমার ছিল অসীম করুণা

পর্ব-৯১: গরীব-দুঃখী মানুষদের প্রতি শ্রীমার ছিল অসীম করুণা

মা সারদা তাঁর ইহজীবনের শেষের দিকে প্রায়ই অসুস্থ হতেন। তবে তাঁর ঠাকুরের মতোই শরীরের অসুস্থতা মনের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। ঠাকুরের স্নেহধন্য ভক্ত বলরাম বসুর পুত্র রামকৃষ্ণ বসু তাঁর দেহত্যাগের দু’চারদিন আগে একটি উইল করে যান। তখন শ্রীমা অসুস্থ হয়ে উদ্বোধনে ছিলেন। ওই উইল তৈরির পরদিন বিকেলেই শ্রীমার সেবিকা সরলাদেবী তাঁর কাছে উইলের কথা জানিয়ে বলেন যে, রামবাবু তাঁর উইলে ঠাকুরসেবা আর সাধুসেবার জন্য প্রচুর টাকার ব্যবস্থা করেছেন।

read more
পর্ব-৯o: মা সারদার কথায় ‘ঈশ্বর হলেন বালকস্বভাব’

পর্ব-৯o: মা সারদার কথায় ‘ঈশ্বর হলেন বালকস্বভাব’

একদিন সকালে উদ্বোধনে শ্রীমায়ের ঘরে স্বামী অরূপানন্দ তাঁকে বলেছিলেন যে, শ্রীচৈতন্য নারায়ণীকে আশীর্বাদ করেছিলেন, ‘নারায়ণী, তোমার কৃষ্ণে ভক্তি হোক’। তখন তিন-চার বছরের নারায়ণী ‘হা কৃষ্ণ’ বলে মাটিতে গড়াগড়ি দিতে লাগল। তিনি আরও বললেন যে, দেবর্ষি নারদের সিদ্ধিলাভের পর একটা পিঁপড়ে দেখে হঠাৎ কিরকম দয়া হল।

read more
পর্ব-৯১: গরীব-দুঃখী মানুষদের প্রতি শ্রীমার ছিল অসীম করুণা

পর্ব-৮৯: উদ্বোধনের ঠাকুরঘরে মা সারদার সঙ্গে স্বামী অরূপানন্দের কথোপকথন

উদ্বোধনে একদিন সকালে পুজোর ঘরে স্বামী অরূপানন্দ মা সারদাকে বললেন, ‘মা, যদি ঈশ্বর বলে কেউ থাকেন তাহলে এই জগতে এতো দুঃখকষ্ট কেন? তিনি কি দেখছেন না? তাঁর কি এসব দূর করবার শক্তি নেই?’ তখন শ্রীমা বললেন, ‘সমস্ত সৃষ্টিই সুখদুঃখময়। দুঃখ না থাকলে সুখ কি বোঝা যায়? আর সকলের সুখ হওয়া কি করে সম্ভব?

read more
পর্ব-৮৮: মা সারদার কাছে ভক্তের ঠাকুরের কথাশ্রবণ

পর্ব-৮৮: মা সারদার কাছে ভক্তের ঠাকুরের কথাশ্রবণ

সরযূদেবী রাধাষ্টমীর দিন মা সারদার সঙ্গে দেখা করতে এসে দেখেন যে, তিনি স্নানে যাবেন বলে তেল মাখছেন। এই সময়ে প্রণাম করতে নেই বলে তিনিও করেননি। লৌকিক জীবনে জগজ্জননীও লৌকিক মর্যাদা রক্ষা করে চলেন। মা সারদা গঙ্গাস্নান করে আসার পর তিনি তাঁর শ্রীচরণের পুজো করেন ফুলচন্দনাদি দিয়ে। শ্রীমা তাঁর পায়ে তুলসীপাতা দিতে নিষেধ করেন।

read more
পর্ব-৮৭: মা সারদার লিঙ্গপুজো

পর্ব-৮৭: মা সারদার লিঙ্গপুজো

শ্রীমা তখন কাশীতে রয়েছেন। স্বামী শান্তানন্দ তাঁকে বললেন যে, তাঁর তো সাধন, ভজনের শক্তি নেই। শ্রীমার চরণাশ্রিত তিনি। তখন শ্রীমা বললেন, ‘তোমার ভয় কি? ঠাকুর তোমার সন্ন্যাস রক্ষা করুন। ঠাকুরের কাজ ঠাকুর করবে আর তোমার সাধনভজন করবে। কাশী তোমাদের স্থান। সাধন মানে তাঁর চরণে মন সর্বদা রেখে তাঁর চিন্তায় ডুবে থাকা। সাধনের সময় নানা প্রলোভনের জিনিস দেখে ঠাকুর জড়সড় হতেন আর সে সব চাইতেন না।

