ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
করোনা অতিমারির কারণে দীর্ঘসময় ধরে বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন বিঘ্নিত হয়েছে—এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। আজ আমরা এই অতিমারিকে তোয়াক্কা না করে মোটামুটিভাবে স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে ফিরেছি। তৎপরতার সঙ্গে টিকাকরণ কর্মসূচি চালিয়ে অনেকটাই এই অতিমারিকে প্রতিহত করা গিয়েছে। এরই মধ্যে তোমাদের মাধ্যমিক পরীক্ষা চলে এল। আগামী মার্চ মাসের ৭ তারিখ থেকে তোমাদের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। তোমরা জীবনের প্রথম একটা বড় পরীক্ষার সম্মুখীন হচ্ছ। তবে মনে রাখবে আগাগোড়া মূল পাঠ্য যদি ভালো করে পড়ে যাও আর নিজের আত্মবিশ্বাস বজায় রাখো তবে সফলতা আসবেই।
কিছু পরামর্শ
যে পরীক্ষা অনতিদূরেই কড়া নাড়ছে সেই পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য আজ আমি তোমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেব। মনে রাখবে গল্প থেকে তোমাদের তিনটি, কবিতা থেকে তিনটি, প্রবন্ধ থেকে তিনটি এবং ব্যাকরণ থেকে মোট আটটি মক্-এর উত্তর পরীক্ষায় করতে হয়। এগুলির জন্য কোনও বিকল্প প্রশ্ন থাকে না। তাই খুব খুঁটিয়ে টেক্সট পড়া এবং ব্যাকরণের ক্ষেত্রে টেস্ট পেপার বা কোশ্চেন ব্যাংক অনুশীলন করা খুব জরুরি। অনুশীলন করার পর স্কুলের মাস্টারমশাইকে সেগুলি দেখিয়ে নিও। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন গল্প থেকে চারটি, কবিতা থেকে চারটি, প্রবন্ধ থেকে তিনটি এবং ব্যাকরণ থেকে মোট আটটি করতে হয়। এগুলির ক্ষেত্রেও অনুশীলন আর খুঁটিয়ে পড়া খুব জরুরি৷ এছাড়াও তোমরা জানো যে গল্প থেকে একটি, কবিতা থেকে একটি, প্রবন্ধ থেকে একটি, নাটক থেকে একটি এবং পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ (কোনি) থেকে দুটি রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। এগুলোর জন্য অনেকটাই সময় লাগে। এছাড়াও প্রবন্ধ রচনা, সংলাপ রচনা অথবা প্রতিবেদন রচনার জন্য অনেকটাই সময় রাখতে হয়। কাজেই সময়ের একটা সুনির্দিষ্ট বিভাজন মনে মনে করে রাখবে। তাহলে উত্তর লেখার সময় অনেকটাই সুবিধা হবে, সময়ের অভাবে কোনও প্রশ্নের উত্তর লেখা বাদ পড়বে না।
সময়ের যথাযথ পরিকল্পনা
মনে রাখবে এক নম্বর দাগে যে বহু বিকল্পনীয় প্রশ্নগুলির উত্তর লিখতে হয় এগুলির জন্য ১০ মিনিটের বেশি সময় নেওয়া চলবে না। দুই নম্বর দাগের উত্তরের জন্য সবচেয়ে বেশি সময় নেবে ৩০ মিনিট। তিন নম্বর দাগে ১২ মিনিট সময় নিলে তবে ঠিকঠাক সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। ৪ নম্বর দাগে গল্প থেকে রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। তার জন্য ১০ মিনিটের বেশি সময় নিও না। ঠিক সেইরকম ৫ নম্বর দাগে কবিতা থেকে যে রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তর করতে হয় সেখানেও ১০ মিনিট সময় নেবে। ছয় নম্বর দাগে প্রবন্ধ থেকে যে প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয় তার জন্য ১০ মিনিট নেওয়া জরুরি। তবে সাত নম্বর দাগে নাটকের প্রশ্নের উত্তর আট মিনিটে করে নিতে হবে। কোনির দুটি প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য কুড়ি মিনিট সময় বরাদ্দ রেখো। বঙ্গানুবাদের জন্য বরাদ্দ রাখবে ১৫ মিনিট। সংলাপ বা প্রতিবেদনের জন্য তোমাদের ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ রাখা উচিত। আর প্রবন্ধ রচনা জন্য রাখবে ৩০ মিনিট। এরপর পুরো খাতাটাকে ভালোভাবে দেখা বা রিভিশন-এর জন্য পাঁচ মিনিট সময় অবশ্যই রেখো। তবেই ঠিকঠাক সময়টাকে ব্যবহার করতে পারবে। তোমরা বাড়িতে মক্ টেস্ট দেওয়ার সময় আরও ভালো করে এই সময়ের নিজস্ব বিভাজন করে নিতে পারো।
