প্রাসাদের অন্তঃপুরে কী দেখলেন রাম? শুকনো মুখে দীন হীনের মতো পিতা দশরথকে, বিষন্নতা যেন ঘিরে রেখেছে তাঁকে। রানি কৈকেয়ীও আছেন সেখানে। সবিনয়ে পিতা ও মাতার পাদবন্দনা করলেন রাম।
মহাকাব্যের কথকতা
পর্ব-৩৯: রুরু ও প্রমদ্বরার কাহিনিতে সাপের ভূমিকায় কী লুকিয়ে আছে কোনও মহাভারতীয় শিক্ষা?
নৈমিষারণ্যে, মহর্ষি শৌনক আয়োজিত, দ্বাদশবর্ষব্যাপী যজ্ঞে, আগত সৌতি উগ্রশ্রবা, কথকঠাকুর। মুনিঋষিদের অনুরোধে, মহাভারতের বিচিত্র আখ্যান উপাখ্যান বর্ণনা করে চলেছেন তিনি।
পর্ব-৩৮: জনপ্রিয়তায় অনন্য, ভাবি অযোধ্যারাজের অভিষেকপর্ব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হবে? নাকি অপেক্ষা করছে কোনও দুর্ভোগ?
ভাবি রাজা রামচন্দ্রকে,তাঁর ভয়।সংজ্ঞাহীন, ভূমিশয্যায় শায়িত, রাজার দীনদশা রানীর মনে বিন্দুমাত্র রেখাপাত করল না। এ মানসিক দ্বন্দ্ব দু’জনেরই। রাজা ও রানির, সন্তানস্নেহের টানাপোড়েনের সংঘাত।
পর্ব-৩৭: ঈর্ষার বিষময় পরিণতি, বিচ্ছিন্নতাবোধ, ধ্বংস, এখনও রাজনীতিতে অব্যাহতগতিতে প্রবহমান, নয় কী?
রাজা সৈন্যবল দ্বারা দমননীতি অর্থাৎ দণ্ডনীতির প্রয়োগে শত্রুর মোকাবিলায় তৎপর থাকবেন। তিনি হস্তী,অশ্ব,রথ ও পদাতিক সৈন্যবলরূপ বাহিনীকে প্রচ্ছন্ন রাখবেন। নিজের বিবর অর্থাৎ ত্রুটি গোপন রাখবেন।
পর্ব-৩৬: রানি কৈকেয়ীর অযৌক্তিক প্রস্তাব—রাজা দশরথের বিষাদ কি রাজনীতির কোনও পাঠ?
পুত্রবৎসল, পত্নীর অনুগত,প্রজাসহায়, পরাক্রমী, বিশাল সাম্রাজ্যের অধীশ্বর, রাজা দশরথ আজ দ্বন্দ্বদীর্ণ। তিনি এক নারীর কৃপাপ্রার্থী হয়েছেন,যে নারী তার অতি প্রিয়পত্নী। তাঁর দুটি পা ধরে কাতর প্রার্থনা তাঁর, অন্যায় আবদারটি যেন রানি ফিরিয়ে নেন।
পর্ব-৩৫: কুরুবংশগতিরক্ষা এবং মুনি অণীমাণ্ডব্যের কাহিনিতে প্রাচীন ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত
ক্ষত্রিয়রাজাদের বংশবৃদ্ধির ইতিহাসে কুরুবংশবৃদ্ধির কাহিনিটি এক অনবদ্য সংযোজন। কুরুবংশরক্ষায় মহাভারতস্রষ্টা মহর্ষি কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাসের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
পর্ব-৩৪: কাম না বাৎসল্যরস, কার জয়? দূষণ সর্বত্র, রাজগৃহের মনে ও মনান্তরে
রাজা, রানির ক্রোধোদ্রেকের কারণ এমন কোন কাজতো করেননি।কেন রানির এই অকারণ ক্রোধ? কেউ কী অপবাদ দিয়েছেন তাঁকে? তাহলে কেউ নিশ্চয়ই তাঁর অপমানের কারণ।
পর্ব-৩৩: ঋষি দীর্ঘতমার কাহিনিতে প্রতিফলিত যুগচিত্র কি চিরন্তন? অন্য রঙে, অন্যরূপে?