read more
পর্ব-৮৬: এক সন্ধ্যায় মা সারদার বলা ভূতের গল্প

পর্ব-৮৬: এক সন্ধ্যায় মা সারদার বলা ভূতের গল্প

সরযূ সন্ধ্যার সময় শ্রীমাকে দেখতে এসেছে। মা সারদা একটা পাটিতে শুয়ে আছেন আর অন্য পাটিতে শুয়ে রাধু তাঁকে গল্প বলার জন্য পীড়াপীড়ি করছে। সরযূকে দেখে শ্রীমা বললেন, ‘একটা গল্প বলতো মা’। সরযূ এবার ভারি বিপদে পড়ে গেল, শ্রীমার কাছে সে কী গল্প বলবে ভেবে পেল না। সেদিন সে তার আগে পড়া মীরাবাঈয়ের গল্প বলল। মীরার একটি দোঁহা “বিন্ প্রেমসে নহি মিলে নন্দলালা” শুনে শ্রীমা বললেন, “আহা, আহা, তাই তো প্রেমভক্তি না হলে হয় না”। রাধুর কিন্তু এই গল্প ভালো লাগল না। শেষে সরলাবালা এসে তাকে দুয়ো আর সুয়োরানির গল্প বলতে রাধু খুশি হল।...

read more
পর্ব-৮৫: নিবেদিতা ছিলেন মা সারদার অপার স্নেহধন্যা

পর্ব-৮৫: নিবেদিতা ছিলেন মা সারদার অপার স্নেহধন্যা

শ্রীমা একদিন বেলা প্রায় চারটের সময় অনেক মহিলা ভক্তের সঙ্গে বসেছিলেন। তাদের মধ্যে শ্রীম’র স্ত্রী, ডাক্তার দুর্গাপদবাবুর স্ত্রী, গৌরীমা ও তাঁর পালিতা কন্যা, ‘দুর্গাদিদি’ বলে যাকে সরযূদেবী ডাকে আর বরেনবাবুর পিসি ছিলেন। শ্রীমা হাসিমুখে সকলের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি সরযূদেবীকে দেখে বসতে বললেন। সরযূদেবী গৌরীমাকে দিয়ে নিচে অফিস থেকে ‘নিবেদিতা’ ও ‘ভারতে বিবেকানন্দ’ বইদুটি আনালেন। তাঁর ইচ্ছা শ্রীমা ‘নিবেদিতা’ বই থেকে কিছু শোনেন।

read more
পর্ব-৮৪: মা সারদার বালিগঞ্জের বাসায় আগমন

পর্ব-৮৪: মা সারদার বালিগঞ্জের বাসায় আগমন

এক ভক্তের বালিগঞ্জের বাসায় শ্রীমা আজ যাবেন। আগে থেকেই সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাঁর জন্য আলাদা আসন, শ্বেতপাথরের বাসন কেনা হয়েছে। মা সারদার আগমনের আনন্দে রাতে তাদের ঘুমই হল না। ঠিক ছিল যে তিনি বিকেলে আসবেন। কোনও কারণে যদি তাঁর অন্য ইচ্ছা হয়, তাই সকালেই শ্রীমান শোকহরণ বাগবাজারে শ্রীমার বাড়িতে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করতে লাগল। আর বাকি ভক্তেরা সংসারের কাজ সকালবেলাতেই সেরে নিয়ে প্রস্তুত হয়ে রইল।

read more
পর্ব-৮৩: ‘গুরুকেও উচিত কথা বলা যায়, পাপ হয়না তাতে’

পর্ব-৮৩: ‘গুরুকেও উচিত কথা বলা যায়, পাপ হয়না তাতে’

শ্রীমায়ের ভক্ত সরযূদেবী একদিন বিকেলে শ্রীমার ঘরে এসে বসেছেন, এমন সময় গোলাপমা এসে বললেন, একটি সন্ন্যাসিনী তাঁর গুরুর দেনা শোধ করার জন্য প্রার্থী হয়ে কাশী থেকে এসেছেন। ‘তোমাকে কিছু দিতে হবে’। শ্রীমা তখন হেসে বললেন, ‘আমাকে ধরেছিল। আমি কি কারও কাছে টাকা চাইতে পারি মা? বললুম, থাকো, হয়ে যাবে’।

read more

Skip to content