শব্দসংখ্যার সীমা
শব্দসংখ্যার ব্যবহার বিষয়টি মাথায় রাখতেই হবে। ১০ নম্বরের প্রবন্ধ রচনার জন্য কমবেশি ৪০০টি শব্দ ব্যবহার করতে পারো। পাঁচ নম্বরের প্রশ্নের জন্য কমবেশি ১৫০টি শব্দ ব্যবহার করবে আর নাটকের জন্য যে ৪ নম্বর বরাদ্দ থাকে সে ক্ষেত্রে কমবেশি ১২৫টি শব্দ ব্যবহার জরুরি। এক নম্বরের প্রশ্নের উত্তর লিখতে কমবেশি কুড়িটি শব্দ ব্যবহার করবে। তিন নম্বরের যে ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয় সেখানে কমবেশি ষাটটি শব্দ ব্যবহার করবে।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
যে প্রশ্নগুলো গল্প থেকে খুব ভালো করে প্রস্তুত করে যাবে—
● “পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে!”—কোন্ ঘটনাকে অলৌকিক আখ্যা দেওয়া হয়েছে? সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিল তা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প অনুসরণে বুঝিয়ে দাও।
● “তবে তপনেরই বা লেখক হতে বাধা কী”—তপনের লেখক হতে বাধা নেই কেন? প্রথম লেখা গল্প মুদ্রিত হওয়ার পর তার অভিজ্ঞতা সংক্ষেপে বর্ণনা করো।
● “আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।”—কোন্ দিনটির কথা বলা হয়েছে? সেটি কী কারণে, কার জীবনে দুঃখের দিন হয়ে উঠেছিল?
● “হরিদার জীবনে সত্যিই একটা নাটকীয় বৈচিত্র্য আছে।”— হরিদার পরিচয় দাও। তার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্যের বর্ণনা দাও।
● “অদৃষ্ট কখনো হরিদার এই ভুল ক্ষমা করবে না।”—হরিদা কী ভুল করেছিলেন? অদৃষ্ট ক্ষমা করবে না কেন?
● জগদীশবাবুর বাড়িতে হরিদা বিরাগি সেজে যাওয়ার পর কী ঘটনা ঘটেছিল?
● “বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে কিন্তু শখ ষোল আনাই বজায় আছে।”—বাবুটি কে? তার স্বাস্থ্য ও শখের পরিচয় দাও।
● “পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিককে নিমাইবাবুর সামনে হাজির করা হইল।”—’পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট’ কথাটির মানে কী? এরপর কোন্ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল?
কবিতা থেকে যে প্রশ্নগুলো পড়বে
● ‘অসুখী একজন’ কবিতা অবলম্বনে যুদ্ধের ভয়াবহতার বর্ণনা দাও।
● ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা অবলম্বনে কবি কেন এই পরামর্শ দিয়েছেন তা নিজের ভাষায় লেখ।
● “চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে।”—কাকে এ কথা বলা হয়েছে? কীভাবে তার ইতিহাসে চিরচিহ্ন মুদ্রিত হল?
● “হায় ছায়াবৃতা!”—কাকে কেন ‘ছায়াবৃতা’ বলা হয়েছে? তার সম্পর্কে কবি কী বলেছেন লেখ৷
● “দাঁড়াও ওই মানহারা মানবীর দ্বারে/ বলো ক্ষমা করো।”—’মানহারা মানবী’ কাকে বলা হয়েছে? কাকে কেন ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে লেখ৷
● ‘হা ধিক্ মোরে’—বক্তা কেন নিজেকে ধিক্কার জানিয়েছেন? এখানে বক্তার চরিত্রের কোন্ দিকটি ফুটে উঠেছে লেখ।
● ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় কাদের কেন জয়ধ্বনি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? প্রলয় কীভাবে উল্লাসের কারণ হয়ে উঠেছে তা নিজের ভাষায় লেখ।
নাটক থেকে যে প্রশ্নের উত্তরগুলো ভালো করে তৈরি করবে
● “তোমাদের কাছে আমি লজ্জিত।”—বক্তা কাদের কাছে কেন লজ্জিত হয়েছেন তা নাট্যাংশ অবলম্বনে লেখ।
● “কিন্তু ভদ্রতার অযোগ্য তোমরা।”—বক্তা কাকে একথা বলেছেন? একথা বলার কারণ কী?
● ঘসেটি বেগমের চরিত্র বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে আলোচনা কর।
● ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাট্যাংশ অবলম্বনে সিরাজদ্দৌলার চরিত্র বৈশিষ্ট্য লেখ।
● “মুন্সিজি, এ পত্রের মর্ম সভাসদদের বুঝিয়ে দিন।”—কে কাকে পত্র লিখেছিলেন? এই পত্রে কী লেখা ছিল?
