রান্নায় ব্যবহার করা হয় এরকম মশলার মধ্যে দারচিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দারচিনি শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে তাই নয়, এর প্রচুর ঔষধিগুণ আছে। দারচিনি প্রতিদিন খুব সামান্য পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। মশলা হিসেবে এর প্রচুর গুণাগুণ থাকলেও খুব সামান্য পরিমাণেই খাওয়া ভালো। অতিরিক্ত দারুচিনি খেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন লিভার, ফুসফুস, কিডনির সমস্যা, মুখে ঘা, আবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অনেক কমে যেতে পারে।
দারচিনির সাতটি গুণ
ডায়াবেটিসের ওপর প্রভাব
● দারচিনি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায়। তাই যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হ্রাস করে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে।
স্নায়ুরোগের ওপর প্রভাব
● পার্কিনসনস ও অ্যালঝাইমার্সের মতো স্নায়ুর সমস্যায় দারচিনি সাহায্য করে।
ওজনের ওপর প্রভাব
● দারচিনি প্রধানত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারকে ধীরগতিতে হজম করায়। আর ঠিক সেই কারণেই এটা ওজন কমাতে পরোক্ষভাবে সাহায্য করে।
ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ
● জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণজনিত রোগ কমায় দারচিনি। এছাড়াও দাঁতে ব্যথা, ভাইরাসজনিত বিভিন্ন রোগ কমাতেও এটা বিশেষভাবে সাহায্য করে।
হৃদ্রোগের ওপর প্রভাব
● দারচিনির রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ের ক্তচাপক মায়। এমনকি, ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
চর্মরোগের ওপর প্রভাব
● ত্বকের বিভিন্ন রকম ক্ষত সারায়। পাশাপাশি মুখের ব্রণও কমাতেও দারুচিনির পেস্ট চটজলদি সাহায্য করে।
আন্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর
● দারচিনি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। আন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর বা দূষিত পদার্থ বার করে দিয়ে আমাদের শরীরকে রোগ মুক্ত রাখে।
যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২
* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।