শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

তাইওয়ান প্রণালীতে আগেই অন্যের ঘুম ওড়ানো যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে আমেরিকা। এ বার আমেরিকা যৌথ যুদ্ধ-মহড়া শুরু করল জাপানের সঙ্গে। এর জন্য স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকেই। কারণ এই অঞ্চলটি চিনা উপকূল থেকেও বেশি দূরে নয়। মহড়ায় আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের সঙ্গে অংশ নিয়েছে আমেরিকার গোলন্দাজ ব্রিগেড এবং স্থলসেনার এয়ারবোর্ন ডিভিশনও। সেই আশির দশক থেকেই জাপানের সঙ্গে প্রতি বছর ‘ওরিয়েন্ট শিল্ড’ নামে বিশেষ মহড়ার আয়োজন করে মার্কিন সেনা। আন্তর্জাতিক আইন মেনেই ‘ওরিয়েন্ট শিল্ড’ চললে তার নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, তাইওয়ান প্রণালীতে চিনের সম্ভাব্য হামলা কড়া হাতে রুখতেই পেন্টাগনের এই পদক্ষেপ। তাইওয়ান প্রণালীতে গত সপ্তাহেই আমেরিকার নৌবাহিনীর দু’টি যুদ্ধজাহাজ ঢুকেছে। চিন-তাইওয়ান সঙ্কটের মাঝে তাইওয়ান প্রণালীতে আমেরিকার নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিয়েটাম এবং ইউএসএস চ্যান্সেলরসভিলের উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
শুধু তাই নয়, তাইওয়ান প্রণালীর বেশ কাছেই বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ও অত্যাধুনিক বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রেগন, ডেস্ট্রয়ার রণতরী ইউএসএস হিগিনস আগে থেকেই মোতায়েন করে রেখেছে আমেরিকা। দ্রুত সেনা মোতায়েনের জন্যই রণতরী ইউএসএস ত্রিপোলিকেও তৈরি রাখা হয়েছে।
যদিও একে ‘রুটিন প্রক্রিয়া’ বলে জানিয়ে দিয়েছে পেন্টাগন। এ প্রসঙ্গে তাদের বক্তব্য, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে মুক্ত এবং নিরাপদ রাখতেই তাদের এই পদক্ষেপ, এর বেশি কিছু নয়।

Skip to content