রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

ডিম খেতে ভালবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ দুষ্কর। সকালের জলখাবারের পাত থেকে শুরু করে নানা ভাবেই নানা পদ হিসেবে ডিম উপস্থিত থাকে আমাদের পাতে। বাড়ির খুদে সদস্যের টিফিনেও ডিমের জুড়ি মেলা ভার। তবে ঠিক কী ভাবে এই ডিম খেলে তার পূর্ণ পুষ্টিগুণ পুরোটা বজায় থাকে তা জেনে ডিম খেলে শরীরের যেমন কোনও ক্ষতি হয় না, তেমনই শিশুর পুষ্টিলাভ সম্পর্কেও অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকা সম্ভব হয়। জেনে নেওয়া যাক ঠিক কোন কোন পদ্ধতিতে ডিম রান্না করলে তার থেকে পূর্ণ পুষ্টিগুণ পাওয়া জেতে পারে।
 

হাফ বয়েল

ডিমের বাইরের সাদা অংশ সুসিদ্ধ হলেও ভিতরের কুসুম আধসিদ্ধ, এমন ডিমকেই স্বাস্থ্যকর বলে দাবি করেন চিকিৎসকরা। আগুনের আঁচ ডিমের ভিতর থাকা ক্ষতিকর জীবাণুদের মেরে ফেলে। সেই সঙ্গে কুসুমের ভিতর থাকা সবটুকু পুষ্টিগুণকেই বজায় রাখে। ফুটন্ত নুনজলে মিনিট পাঁচেক সেদ্ধ করলেই এমন হাফ বয়েল ডিম আপনি পেয়ে যাবেন সহজেই।

আরও পড়ুন:

দ্রোণস্থলীর দেবতা টপকেশ্বর মহাদেব

খাদ্যতালিকা থেকে ভাত-রুটি কমাতে চান? পরিবর্তে কী কী খাবেন, আর কী কী না? দেখে নিন একঝলকে

 

ফুল বয়েল

একটি গোটা সেদ্ধ ডিম থেকে প্রায ১২.৬ গ্রাম প্রোটিন মেলে। এমন ফুল বয়েলড ডিম যেমন শুধুই খাওয়া যায়, তেমনই স্যালাড হোক বা স্যান্ডউইচ, সব কিছুতেই মিলিয়েও খেতে পারেন এটি। ডিমের সব ধরনের পদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো হজম হয় এমন ডিম। নুন জলে মিনিট দশেক সময় নিয়ে ফোটালেই একেবারে তৈরি হয়ে যায় সেদ্ধ ডিম।
 

তেলহীন পোচ

তেলবিহীন উপায়ে যদি পোচ বানাতে পারেন, তা হলে স্বাদ ও স্বাস্থ্য দুই-ই রক্ষা পায়। তবে তেলবিহীন উপায়ে পোচ তৈরি করা একটু বেশ কঠিন। প্রথমে ডিমটা সাবধানে ভেঙে নিন একটি বাটিতে। এমন ভাবে ভাঙতে হবে যেন কুসুম গোটাই থাকে, ভেঙ্গে ছড়িয়ে না পড়ে। এর উপর স্বাদ অনুযায়ী গোলমরিচ ও নুন ছরিয়ে দিন। এ বার একটি পাত্রে ভিনিগার দিয়ে অল্প জল ফুটিয়ে তার মধ্যে সাবধানে ছেড়ে দিন এই ভাঙা ডিম। পোচ তৈরি হয়ে গেলে ঝাঁঝরি দিয়ে জল ঝরিয়ে তুলে নিন। এমন পোচে তেল যোগ হয় না বলে ডিমের সবটুকু পুষ্টিগুণ অটুট থাকে।


Skip to content