রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে হাঁটে গেলে পায়ের পাতায় অসহ্য যন্ত্রণা? হাতের আঙুল ভাঁজ করতে অসুবিধা? পা বা হাতে অস্থিসন্ধিগুলি ফুলে গিয়েছে? এই ধরনের শারীরিক সমস্যা মূলত ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকলে হয়। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে চিকিৎসকের কাছে গেলেই অনেকে খাদ্য তালিকা থেকে টোম্যাটো, ঢ্যাঁড়শ, মুসুর ডাল ইত্যাদি বাদ দিয়ে দেন। এদিকে পুষ্টিবিদদের বক্তব্য হল, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

এমনিতে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে কোন কোন খাওয়ার এড়াতে হবে তা প্রায় সকলেরই জানা। কিন্তু এটা হয়তো সবাই জানেন না যে, ঠিক কী কী খাবার বেশি পরিমাণে নিয়মিত খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকবে। জানেন কি?
 

দ্রুত ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত পাতে রাখুন

 

লো ফ্যাট দুধ

‘ফুল ক্রিম’ অথবা ‘ফুল ফ্যাট’ দুধ বা দুধের তৈরি কোনও খাবার খাওয়া না খাই ভালো। বদলে রোজ দিন ‘স্কিমড’ কিংবা ‘ডবল টোনড’ দুধ থেকে বাড়িতে পাতা দই বেশি করে খান। খেতে পারেন পনির বা ঘোলও।
 

ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে ডায়েটে রাখুন আখরোট, ফ্ল্যাক্স সিড, তেলযুক্ত মাছ। যেমন বোয়াল বেশি করে খাওয়া যেতে পারে। কারণ, মাছে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে বেশ সাহায্য করে।

আরও পড়ুন:

ইয়ারফোন না কি হেডফোন? কোনটি ব্যবহারে করলে কানের ক্ষতি হবে না?

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩৩: কানে ব্যথা? তেল দেবেন কি?

 

ভিটামিন-সি

গবেষণায় প্রমাণিত, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভিটামিন-সি খুবই সাহায্য করে। তবে সাইট্রাসজাতীয় ফল বা লেবুই নয়, খেতে পারেন স্ট্রবেরি, চেরি বা যেকোনও টকজাতীয় ফল। কারণ এই সব ধরনের ফলেই অল্প হলেও ভিটামিন-সি রয়েছে। তাই টক ফল নিয়মিত খেলে ভালো উপকার মিলবে।
 

উদ্ভিজ্জ প্রোটিন

শরীরকে সুস্থ ও তরতাজা রাখতে রোজ দিন খাদ্য তালিকায় প্রোটিন রাখা জরুরি। কিন্তু মুশকিল হল প্রাণিজ প্রোটিন বেশি খেলে আবার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে সব থেকে ভালো উদ্ভিদই ভরসা রাখা। শাক-সব্জির সঙ্গে দানাশস্য, ডাল, মাশরুম যোগ করতে পারেন খাবারের তালিকায়।

আরও পড়ুন:

পাখি সব করে রব, পর্ব-২: দুর্লভ পরিযায়ী পাখি ল্যাপউইং

দৌড়ে এগিয়ে থেকেও কি কিয়ারা ছিটকে গেলেন! ‘ডন ৩’-তে রণবীরের বিপরীতে কোন নায়িকা?

 

ফাইবারযুক্ত খাবার

আপনার যদি ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকে তাহলে ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে পাতে রাখুন। ব্রকোলি, কুমড়ো, দানাশস্য বা ওটস সবেতেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবারের রয়েছে। এই সব খাবারে উপস্থিত উচ্চমানের ফাইবার ইউরিক অ্যাসিডের উৎপাদন কমাতে সাহায্য করবে।

আপনার রায়

ইসরোর চন্দ্রযান-৩ কি তৃতীয় বারের এই অভিযানে সাফল্যের স্বাদ পাবে?

Skip to content