হনুমানকে দেখে ভীমসেন অত্যন্ত তৃপ্ত হন। আরও খুশি হন একথা শুনে যে, রামপত্নী সীতার কাছে এমনি বর পেয়েছিলেন হনুমান যে, যতদিন রামকথা পৃথিবীতে প্রচলিত থাকবে লোকমুখে ততদিনই হনুমানও রয়ে যাবেন এই পৃথিবীতে।
মহাভারতের আখ্যানমালা
পর্ব-৫৯: দ্রৌপদীর জন্য স্বর্গীয় ফুলের খোঁজে ভীমসেন কোনও পথে পাড়ি দিলেন!
পাণ্ডবভাইয়েরা একের পর এক তীর্থ দর্শন করতে করতে এগিয়ে চলেছেন। সকলেই অধীর হয়ে উঠেছেন, অর্জুনের সঙ্গে দেখা করবার জন্য। কিন্তু অর্জুন যে দেবস্থানে গিয়েছেন। সে স্থান সাধারণের গম্য নয়। অতি কঠোর সে যাত্রাপথ।
পর্ব-৫৮: দেবতাদের আশীর্বাদে আর অর্ব্বাবসুর প্রার্থনায় যবক্রীত বেদজ্ঞান লাভ করলেন
ভরদ্বাজ পুত্রের এমন করুণ মৃত্যুসংবাদ শুনে অত্যন্ত শোকগ্রস্ত হলেন। নানাভাবে বিলাপ করতে করতে তিনি বলে উঠলেন, ‘হে পুত্র! না পড়েও ব্রাহ্মণদের হৃদয়ে বেদের ঠাঁই হোক, এমনটাই প্রয়াস ছিল তোমার।’
পর্ব-৫৭: তপোলব্ধ বেদজ্ঞান দর্পী যবক্রীতের বিনাশ ডেকে আনল
প্রাচীনকালে বালধি নামধারী এক মুনি ছিলেন। তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী ছিলেন। তাঁর কোনও পুত্র ছিল না। তাই তিনি একসময় অত্যন্ত অস্থিরচিত্ত হয়ে পড়েন। একটি অমর পুত্রের কামনায় তিনি তীব্র তপস্যা আরম্ভ করেন।
পর্ব-৫৬: বেদজ্ঞান লাভের জন্য কঠোর তপস্যায় ব্রতী হলেন যবক্রীত
মুনি বলে চলেন, ‘হে পাণ্ডুপুত্র! স্থূলশিরা মুনির আশ্রমের পশেই এই রৈভ্যমুনির আশ্রম। এখানে ভরদ্বাজমুনির পুত্র যবক্রীত বিনষ্ট হয়েছিলেন। আজ তোমাদের আমি কবি যবক্রীতের কাহিনি শোনাবো।’
পর্ব-৫৫: বালক অষ্টাবক্রের বুদ্ধিবলে পিতা কহোড় পেলেন নবজীবন
লোমশমুনি আখ্যান শেষ করে যুধিষ্ঠিরের প্রতি দৃষ্টিপাত করে বলেন, ‘রাজন! এই সেই সমঙ্গা নদী। এখানেই স্নান করে অষ্টাবক্র স্বাভাবিক হয়েছিলেন। পবিত্র এই নদীতে তোমরা সকলে অবগাহন করো।’
পর্ব-৫৪: জ্ঞানবৃদ্ধ অষ্টাবক্র জনকের রাজ্যে প্রবেশের অনুমতি পেলেন?
রাজা বালকের বিদ্যাবত্তা পরীক্ষার ইচ্ছাতে তাকে কিছু প্রশ্ন করেন, যে প্রশ্নের উত্তর যথার্থ পণ্ডিতব্যক্তি ছাড়া কারো পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। বালক অষ্টাবক্র অবলীলায় সেসব প্রশ্নের উত্তর দেন। রাজা মুগ্ধ হন।
পর্ব-৫৩: পিতার অভিশাপ—জন্ম হল অষ্টাবক্র বালকের
অষ্টাবক্র জন্ম হওয়া অবধি পিতার পরিচয় জানতে পারলেন না। তিনি মাতামহ উদ্দালক পিতা বলে জানলেন আর শ্বেতকেতুকে নিজের ভাই বলে চিনলেন। এ ভাবে আরও কিছু বছর পেরিয়ে গেল।
পর্ব-৫২: উশীনরের ধর্মভাব পরীক্ষা করলেন বাজরূপী ইন্দ্র
রাজা আশ্রিত কপোতের মাথায় পরম আদরে হাত বুলিয়ে বাজপাখির দিকে ঘুরে তাকাতেই বাজপাখিটি মানুষের গলায় বলে ওঠে, ‘হে রাজন! এই বাজপাখিটি আমার ভক্ষ্য। অতএব আপনি ওটিকে আমার হাতে ছেড়ে দিন।’
পর্ব-৫১: তীর্থযাত্রার ফল কি তবে প্রশান্তি!
যুধিষ্ঠির লোমশমুনির কাছে সোমকরাজার সে আশ্চর্য কাহিনী শোনেন। তারপর ধীর পায়ে এগিয়ে চলেন সোমকরাজার আশ্রমের দিকে। যাঁর সদ্গুণের প্রভাব হয়তো এখনও মিশে রয়েছে এখানকার বাতাসে।
পর্ব-৫০: পিতার দেহ থেকে মান্ধাতার জন্ম হল
চ্যবনমুনি গম্ভীর স্বরে রাজাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন, ‘হে রাজন এ আপনি ঠিক কাজ করেননি। মন্ত্রপূত এই জলে আপনার পুত্রজন্মের জন্য তেজোযুক্ত ছিল।’
পর্ব-৪৯: চ্যবনমুনির প্রভাবে দেবরাজ হার মানলেন, সোমের ভাগ পেলেন অশ্বিনীকুমারদ্বয়
অশ্বিনীকুমারেরা বললেন, ‘তোমার মতো এমন সুন্দরী কন্যাকে তোমার পিতা কেনই বা বৃদ্ধের হাতে তুলে দিয়েছেন? তুমিই বা কীভাবে বৃদ্ধ পতিকে স্বীকার করে নিয়ে সংসারজীবন যাপন করছো। তুমি সুন্দরী।
পর্ব-৪৮: অবশেষে বৃদ্ধ চ্যবনমুনি শর্যাতিরাজার কন্যার পাণিপ্রার্থী হলেন
মুনি বললেন, ‘আমি আহত হয়েছি, এ সত্য। তবে আপনি যদি আপনার কন্যাকে আমার হাতে সম্প্রদান করেন, তবে আমি ক্ষমা করব।’
পর্ব-৪৭: রামকথা শ্রবণ— তীর্থে বাসের পুণ্যলাভ করলেন পাণ্ডবেরা
শুরু হল যুদ্ধ। প্রবল সে যুদ্ধে কার্ত্তবীর্যার্জুন মৃত্যুবরণ করলেন। অর্জুনের ছেলেরা এই সংবাদ পেয়ে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হল। তারা জমদগ্নিমুনিকে আক্রমণ করল এবং হত্যা করল।
পর্ব-৪৬: ভৃগুবংশে জন্ম নিলেন পরশুরাম— চরুবদলের ভুলে ক্ষত্রতেজ পেলেন তিনি
অনেকদিন পর পিতার দেখা পেয়ে পুত্র অত্যন্ত খুশি হলেন। পিতাও পুত্রকে বিবাহিত দেখে প্রাণভরে আশীর্বাদ করলেন। পুত্রবধূ সত্যবতীও সেবা করে প্রসন্ন করলেন শ্বশুরকে।