।। গৌরব ও আভেরি ।।
আজকের সময় হলে সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিং এর প্রয়োজন হতো। তবে আজকের দিনেও বহু লোক সাইক্রিয়াটিক সাপোর্টকে পাগলের চিকিৎসা বলে ভাবেন। টুকটাক জ্বরজালি পেটখারাপ গাঁটে ব্যথার মতো মাঝেমধ্যে মনেরও যে মেরামতি লাগে সেটা সহজভাবে স্বীকার করতে এখনও মানুষ চায় না।
একমাত্র ননদ শান্তির ওপর সুজাতার রাগের একটা কারণ তার ছোট ছেলে গৌরবের সাফল্য। মামার বাড়ির আনুকূল্যে বেড়ে ওঠা গৌরব সেনগুপ্ত আইসিএসসি বা আইএসসির সময় থেকেই তার জাত চিনিয়ে দিয়েছে। কালিম্পং-এর সেন্ট অগাস্টিন’স বোর্ডিং স্কুলের পর প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইকনোমিকসে গ্রাজুয়েশন করল সৌরভ। মাস্টার্স করল বিখ্যাত ‘ডি’ স্কুলে। মানে দিল্লি স্কুল অব ইকনোমিকস। সৌরভের কথা লিখতে গিয়ে ডিএসই-র প্রাক্তনীদের লিস্টে চোখ বোলাতে গিয়ে অবাক হলো সুবর্ণ। অবাক হল অর্থশাস্ত্রের নানান পণ্ডিত ব্যক্তিদের সঙ্গে তার এক অত্যন্ত প্রিয় অভিনেতার নাম দেখে। আমাদের সকলের প্রিয় ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় মানে সুন্দর চট্টোপাধ্যায় দিল্লি স্কুল অব ইকনোমিকসের অ্যালামনি। তিনিও একইভাবে সৌরভের মতো প্রেসিডেন্সি কলেজ হয়ে দিল্লি। তবে সৌরভের থেকে উনি ১৮/১৯ বছরের সিনিয়র।
দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং, ২য় খণ্ড, পর্ব-৭: শ্যামসুন্দর হয়তো স্বর্গের কোনও অভিশপ্ত পুরুষ
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৫: কালাদেওর কিস্সা,
মহাভারতের আখ্যানমালা, পর্ব-৫৬: বেদজ্ঞান লাভের জন্য কঠোর তপস্যায় ব্রতী হলেন যবক্রীত
এত চিন্তা করো না সুজাতা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গিয়ে প্রণয়কে নিয়ে এসো। বাচ্চা ছেলে একা ওই পরিবেশে ভয় পাবে। প্রণয়কে কলকাতার স্কুলে ভর্তি করানোর দায়িত্ব আমি নিচ্ছি। তোমার সেজদার অনেক জানাশোনা আছে। একটা না একটা ব্যবস্থা হবে।
মার উদ্যোগে প্রণয়কে কলকাতার একটি আইসিএসসি স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হলো। খালি বাবা মাকে বলেছিল—
তোমার কথা রাখতে গিয়ে এ বয়েসে শেষে আবার যেন বেইজ্জত না হই। মা-বেটাকে একটু সামলে চলতে বলো। কালিম্পং থেকে কলকাতায় এসেছে। এখানে বজ্জাতি করলে ক্যানিং ছাড়িয়ে আরও দক্ষিণে যেতে হবে। ওখানে আমার পরিচিত বলতে রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বাবার এমন চূড়ান্ত ঠাট্টায় আমার মা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। তাই উপযুক্ত উত্তরও দিত।
বাঘেরা গল্প উপন্যাস না পড়লেও সিনেমা তো দেখতো । আমার এক দুটো ফ্যান নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে।
স্বাদে-আহ্লাদে: বিকেল হলেই জমিয়ে প্রেম বা আড্ডা, সঙ্গে যদি থাকে ভেজিটেবিল চপ
চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-১০: স্থাপত্য ছাড়িয়ে অভয়ারণ্য
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-২৬: যিনি নিরূপমা তিনিই ‘অনুপমা’
আভেরি দীক্ষিত, পড়াশোনা সব বম্বেতে। বাবা মাতুঙ্গার বিখ্যাত ভিজেটিআই-এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধ্যাপক। মেয়ে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে ইকোনমিক্স নিয়ে গ্রাজুয়েশন করল তারপর লন্ডন স্কুল অব ইকনোমিকস-এ মাস্টার্স করবার সময় সৌরভের সঙ্গে আলাপ ও ঘনিষ্ঠতা।
আভেরিরা বর্ধিষ্ণু পরিবার। ওরলিতে অনেকটা জায়গা নিয়ে তার দাদুর বাড়ি ছিল। দাদুর পৈতৃক ব্যবসা ছিল কটন মিলস-এর। সেই রমরমা না থাকলেও সৌরভের বিয়ের সময় আভেরির অন্যান্য কাকা-জেঠারা সেই ব্যবসা সামলাতো। আভেরির বাবা ছোট্ট থেকে পড়াশোনার জগতের মানুষ। তিনি মেজভাই। দাদা বা ভাইদের ব্যবসাতে মাথাও দেননি আর ব্যবসার রোজগারের কোন ভাগও তিনি নিতেন না। আভেরির দাদু বিষয়ী মানুষ ছিলেন। স্ত্রী বিয়োগের কিছুদিন পরেই তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি জানতেন তাঁর মেজছেলে মানে আভেরির বাবার পৈতৃক ব্যবসা বা টাকা-পয়সা নিয়ে খুব একটা উৎসাহ নেই সে পড়াশোনা ছাত্র রিসার্চ পেপার ইঞ্জিনিয়ারিং জগতের নতুন কাজকর্ম এসব নিয়ে সম্পূর্ণ একটা আলাদা দুনিয়ার মানুষ।তাই তিনি শরীর অসুস্থ হবার পরে পরেই বাড়ি-ব্যবসা সব আলাদা করে দিয়েছিলেন। যেহেতু ব্যবসার ভাগ নেয়নি তাই মেজো ছেলে ও তার পরিবারকে নিজের বাড়ির সবচেয়ে ভালো অংশটা লিখে দিয়েছিলেন। আর নাতনি আভেরির বিয়ের জন্যে আলাদা করে একটা টাকা ব্যাংকে ফিক্সড করে গিয়েছিলেন।
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১: শচীন ও মীরা দেব বর্মনের ঘর আলো করে এল এক ‘দেব শিশু’
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-১০: পেটের গ্যাস সারা দেহেই ঘুরে বেড়ায়!
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৪৬: প্রাণী জগতের অন্যতম দায়িত্বশীল বাবা হল ড্রাগন ফিশ
বসুন্ধরা এবং… ২য় খণ্ড/পর্ব-৯
গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম
‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন৷ বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন৷ ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না৷ গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে৷ ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com