প্রবন্ধের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলি
● “সব মিলিয়ে লেখালেখি রীতিমতো ছোটখাটো একটি অনুষ্ঠান।”—কীভাবে লেখালেখি একটা অনুষ্ঠানের রূপ নিত তা আলোচনা করো।
● “আমার মনে পড়ে প্রথম ফাউন্টেন পেন কেনার কথা।”—তোমার পাঠ্য রচনা অবলম্বনে লেখকের সেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করো।
● “আমরা কালিও তৈরি করতাম নিজেরাই।”—তোমার পাঠ্য প্রবন্ধ অনুসারে কালি তৈরির বর্ণনা দাও।
● “জন্ম নিল ফাউন্টেন পেন”—ফাউন্টেন পেনের জন্মবৃত্তান্ত বর্ণনা করো।
● “আশ্চর্য সবই আজ অবলুপ্তির পথে।”—কোন্ জিনিস আজ অবলুপ্তির পথে? এই অবলুপ্তির কারণ কী?
‘কোনি’ থেকে যেগুলি করবেই
● “এজন্য চরিত্র চাই, গোঁয়ার রোখ চাই।”—ক্ষিতীশ সিংহ কীভাবে কোনিকে তৈরি করেছিলেন লেখ।
● “ক্ষিদ্দা এবার আমরা কী খাবো?”—উদ্ধৃতিটির আলোকে কোনির যন্ত্রণাময় জীবনযাত্রার পরিচয় দাও।
● ‘কোনি’ উপন্যাসের কাহিনি অবলম্বনে লীলাবতীর পরিচয় দাও।
● কোনি কীভাবে বাংলা সাঁতার দলে জায়গা পেয়েছিল লেখ।
● “ওইটাই তো আমি রে, যন্ত্রণাটাই তো আমি।”—বক্তা কে? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
● “এটা বুকের মধ্যে পুষে রাখুক।”—কী পুষে রাখার কথা বলা হয়েছে? কী কারণে একথা বলা হয়েছিল?
● “ফাইট কোনি ফাইট”—’কোনি’ উপন্যাসে ফাইটের কী পরিচয় মেলে?
● “তোর আসল লজ্জা জলে আসল গর্বও জলে।”—কে, কেন একথা বলেছেন? একথার তাৎপর্য লেখ।
প্রবন্ধ রচনা
● দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান/ বিজ্ঞানের অবদান।
● অরণ্য ও অরণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ
● বিজ্ঞান ও কুসংস্কার
● বিজ্ঞানের ভালোমন্দ
● কোভিড ১৯-এর প্রভাব
● বিশ্বউষ্ণায়ন ও প্রতিকার
● বাংলার উৎসব
● সমাজকল্যাণে ছাত্রছাত্রীসমাজ
● তোমার প্রিয় ঋতু
● খেলাধুলা ও ছাত্রসমাজ।
মনে রাখার বিষয়
সকালবেলা ব্যাগে নিজের অ্যাডমিট, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ভালো দুটো কলম, পেনসিল, স্কেল, মাস্ক গুছিয়ে রেখে নিও। পরীক্ষার কয়েকদিন বেশি রাত জাগবে না। সহজপাচ্য ও সুষম আহার করবে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগে তোমরা হাতে প্রশ্নপত্র পাবে। প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর বেশ মনোযোগ দিয়ে সেটিকে পড়ে নিজের পছন্দমতো প্রশ্নগুলি বেছে নাও। উত্তরপত্রের নির্দিষ্ট জায়গায় নিজের নাম, রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর সঠিকভাবে লিখবে। মনে কোনও রকম চাপ নিয়ে পরীক্ষা দিতে যেও না। এখনও সময় আছে, অতএব সময়কে কাজে লাগিয়ে মন দিয়ে পড়াশুনা করো। সাফল্য পাবেই। তোমাদের জন্য আমার অনেক শুভেচ্ছা চেন
যে পরীক্ষা অনতিদূরেই কড়া নাড়ছে সেই পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য আজ আমি তোমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেব। মনে রাখবে গল্প থেকে তোমাদের তিনটি, কবিতা থেকে তিনটি, প্রবন্ধ থেকে তিনটি এবং ব্যাকরণ থেকে মোট আটটি মক্-এর উত্তর পরীক্ষায় করতে হয়। এগুলির জন্য কোনও বিকল্প প্রশ্ন থাকে না। তাই খুব খুঁটিয়ে টেক্সট পড়া এবং ব্যাকরণের ক্ষেত্রে টেস্ট পেপার বা কোশ্চেন ব্যাংক অনুশীলন করা খুব জরুরি। অনুশীলন করার পর স্কুলের মাস্টারমশাইকে সেগুলি দেখিয়ে নিও। