সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: সংগৃহীত।

১৮৬২ সালে এই ঐতিহাসিক কলেজটি স্থাপিত হয়েছিল। ফরাসি গভর্নর ডুপ্লের নামে তখন এর নাম ছিল ডুপ্লে কলেজ। ১৯৪৮ সালে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় চন্দননগর কলেজ। শোনা যায়, ফরাসি উচ্চারণে শাঁদের নগর কলেজকেই ইংরেজিতে চান্দের নগর বলা হত। তার থেকেই অনেকের মতে, চন্দননগর কলেজ নাম হয়।
স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার জন্য ২৩ বছর, অর্থাৎ ১৯০৮ থেকে ১৯৩১ সাল পর্যন্ত কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তৎকালীন অধ্যক্ষ চারুচন্দ্র রায়ের নেতৃত্ব চন্দননগর কলেজ বিপ্লবী কাজের সক্রিয় কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। বিপ্লবী রাসবিহারী বসু, অরবিন্দ ঘোষ, কানাইলাল দত্ত প্রমুখ বিপ্লবীরা প্রত্যক্ষভাবে এই কলেজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন:

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-১৮: ও দয়াল! বিচার করো!

দেশের প্রথম আধুনিক চিত্রকর নিরীহের হত্যা মানতে না পেরে গৃহত্যাগী হন

সেই সকল প্রাতঃস্মরণীয় বিপ্লবীদের স্মৃতিরক্ষার জন্য এবং শহরের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য গত শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ‘সেন্টার ফর হেরিটেজ স্টাডিজ’-এর তত্ত্বাবধানে প্রায় দুশো বছরের পুরনো এই কলেজে একটি মিউজিয়ামের উদ্বোধন করা হল। এই মিউজিয়ামে নিখুঁত ভাবে তুলে ধরা রয়েছে তিনটি গ্রাম নিয়ে তৎকালীন গড়ে ওঠা চন্দননগর থেকে আজকের চন্দননগর। এখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে শ্রীঅরবিন্দ, কানাইলাল দত্ত, রাসবিহারী বসু, মাখনলাল ঘোষাল, মোতিলাল রায়, শ্রীশচন্দ্র ঘোষ-সহ বহু বিপ্লবীর প্রতি।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-১৪: সারদা মায়ের বিশ্বাসে জাগ্রতা হল দেবী সিংহবাহিনী

পালকিতে যেতে যেতে লেখা হয়েছিল ‘বর্ণপরিচয়’

কলেজের পাঁচটি ঘরে সেজে ওঠা এই মিউজিয়ামটিকে বিপ্লবীদের স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করা হয়। প্রদর্শশালাটি সাজিয়ে তুলতে যে সব শিল্পীদের অবদান উল্লেখযোগ্য, তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি উৎসাহীরা যাতে এই মিউজিয়াম দেখার সুযোগ পান, সেই ব্যবস্থার চেষ্টাও করবেন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:

পরিযায়ী মন, পর্ব-৯: সাসারামের ঝর্ণাধারা

শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব-৫২: আঁধার ঘনালো বুঝি সীতার ভুবনে…

গত শুক্রবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস সরকার, চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনের সদস্য পার্থরঞ্জন দাস, ন্যাশানাল কাউন্সিল ফর সাইন্স মিউজিয়ামের সদস্য নটরাজ দাশগুপ্ত, অভিনেতা ও বিশিষ্ট পরিচালক গৌতম ঘোষ প্রমুখ। শহরের বিশিষ্টজন এবং কলেজের প্রাক্তনীরাও এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Skip to content