শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

সঙ্গিনী ছাড়াই নিঃসঙ্গ জীবন কাটছে দিল্লি চিড়িয়াখানার বাসিন্দা শঙ্করের। আফ্রিকান এই হাতির মুক্তি চেয়ে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করলেও আদালত বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। নব্বইয়ের দশকের শেষ পর্বে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শঙ্করদয়াল শর্মা আফ্রিকা ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সেই সময় জিম্বাবোয়ে সরকার উপহার স্বরূপ তাঁকে দিয়েছিলেন একটি আফ্রিকান হস্তিশিশুটিকে। সেই সময় থেকেই সে দিল্লি চিড়িয়াখানায় রেয়েছে। তার নাম দেওয়া হয় শঙ্কর।
গত ২৫ বছর ধরে দিল্লির চিড়িয়াখানায় নিঃসঙ্গ জীবন কাটছে তার। অথচ ‘সেন্ট্রাল জু অথরিটি’র নিয়ম অনুযায়ী, কোনও প্রাণীকে তার সমপ্রজাতির সঙ্গী বা সঙ্গিনী ছাড়া রাখার নিয়ম নেই। আবার ভারতীয় প্রজাতির কোনও হাতিকে শঙ্করের সঙ্গিনী হিসেবে দিল্লি চিড়িয়াখানায় রাখাও সম্ভব নয়। তাই একটি পশুপ্রেমী সংস্থার তরফে শঙ্করকে আফ্রিকায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করা। কিন্তু তাতে কোনও সাড়া মেলেনি।
অবশেষে বুধবার বিচারপতি সতীশ চন্দ্র এবং বিচারপতি সু্ব্রহ্মণ্যম প্রসাদের বেঞ্চ বুধবার সেন্ট্রাল জু অথরিটি এবং অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার বোর্ড-এর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছে। রিপোর্ট পেশের পরেই দিল্লি হাই কোর্ট এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করবে। পাশাপাশি ‘সেন্ট্রাল জু অথরিটি’কে নিঃসঙ্গ শঙ্করের সঙ্গিনী হিসাবে আফ্রিকা থেকে কোনও মাদি হাতিকে আনা সম্ভব কি না তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

Skip to content