১০ চৈত্র, ১৪৩১ সোমবার ২৪ মার্চ, ২০২৫

আলোকের ঝর্ণাধারায়

পর্ব-৯o: মা সারদার কথায় ‘ঈশ্বর হলেন বালকস্বভাব’

পর্ব-৯o: মা সারদার কথায় ‘ঈশ্বর হলেন বালকস্বভাব’

একদিন সকালে উদ্বোধনে শ্রীমায়ের ঘরে স্বামী অরূপানন্দ তাঁকে বলেছিলেন যে, শ্রীচৈতন্য নারায়ণীকে আশীর্বাদ করেছিলেন, ‘নারায়ণী, তোমার কৃষ্ণে ভক্তি হোক’। তখন তিন-চার বছরের নারায়ণী ‘হা কৃষ্ণ’ বলে মাটিতে গড়াগড়ি দিতে লাগল। তিনি আরও বললেন যে, দেবর্ষি নারদের সিদ্ধিলাভের পর একটা পিঁপড়ে দেখে হঠাৎ কিরকম দয়া হল।

read more
পর্ব-৮৯: উদ্বোধনের ঠাকুরঘরে মা সারদার সঙ্গে স্বামী অরূপানন্দের কথোপকথন

পর্ব-৮৯: উদ্বোধনের ঠাকুরঘরে মা সারদার সঙ্গে স্বামী অরূপানন্দের কথোপকথন

উদ্বোধনে একদিন সকালে পুজোর ঘরে স্বামী অরূপানন্দ মা সারদাকে বললেন, ‘মা, যদি ঈশ্বর বলে কেউ থাকেন তাহলে এই জগতে এতো দুঃখকষ্ট কেন? তিনি কি দেখছেন না? তাঁর কি এসব দূর করবার শক্তি নেই?’ তখন শ্রীমা বললেন, ‘সমস্ত সৃষ্টিই সুখদুঃখময়। দুঃখ না থাকলে সুখ কি বোঝা যায়? আর সকলের সুখ হওয়া কি করে সম্ভব?

read more
পর্ব-৮৮: মা সারদার কাছে ভক্তের ঠাকুরের কথাশ্রবণ

পর্ব-৮৮: মা সারদার কাছে ভক্তের ঠাকুরের কথাশ্রবণ

সরযূদেবী রাধাষ্টমীর দিন মা সারদার সঙ্গে দেখা করতে এসে দেখেন যে, তিনি স্নানে যাবেন বলে তেল মাখছেন। এই সময়ে প্রণাম করতে নেই বলে তিনিও করেননি। লৌকিক জীবনে জগজ্জননীও লৌকিক মর্যাদা রক্ষা করে চলেন। মা সারদা গঙ্গাস্নান করে আসার পর তিনি তাঁর শ্রীচরণের পুজো করেন ফুলচন্দনাদি দিয়ে। শ্রীমা তাঁর পায়ে তুলসীপাতা দিতে নিষেধ করেন।

read more
পর্ব-৮৭: মা সারদার লিঙ্গপুজো

পর্ব-৮৭: মা সারদার লিঙ্গপুজো

শ্রীমা তখন কাশীতে রয়েছেন। স্বামী শান্তানন্দ তাঁকে বললেন যে, তাঁর তো সাধন, ভজনের শক্তি নেই। শ্রীমার চরণাশ্রিত তিনি। তখন শ্রীমা বললেন, ‘তোমার ভয় কি? ঠাকুর তোমার সন্ন্যাস রক্ষা করুন। ঠাকুরের কাজ ঠাকুর করবে আর তোমার সাধনভজন করবে। কাশী তোমাদের স্থান। সাধন মানে তাঁর চরণে মন সর্বদা রেখে তাঁর চিন্তায় ডুবে থাকা। সাধনের সময় নানা প্রলোভনের জিনিস দেখে ঠাকুর জড়সড় হতেন আর সে সব চাইতেন না।

read more
পর্ব-৮৬: এক সন্ধ্যায় মা সারদার বলা ভূতের গল্প

পর্ব-৮৬: এক সন্ধ্যায় মা সারদার বলা ভূতের গল্প

সরযূ সন্ধ্যার সময় শ্রীমাকে দেখতে এসেছে। মা সারদা একটা পাটিতে শুয়ে আছেন আর অন্য পাটিতে শুয়ে রাধু তাঁকে গল্প বলার জন্য পীড়াপীড়ি করছে। সরযূকে দেখে শ্রীমা বললেন, ‘একটা গল্প বলতো মা’। সরযূ এবার ভারি বিপদে পড়ে গেল, শ্রীমার কাছে সে কী গল্প বলবে ভেবে পেল না। সেদিন সে তার আগে পড়া মীরাবাঈয়ের গল্প বলল। মীরার একটি দোঁহা “বিন্ প্রেমসে নহি মিলে নন্দলালা” শুনে শ্রীমা বললেন, “আহা, আহা, তাই তো প্রেমভক্তি না হলে হয় না”। রাধুর কিন্তু এই গল্প ভালো লাগল না। শেষে সরলাবালা এসে তাকে দুয়ো আর সুয়োরানির গল্প বলতে রাধু খুশি হল।...

