ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো।
উইকেন্ড এসকর্ট
তার আগে একটা অত্যন্ত জরুরি কাজ বাকি আছে। শ্রেয়া বাসু কনস্টেবল দত্তকে নিয়ে একবার ঘুরে এসেছেন। তাঁরা তাদের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। কিন্তু বাবুর মনে হল তার নিজের একবার যাওয়া উচিত। শ্রুতি সেনের সঙ্গে গিয়ে একবার কথা বলাটা জরুরি। শ্রুতি নিখিল সেনের স্ত্রী। একমাত্র সন্তান দিব্যজ্যোতি আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগোতে ডেটা সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করছে। শ্রুতি সেন স্বাবলম্বী। পেশায় শিক্ষিকা। স্বামীর সঙ্গে বহুদিনের দূরত্ব। কিন্তু একই বাড়িতে একছাদের তলায় থাকেন। আলাদা হয়ে যাননি। তার একটাই উদ্দেশ্য ছেলের পড়াশোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শ্রুতি ডিভোর্স দেবে না। ছেলের পড়ার বিপুল খরচের ব্যয়ভার নিখিল সেনকেই নিতে হবে। ডিভোর্স হয়ে গেলে সে নানা বাহানা করবে। আর যতই বেপরোয়া ভাব দেখাক নিখিল সেনের মতো শঠ প্রবঞ্চকেরা সমাজে কী না কী প্রকাশ পেয়ে যাবে সেই নিয়ে খুব সেনসিটিভ।
রহস্য উপন্যাস: হ্যালো বাবু!, পর্ব-১৬: সঞ্জয় বাড়ি ফিরে দেখল বাথটবে পুনম অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৩১: বীণাপাণির চরণ ছুঁয়ে…
“স্বনামধন্য আইনজীবী নিখিল সেনের অকাল মৃত্যুতে তার পরিবার শোকস্তব্ধ। কোনওরকম মিডিয়া ইন্টারভিউ দেবার কোন অভিপ্রায় তাঁদের নেই। এই মৃত্যু নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছেন। সেই বিষয়েও পরিবারের তরফে কোনও মতামত নেই। মিডিয়ার কোনও প্রশ্ন বা অন্য কারও কোনও মন্তব্য নিয়ে পরিবারের কোনও উত্তর বা মতামত দেবার অভিপ্রায় নেই। সকলকে এই মর্মে অনুরোধ করা হচ্ছে যে কেউ যেন কোনও ভাবে প্রয়াত আইনজীবীর পরিবারের এই শোকার্ত মুহূর্তকে ব্যহত বা বিঘ্নিত না করেন।”
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৩৩: সারদা মায়ের দার্শনিক দৃষ্টি
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৭৯: কবির ভালোবাসার পশুপাখি
চক্রবর্তী সাহেব নিজে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে শ্রুতি সেনকে অনুরোধ করায় তিনি ধৃতিমান চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়েছেন। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই মিসেস সেন একতলা সাজানো ড্রয়িং রুমে নেমে এলেন। মাঝবয়সী। চেহারায় কমনীয়তার তুলনায় রুক্ষতা বেশি।
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৫০: লক্ষ্মণ—ভ্রাতৃত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-১১: স্বর্ণকুমারী দেবী— ঠাকুরবাড়ির সরস্বতী
— আমরা যা কথা বলবো তার রেকর্ড আমার কাছে থাকবে। এই কথোপকথনের কোন অংশ যেন না পত্র-পত্রিকা টেলিভিশনে পাবলিশড হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। আমি একেবারেই চাই না আমাদের ব্যক্তিগত জীবন কোন কাগজের বিক্রি বা টেলিভিশনের টিআরপি বাড়াক। শুরু করুন। নতুন করে কী জানতে এসেছেন? ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট থেকে শ্রেয়া বসু নামে একজন মহিলা অফিসার তো এসেছিলেন। উনি অবশ্য ‘বাসু’ বলতে পছন্দ করেন।—চলবে।