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন গল্প থেকে চারটি, কবিতা থেকে চারটি, প্রবন্ধ থেকে তিনটি এবং ব্যাকরণ থেকে মোট আটটি করতে হয়। এগুলির ক্ষেত্রেও অনুশীলন আর খুঁটিয়ে পড়া খুব জরুরি৷ এছাড়াও তোমরা জানো যে গল্প থেকে একটি, কবিতা থেকে একটি, প্রবন্ধ থেকে একটি, নাটক থেকে একটি এবং পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ (কোনি) থেকে দুটি রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। এগুলোর জন্য অনেকটাই সময় লাগে। এছাড়াও প্রবন্ধ রচনা, সংলাপ রচনা অথবা প্রতিবেদন রচনার জন্য অনেকটাই সময় রাখতে হয়। কাজেই সময়ের একটা সুনির্দিষ্ট বিভাজন মনে মনে করে রাখবে। তাহলে উত্তর লেখার সময় অনেকটাই সুবিধা হবে, সময়ের অভাবে কোনও প্রশ্নের উত্তর লেখা বাদ পড়বে না।
মনে রাখবে এক নম্বর দাগে যে বহু বিকল্পনীয় প্রশ্নগুলির উত্তর লিখতে হয় এগুলির জন্য ১০ মিনিটের বেশি সময় নেওয়া চলবে না। দুই নম্বর দাগের উত্তরের জন্য সবচেয়ে বেশি সময় নেবে ৩০ মিনিট। তিন নম্বর দাগে ১২ মিনিট সময় নিলে তবে ঠিকঠাক সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। ৪ নম্বর দাগে গল্প থেকে রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। তার জন্য ১০ মিনিটের বেশি সময় নিও না। ঠিক সেইরকম ৫ নম্বর দাগে কবিতা থেকে যে রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তর করতে হয় সেখানেও ১০ মিনিট সময় নেবে। ছয় নম্বর দাগে প্রবন্ধ থেকে যে প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয় তার জন্য ১০ মিনিট নেওয়া জরুরি। তবে সাত নম্বর দাগে নাটকের প্রশ্নের উত্তর আট মিনিটে করে নিতে হবে। কোনির দুটি প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য কুড়ি মিনিট সময় বরাদ্দ রেখো। বঙ্গানুবাদের জন্য বরাদ্দ রাখবে ১৫ মিনিট। সংলাপ বা প্রতিবেদনের জন্য তোমাদের ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ রাখা উচিত। আর প্রবন্ধ রচনা জন্য রাখবে ৩০ মিনিট। এরপর পুরো খাতাটাকে ভালোভাবে দেখা বা রিভিশন-এর জন্য পাঁচ মিনিট সময় অবশ্যই রেখো। তবেই ঠিকঠাক সময়টাকে ব্যবহার করতে পারবে। তোমরা বাড়িতে মক্ টেস্ট দেওয়ার সময় আরও ভালো করে এই সময়ের নিজস্ব বিভাজন করে নিতে পারো।
শব্দসংখ্যার ব্যবহার বিষয়টি মাথায় রাখতেই হবে। ১০ নম্বরের প্রবন্ধ রচনার জন্য কমবেশি ৪০০টি শব্দ ব্যবহার করতে পারো। পাঁচ নম্বরের প্রশ্নের জন্য কমবেশি ১৫০টি শব্দ ব্যবহার করবে আর নাটকের জন্য যে ৪ নম্বর বরাদ্দ থাকে সে ক্ষেত্রে কমবেশি ১২৫টি শব্দ ব্যবহার জরুরি। এক নম্বরের প্রশ্নের উত্তর লিখতে কমবেশি কুড়িটি শব্দ ব্যবহার করবে। তিন নম্বরের যে ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয় সেখানে কমবেশি ষাটটি শব্দ ব্যবহার করবে।
যে প্রশ্নগুলো গল্প থেকে খুব ভালো করে প্রস্তুত করে যাবে—
সকালবেলা ব্যাগে নিজের অ্যাডমিট, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ভালো দুটো কলম, পেনসিল, স্কেল, মাস্ক গুছিয়ে রেখে নিও। পরীক্ষার কয়েকদিন বেশি রাত জাগবে না। সহজপাচ্য ও সুষম আহার করবে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগে তোমরা হাতে প্রশ্নপত্র পাবে। প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর বেশ মনোযোগ দিয়ে সেটিকে পড়ে নিজের পছন্দমতো প্রশ্নগুলি বেছে নাও। উত্তরপত্রের নির্দিষ্ট জায়গায় নিজের নাম, রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর সঠিকভাবে লিখবে। মনে কোনও রকম চাপ নিয়ে পরীক্ষা দিতে যেও না। এখনও সময় আছে, অতএব সময়কে কাজে লাগিয়ে মন দিয়ে পড়াশুনা করো। সাফল্য পাবেই। তোমাদের জন্য আমার অনেক শুভেচ্ছা চেন