read more
পর্ব-৮৫: নিবেদিতা ছিলেন মা সারদার অপার স্নেহধন্যা

পর্ব-৮৫: নিবেদিতা ছিলেন মা সারদার অপার স্নেহধন্যা

শ্রীমা একদিন বেলা প্রায় চারটের সময় অনেক মহিলা ভক্তের সঙ্গে বসেছিলেন। তাদের মধ্যে শ্রীম’র স্ত্রী, ডাক্তার দুর্গাপদবাবুর স্ত্রী, গৌরীমা ও তাঁর পালিতা কন্যা, ‘দুর্গাদিদি’ বলে যাকে সরযূদেবী ডাকে আর বরেনবাবুর পিসি ছিলেন। শ্রীমা হাসিমুখে সকলের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি সরযূদেবীকে দেখে বসতে বললেন। সরযূদেবী গৌরীমাকে দিয়ে নিচে অফিস থেকে ‘নিবেদিতা’ ও ‘ভারতে বিবেকানন্দ’ বইদুটি আনালেন। তাঁর ইচ্ছা শ্রীমা ‘নিবেদিতা’ বই থেকে কিছু শোনেন।

read more
পর্ব-৮৪: মা সারদার বালিগঞ্জের বাসায় আগমন

পর্ব-৮৪: মা সারদার বালিগঞ্জের বাসায় আগমন

এক ভক্তের বালিগঞ্জের বাসায় শ্রীমা আজ যাবেন। আগে থেকেই সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাঁর জন্য আলাদা আসন, শ্বেতপাথরের বাসন কেনা হয়েছে। মা সারদার আগমনের আনন্দে রাতে তাদের ঘুমই হল না। ঠিক ছিল যে তিনি বিকেলে আসবেন। কোনও কারণে যদি তাঁর অন্য ইচ্ছা হয়, তাই সকালেই শ্রীমান শোকহরণ বাগবাজারে শ্রীমার বাড়িতে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করতে লাগল। আর বাকি ভক্তেরা সংসারের কাজ সকালবেলাতেই সেরে নিয়ে প্রস্তুত হয়ে রইল।

read more
পর্ব-৮৩: ‘গুরুকেও উচিত কথা বলা যায়, পাপ হয়না তাতে’

পর্ব-৮৩: ‘গুরুকেও উচিত কথা বলা যায়, পাপ হয়না তাতে’

শ্রীমায়ের ভক্ত সরযূদেবী একদিন বিকেলে শ্রীমার ঘরে এসে বসেছেন, এমন সময় গোলাপমা এসে বললেন, একটি সন্ন্যাসিনী তাঁর গুরুর দেনা শোধ করার জন্য প্রার্থী হয়ে কাশী থেকে এসেছেন। ‘তোমাকে কিছু দিতে হবে’। শ্রীমা তখন হেসে বললেন, ‘আমাকে ধরেছিল। আমি কি কারও কাছে টাকা চাইতে পারি মা? বললুম, থাকো, হয়ে যাবে’।

read more
পর্ব-৮২: মা সারদার ভক্ত যোগেন মায়ের কথা

পর্ব-৮২: মা সারদার ভক্ত যোগেন মায়ের কথা

ঠাকুরের সঙ্গে পরিচিত হবার পর কিছুদিন পরে যোগেন মা একদিন দক্ষিণেশ্বরে আসেন। তিনি তাড়াতাড়িতে খেয়ে আসতে পারেননি জেনে ঠাকুর বলেন, ‘আহা, তুমি খাওনি, নহবতে যাও, সেখানে ভাত, তরকারি আছে, খাও গে’। সেই প্রথম দেখা হয় মা সারদার সঙ্গে যোগেনমার।

read more
পর্ব-৯o: মা সারদার কথায় ‘ঈশ্বর হলেন বালকস্বভাব’

