আলুর দোষ নিয়ে হরেক সমস্যা। তবে আট থেকে আশি কারওই আলুভাজা বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস নিয়ে সমস্যা নেই। কিন্তু রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই নির্ভয়ে আলু খেতে পারেন না। উল্টে বাড়তি মেদ নিয়েও চিন্তা রয়েছে। আসলে এর পিছনে আছে উচ্চ ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট-যুক্ত খাবার। পাশাপাশি সেই সব খাবারে গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক আব স্টার্চ বেশি থাকলে তো বাড়তি সমস্যা। বেশি স্টার্চ, উচ্চ ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট বা হাই গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক সবই আলুর মধ্যে রয়েছে। এদিকে দৈনন্দিন জীবনে আলু গুরুত্বপূর্ণ একটি সব্জি। পুষ্টিবিদদের কথায়, কেবল আলু নয়, স্টার্চজাতীয় খাবার বেশি খেলেই মোটা হওয়ার প্রবণতা থাকে। কিন্তু রান্নার পদ্ধতি জানা থাকলে আলুকেও নির্বিষ করে তোলা যায় সহজেই।
কী ভাবে আলু রাঁধলে স্টার্চের পরিমাণ কমানো যাবে?
ঠান্ডা জলে ধুয়ে
● গ্রেট করা অথবা খুব ছোট করে কাটা আলু সেদ্ধ করা যায় না। আর যদি করতেই হয় তা হলে ঠান্ডা জলে বার বার তা ধুয়ে নিতে হবে। তাহলে আলুতে থাকা স্টার্চ সহজে দূর করার সম্ভব হবে।
ভিনিগার কিংবা লেবুর রস
● আরেকটি ভালো উপায় হল স্টার্চের পরিমাণ কমাতে আলু ভিনিগার কিংবা লেবুর রস মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন। কাচের পাত্রের মধ্যে অ্যাসিড-যুক্ত এই তরলের মধ্যে আলু কেটে বেশ কিছু ক্ষণ জারিয়ে রাখতে হবে। হাতে খুব বেশি সময় না থাকলে, আলু সেদ্ধ করার সময়েই লেবুর রস অথবা ভিনিগার ছড়িয়ে দিলেও কাজ হবে।
রাতে ভিজিয়ে রাখতে হবে
● আলু কাটার আগে জলে আলু ভিজিয়ে রাখুন। আলু কেটে অন্তত আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। সব থেকে ভালো হয়, যদি সারা রাত ভিজিয়ে রাখা যায়।
বেক করা আলু
● শর্করা এড়াতে আলু ভাজার বদলে বেক করেও খাওয়া যেতে পারে। এ ভাবে খেলেও আলুরর মধ্যে স্টার্চের পরিমাণ কমানো সম্ভব। আরও একটি ভালো টোটকা: আলুকে খোসা-সহ রান্না করা। খোসা-সহ সেদ্ধ বা বেক করলে আলুতে থাকা থাকা স্টার্চ শুষে নেয়।
আলু ভাপা
● কেটে রাখা আলুর কয়েক টুকরো করে নিন। এর পর সেই আলু গরম জলে কয়েক মিনিট ভাপিয়ে নিতে হবে। ভাপিয়ে নেওয়ার পরে সেই আলু বরফজলে দিয়ে দিন। এর ফলে আলুতে থাকা স্টার্চের পরিমাণ কমবে। আবার আলুর রং এবং মসৃণ ভাবও বজায় থাকবে।