নজর কাড়া হেয়ার স্টাইল।
আগে দেখেছি ‘যেমন খুশি সাজো’ খুবই জনপ্রিয় ছিল। কে কত ভালো সাজতে পারেন সেই অনুযায়ী পুরস্কার দেওয়া হতো। সাধারণত এটা স্কুলেই হতো। তবে পাড়ার অনুষ্ঠানে যে হতো না এমন নয়।
দিন বদলেছে, এখন কিন্তু শুধু তার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই ব্যাপারটি। বড়দিন, নতুন বছর, জন্মদিন, বর্ষপূর্তি, গেট টুগেদার, কিটি পার্টি কত বলব। যিনি নেমন্তন্ন করছেন তিনিই বলে দেবেন কী ধরনের সাজে সেজে আসতে হবে। আট থেকে আশি সবাই সেই ভাবেই সেজেগুজে যান।
দিন বদলেছে, এখন কিন্তু শুধু তার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই ব্যাপারটি। বড়দিন, নতুন বছর, জন্মদিন, বর্ষপূর্তি, গেট টুগেদার, কিটি পার্টি কত বলব। যিনি নেমন্তন্ন করছেন তিনিই বলে দেবেন কী ধরনের সাজে সেজে আসতে হবে। আট থেকে আশি সবাই সেই ভাবেই সেজেগুজে যান।
এটা একটা বড় অলিখিত প্রতিযোগিতা। কার ভাবনা কত অভিনব এবং নিমন্ত্রিতরা কত ভালোভাবে সেটা করতে পেরেছেন তার ওপরেও আবার নানান রকম উপহার থাকে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, এই ধরনের সাজ কখনওই কেউ বার বার করেন না। সাজে কে কত নতুনত্ব আনতে পারেন, সেটাই হল আসল মূল আকর্ষণ। এর নামকরণ করা হয়েছে ‘থিম পার্টি’।
এটি এতই জনপ্রিয় হয়েছে যে, প্রতি মাসে পাঁচ-সাতটা এরকম কাজ করেই থাকি। তারিখ বুকিং এবং কী থিম হবে সেটা আমাকে বলা হয়। এর জন্য খরচে করতে কোন রকম দ্বিধা করেন না কেউই।
এটি এতই জনপ্রিয় হয়েছে যে, প্রতি মাসে পাঁচ-সাতটা এরকম কাজ করেই থাকি। তারিখ বুকিং এবং কী থিম হবে সেটা আমাকে বলা হয়। এর জন্য খরচে করতে কোন রকম দ্বিধা করেন না কেউই।
আরও পড়ুন:
সাজকাহন: স্টাইলিশ শাড়ি পরার হরেক কায়দা আছে, কিন্তু এ ভাবে শাড়ি পরা যায়, জানতেন?
ছোটদের যত্নে: বাচ্চা খেতেই চায় না? কী করে খিদে বাড়াবেন? কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন? জানুন শিশু বিশেষজ্ঞের মতামত
‘মেককাপ ডিজাইনার’ হিসেবে আমার প্রথম কাজ যিনি সাজবেন তার চেহারা, চুল, মুখের গঠন, গায়ের রং সব কিছু দেখে তারপর স্কেচ করা। কী কী প্রয়োজন সেগুলো কেনা বা তৈরি করানো ইত্যাদি কাজও করতে হয়।
এখানে থিম ছিল নিজস্ব চুলের গঠন পরিবর্তন করা। অর্থাৎ যাঁর যেমন চুল হোক না কেন তাঁর চুলকে অন্যভাবে পরিবর্তন করতে হবে। এই ছোট্ট মেয়েটির চুলের গঠন ‘ওএভি’, মানে ঢেউ খেলানো, না সোজা না কোঁচকানো। চুলটা বেশ মোটা এবং চুলের স্বাস্থ্য খুব ভালো।
ব্যক্তিগতভাবে ছোট মেয়েদের চুলের উপর কোনও রকম কেমিকেল ট্রিটমেন্ট আমি করি না। অর্থাৎ পার্মানেন্ট স্ট্রেটনিং, স্মথনিং, পার্মিং বা হেয়ার কালার। তাই যে কটা স্টাইল দেখালাম সবগুলোই টেম্পোরারি। স্নান বা শ্যাম্পু করলে চুল আগের মতো হয়ে যাবে।
এখানে থিম ছিল নিজস্ব চুলের গঠন পরিবর্তন করা। অর্থাৎ যাঁর যেমন চুল হোক না কেন তাঁর চুলকে অন্যভাবে পরিবর্তন করতে হবে। এই ছোট্ট মেয়েটির চুলের গঠন ‘ওএভি’, মানে ঢেউ খেলানো, না সোজা না কোঁচকানো। চুলটা বেশ মোটা এবং চুলের স্বাস্থ্য খুব ভালো।
ব্যক্তিগতভাবে ছোট মেয়েদের চুলের উপর কোনও রকম কেমিকেল ট্রিটমেন্ট আমি করি না। অর্থাৎ পার্মানেন্ট স্ট্রেটনিং, স্মথনিং, পার্মিং বা হেয়ার কালার। তাই যে কটা স্টাইল দেখালাম সবগুলোই টেম্পোরারি। স্নান বা শ্যাম্পু করলে চুল আগের মতো হয়ে যাবে।
এ ভাবে পর পর তিন ধাপে এই হেয়ার স্টাইল করতে হবে।
স্টাইল-১
স্ট্রেটনার (মেশিন) দিয়ে চুলকে স্ট্রেটনিং করা হয়েছে।
স্টাইল-২
চুলের টং (মেশিন) দিয়ে সরু সরু চুলের পার্টিং বার করে টঙের সাহায্যে স্পাইরাল করা হয়েছে।
স্টাইল-৩
যেভাবে স্টেপ বাই স্টেপ দেখানো হয়েছে অর্থাৎ চুলটা একসঙ্গে মাথার উপর তুলে কেচার দিয়ে আটকে সেই চুলটাকে পাকিয়ে খোপার করেছি।
আরও পড়ুন:
ফল কালারের রূপ-মাধুরী, পর্ব-৯: নীল আকাশ, রঙিন ফল কালার, হ্রদের জলে তার প্রতিচ্ছবি…ঠিক যেন রূপকথার গল্প
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৩৬: শারদীয় সংখ্যায় লিখে পাওয়া অর্থ বন্যাপীড়িত মানুষের কল্যাণে
পার্মানেন্ট হেয়ার কালার না করে টেম্পোরারি কালার ব্যবহার করেছি। শ্যাম্পু করলেই স্বাভাবিক চুল ফিরে আসবে।
কেশই হল বেশ
দিন রাতের মতো এটাই সত্যি। বাচ্চা বা বুড়ো যাইহোক না কেন, চুলের ওপর এমন কিছু করা উচিত নয়, যা চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট করে দেয়। যে কোনও স্টাইলের প্রথম পদক্ষেপ সেটা খেয়াল রেখে কাজ করা।
* সাজকাহন (Makeup and Beauty) : গৌরী বোস (Gouri Bose) শাকম্ভরী বডি অ্যান্ড বিউটি ক্লিনিক-এর প্রধান, যোগাযোগ : ঠিকানা: ২০৩, এপিসি রোড, শ্যামবাজার ফাইভ পয়েন্ট, কলকাতা-৪, মোবাইল: ৯১৬৩৪-১৪৪৪৩, হোয়াটসঅ্যাপ: ৭০০৩৮৯৩৮৮৩।