পর্ব-৮১: ইষ্টদেবীরূপে মা সারদা

জাগতিক ব্যবহারে মা সারদা কারও মনে যাতে আঘাত না লাগে, তাই সকলের মন বুঝে চলতেন। অপরদিকে জগতের কোনও বস্তুরই তাঁর অপেক্ষা নেই। সর্বদা তাঁর আত্মস্থ অবস্থা। শ্রীমার এই অদ্ভুত ভাবাতীত অবস্থা যোগীনমা ও গোলাপমাই বেশিরভাগ সময় প্রত্যক্ষ করতেন। তাই তাঁদের মন সর্বদা যেন শ্রীমার কাছে রয়েছে। আর তাঁদের দৈনন্দিন ব্যবহারে একদিকে যেমন শ্রীমাকে ইষ্টদেবীজ্ঞানে শ্রদ্ধা ও ভক্তির অন্ত ছিল না।

read more
পর্ব-৮৬: এক সন্ধ্যায় মা সারদার বলা ভূতের গল্প

পর্ব-৮০: শ্রীশ্রীমার অনুগ্রহ

বদনগঞ্জ হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান শিক্ষক প্রবোধবাবু সেই অঞ্চলের সম্মানিত ব্যক্তি। কামারপুকুরে ঠাকুরের জন্মস্হানের কাছে ‘গোঁসাইয়ের ভিটা’ জমি কিনে মন্দির এবং আশ্রম প্রতিষ্ঠার জন্য আগ্রহী হয়ে শরৎ মহারাজ ওই জমির মালিক লাহাবাবুদের সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রবোধবাবুর উপর ভার দেন। প্রবোধবাবু তার জন্য বিশেষ চেষ্টা করেন। আর মাঝে মধ্যে কামারপুকুর যাতায়াত করেন। শ্রীমারও এই বিষয়ে আগ্রহ আছে।

read more
পর্ব-৭৯: বালিকাভাব মা সারদার

পর্ব-৭৯: বালিকাভাব মা সারদার

মা সারদা আহার হয়ে যাওয়ার পর বিশ্রাম করছেন। তখন শীতের বিকেল। বাইরের বাটিতে ডিসপেনসারিতে সেসময় স্বামী সারদেশানন্দ কাজ করছিলেন। হঠাৎ তিনি খবর পেলেন যে ‘মায়ের পেটে ব্যথা, খুব কষ্ট হচ্ছে’। তিনি ছুটে গিয়ে বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে জানতে চাইলেন, ‘কেমন ব্যথা, কখন হয়েছে, কেন হয়েছে, কোথায় কামড়াচ্ছে’ ইত্যাদি।

read more
পর্ব-৭৮: মা সারদার ‘পরকে আপন করা’

পর্ব-৭৮: মা সারদার ‘পরকে আপন করা’

মা সারদার নতুন বাড়ি হওয়ায় সেখানে দুধের অভাব দূর করার জন্য জ্ঞানানন্দ মহারাজ দুটি ভালো গরু কিনে আনেন। সুরেন্দ্রনাথ গুপ্ত এই গরু কেনার খরচ বহন করেন। তবে শ্রীমা সংসারী হয়েও সন্ন্যাসিনী ছিলেন, নিজের জন্য কোনো ঝঞ্ঝাট বাড়াতে চাইতেন না। নিজের জন্য আলাদা বাড়ির ইচ্ছাও তাঁর ছিল না। যখন তাঁর ভাইরা আলাদা হয়ে নিজেদের বাড়ি করে তখন কালীকুমার তাঁর দিদি শ্রীমার সাহায্যে ভালো বাড়ি, বৈঠকখানা করেন।

read more
পর্ব-৮২: মা সারদার ভক্ত যোগেন মায়ের কথা

পর্ব-৭৭: কোয়ালপাড়া আশ্রমের রাজেন মহারাজ ও মা সারদার প্রসাদী

ছেলেদের খাওয়া হয়ে গেলে শ্রীমা মেয়েদের খেতে দিয়ে তাদের সঙ্গে নিজেও একটু খেতেন। ভক্তদের আনা ফলমিষ্টি শ্রীমা সামান্যই মুখে দিতেন, সেসব অন্যেরাই পেত। ইদানীং তাঁর দাঁত গেছে, চারটি মুড়িই জল খাওয়া, তাও চিবোতে পারেন না। তাই আঁচলে মুড়ি নিয়ে একটা নোড়া দিয়ে সেগুলো গুঁড়ো করে নবাসনের বৌকে ডেকে বলেন, ‘বৌমা, দাও তো একটু নুন, লঙ্কা’।

read more
পর্ব-৭৬: বৎসল্যরসে মা সারদা

পর্ব-৭৬: বৎসল্যরসে মা সারদা

স্বামী সারদেশানন্দ ও জ্ঞানানন্দ বাল্যবন্ধু ছিলেন। তাদের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ছিল তা শ্রীমা জানতেন। তাঁরা দুজন শ্রীমার কাছে যখন আসতেন, তখন বাইরে বেশি লোকজন না থাকলে তিনি তাঁদের নিজের দুয়ারে বসিয়ে এক থালায় খেতে দিতেন। আনন্দে খুশি হয়ে নিজের হাতে তাঁদের খাবার পরিবেশন করতেন। তাঁরা দুজনও সহোদর শিশুর মতো পরম আনন্দে গল্পগুজব করতে করতে ধীরে ধীরে খেতেন।

read more

Skip to content