শনিবার ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫


ছবি: প্রতীকী।

শীতকাল মানেই ধনেপাতা। তবে ধনেপাতা এখন প্রায় সারা বছরে পাওয়া যায় কিন্তু শীতকালে ধনেপাতা সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। এই সময় এর গন্ধ সবচেয়ে সুন্দর হয়। ধনেপাতায় আছে এসেনশিয়াল অয়েল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। পাশাপা‌শি ধনেপাতায় আছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, আয়রন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি২ এর মতো উপাদান।
 

ধনেপাতা কেন খাবেন?

 

চোখের রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়

ধ‌নেপাতায় আছে বিটা-ক্যারোটিন ও লুটিন, যেগু‌লো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। শরীরের থাকা ফ্রি র্যািডিকেল যা ক্যানসার, হৃদ্‌রোগ এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগের অন্যতম কারণ, ধ‌নেপাতায় থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ফ্রি র্যা ডিকেল দূর ক‌রে কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধ‌নেপাতার র‌সে ধ‌নেবীজের চেয়ে বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে।

আরও পড়ুন:

গল্পবৃক্ষ, পর্ব-১২: দর্দরজাতক

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-১০৭: ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগে মহর্ষি পেলেন চরম দুঃসংবাদ

 

মন-মেজাজ ভা‌লো রাখে

আমরা অনেক সময় উদ্বেগ কমা‌তে ওষু‌ধ খাই। কিন্তু ধ‌নেপাতার রস খে‌লেও উদ্বিগ্নতা ক‌মে, এই নির্যাস পেশি শিথিল ও প্রশম ক‌রে। এর ফ‌লে মন-মেজাজ ভা‌লো হ‌য়।
 

ডায়াবিটিস কমাতে সাহায্য করে

ধনেপাতার ইনসুলিন প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে। অর্থাৎ হাইপারগ্লাইসিমিয়া কমা‌তে সহায়তা ক‌রে ধ‌নেপাতা।

আরও পড়ুন:

ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৪৬: ‘রাজর্ষি’ অবলম্বনে রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছেন ‘বিসর্জন’ নাটক

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৮২: সুন্দরবনের পাখি—টিয়া

 

প্রদাহ রোধ করে

ধ‌নেপাতার র‌সে রয়েছে এসেনশিয়াল লিপিড এবং লিনালুল তেল। গবেষণায় পাওয়া গিয়ে‌ছে, লিনালুল ব্যরথা উপশম কর‌তে পা‌রে এবং এটি অতিরিক্ত সক্রিয় স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতে সহায়তা ক‌রে।
 

থাইরয়েডের ভারসাম্য বজায় রাখে

ধ‌নেপাতা থাইর‌য়ে‌ডের এই ভারসাম্যo রক্ষা ক‌রে। এ ছাড়া অতিরিক্ত গরম অনুভূত হওয়া, হট ফ্ল্যাশ, রাতে অতিরিক্ত ঘাম এবং পিত্তজনিত বিভিন্ন সমস্যা দূর করে এই ধনেপাতা।

আরও পড়ুন:

ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৪৫: শিক্ষা-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষতায় বীরবিক্রম

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৯৮: কপোত-কপোতী

 

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস কমায়

ধ‌নেপাতা প্রদাহরোধী এবং ব্যথাও উপশম করে। এটি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস কমাতে সহায়তা করে।
 

গ্যাস-অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজম

ধনেপাতায় আছে ভিটামিন সি যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের জীবাণু ও রোগের সঙ্গে শরীর যাতে লড়তে পারে তার জন্যে শরীরকে ভিতর থেকে করে মজবুত করে তুলতে পারে। গ্যাস-অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যায় যাঁরা ভুগে থাকেন নিয়মিত ধনেপাতা খেলে এইসব সমস্যা দূর হতে পারে।

আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬৩: বাবু ডাক্তার ও ‘ডাক্তারবাবু’

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৯৭: পাঞ্চালীকে আশীর্বাদ করে আলিঙ্গনাবদ্ধ করলেন গান্ধারী

 

লিভারকে সুস্থ রাখতে

লিভারকে সুস্থ রাখতে ধনেপাতার জুড়ি মেলা ভার। ধনেপাতা হজমশক্তি বাড়ায়। ডায়াবিটিসের রোগীরা নিশ্চিন্তে রান্নায় ধনেপাতা খেতে পারেন। ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে ধনেপাতা।
 

হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমাতে

হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমাতে কাজে আসতে পারে ধনেপাতা। শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বার করে দিতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলেও ধনেপাতা খুব উপকারী। ধনেপাতার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টগুলি রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়াতেও সহায়তা করে।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

Skip to content