ভরতবংশীয় কুরুপাণ্ডবদের অস্ত্রশিক্ষা সম্পন্ন হল। বৎসরকাল পরে, ধৃতরাষ্ট্র, যুধিষ্ঠিরকে, যুবরাজপদে অভিষিক্ত করলেন। ধৃতরাষ্ট্র ছিলেন জন্মান্ধ। তাঁর মায়ের কারণে এই দৃষ্টিহীনতা।
পর্ব-৩২: প্রাসাদ রাজনীতিতে দাসী মন্থরার প্রভাব, চিরন্তন মনস্তাত্বিক দূষণ, কোথায় নেই?
রামের রাজ্যাভিষেকের আনন্দমুখর অযোধ্যা নগরী। নানা দিক থেকে জনসমাগমে পরিপূর্ণ নগরীর রাজপথ। সুসজ্জিতা অযোধ্যা নগরী আনন্দোচ্ছ্বাসে মুখর।
পর্ব-৩১: গুরুদক্ষিণাদান, প্রতিহিংসার সুদূরপ্রসারী পরিণাম
কুরুপাণ্ডবকুমাররা এখন অস্ত্রবিদ্যায় সুশিক্ষিত। অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্য তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন যথোপযুক্ত নিষ্ঠায়। এবার গুরুদক্ষিণাদানের সময় আসন্ন। দক্ষিণাপ্রাপ্তির বিষয়ে কী কোন পরিকল্পনা কার্যকর করবার ইচ্ছা ছিল গুরুর মনে?
পর্ব-৩০: রামচন্দ্রের রাজ্যাভিষেক, আনন্দের আবহে রাজা দশরথের দুঃস্বপ্ন, কোন অশুভ সংকেত?
পুরবাসীরা সানন্দে দশরথপুত্র রামচন্দ্রের যৌবরাজ্যে অভিষেকের প্রস্তাবে অকুন্ঠিতচিত্তে সম্মতি জানালেন। অযোধ্যারাজ দশরথ, তাঁর মনোগত অভিপ্রায়ের সমর্থনে, প্রজারা সহমত জেনে, মন্ত্রীদের পরামর্শক্রমে, সিদ্ধান্তটি বাস্তবে রূপায়ণে মনোযোগী হলেন।
পর্ব-২৯: কুরুপাণ্ডবকুমারদের অস্ত্রবিদ্যা প্রদর্শনী কি কোনও বিদ্বেষের উৎস?
আচার্য দ্রোণের প্রশিক্ষণে কুরুপাণ্ডবরা অস্ত্রবিদ্যায় কুশলী হয়ে উঠলেন। আচার্যের শিক্ষা সার্থক কিনা, এবার পরীক্ষা আবশ্যক। মহারাজা ধৃতরাষ্ট্রের কাছে আবেদন দ্রোণাচার্যের।
পর্ব-২৮: শ্রীরামচন্দ্রের যৌবরাজ্যাভিষেক —প্রাচীন ভারতের রাজতন্ত্রে উদার মুক্তচিন্তার আবহ? না রাজাদের স্বেচ্ছাচার?
রামচন্দ্র একাধারে রাজগণের দুর্লভ গুণাবলীর আধার আবার লৌকিক প্রসিদ্ধ গুণেও অতুলনীয়। পিতা রাজা দশরথ মন্ত্রীগণের কাছে রামচন্দ্রকে যৌবরাজ্যে অধিষ্ঠিত করবার অভিলাষ ব্যক্ত করলেন।
পর্ব-২৭: মহর্ষি ভৃগু এবং অগ্নির শাপমুক্তি—কাহিনিতে তাত্ত্বিক দিকের অনুসন্ধান
ভৃগুঋষির অনুপস্থিতিতে তাঁর পত্নী পুলোমা আন্তরিকভাবে অতিথিসৎকারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাঁর আচরণে কোন অসঙ্গতি ছিল না। দুর্বৃত্তের ছলের অভাব হয় না। এর একটি যথার্থ উদাহরণ রাক্ষস পুলোমার আচরণ।
পর্ব-২৬: লৌকিকতার আবরণে অতিলৌকিক গুণবান নায়ক?
রামচন্দ্রের প্রতি পিতার স্নেহাতিশয্যের কারণ? পিতা দশরথের মতোই বহুগুণের আঁধার তিনি। সর্বদাই শান্ত, সমাহিতচিত্ত, বিনয়ী রামচন্দ্র কখনও কর্কশবাক্যে প্রত্যুত্তরে অভ্যস্ত নন।