জন্মসূত্রে নারীর সঙ্গে রয়েছে দুখানা এক্স ক্রোমোজোম। গবেষণায় নাকি অনুমান করা হয়েছে নারীর অধিক জীবনীশক্তি কিংবা পুরুষ অপেক্ষা দীর্ঘজীবনের মূলেও রয়েছে এর হাত, সে যে অপ্রতিহতগতি হবে এতে আর আশ্চর্য কী? বছরদুয়েক আগের একটি জনপ্রিয় সংগীতবিষয়ক ওয়েবসিরিজে শুনেছিলাম সুরসাধিকা এবং গুরু মা তাঁর ছেলেকে সংগীতসম্রাট নামের এক মস্ত শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হবার জন্য সংগীতের পাঠ দেবার মুহূর্তে বলছেন, ‘বেটা, প্রাত্যহিক প্রতিটি কাজেই রয়েছে লয় আর সুর৷ তাই শুধু সুরসাধনা নয়, তুমি রোজের কাজে সেই সুরকে চেনার চেষ্টা করো৷ আপনিই জয়ের পথে এগিয়ে যাবে৷’ সংসার কিংবা অপরাপর গুরুদায়িত্ব সামলে যিনি এগিয়ে চলেন, তিনি হয়তো হন অপ্রতিহতগতি। কোনওভাবেই দমিয়ে রাখা যায় না তাঁকে৷ কারণ, ওই সুর আর ছন্দের অনুরণন তিনি খুঁজে পান প্রতি কাজে৷ তখন, না থাকে প্রাত্যহিকতার একঘেয়েমি, না থাকে স্বার্থচিন্তা৷ এইখানেই হয়তো নারী এগিয়ে, পুরুষদের থেকে৷
সন্তানের জন্মদাত্রী মায়ের কাঁধে যখন সংসার ও সন্তানের দায়ভার অলিখিত নিয়মেই বর্তায়, নিজের পরীক্ষা দেওয়ার আরও সুযোগ মেলে তার। এইখানেই নারী এগিয়ে পুরুষের থেকে। জন্মসূত্রে পাওয়া জীবনীশক্তিকে আশ্রয় করে সব বাধাবিপত্তি, সমাজের চোখরাঙানিকে জয় করে এগিয়ে যেতে পারে দুর্বার গতিতে।
কুর্নিশ সেই নারীকে যার অক্ষরের সঙ্গে পরিচয় ঘটেনি বটে, কিন্তু স্বামী যাকে ছেড়ে গেলেও হরেক প্রতিকূলতাতেও সে হাল ছাড়ে না, ঘরে বাইরে দায়িত্ব সামলে সন্তানকে বড় করে তোলে, তারপর একদিন দেখা যায়, নিজচেষ্টায় ছোট ছোট কাজ করে সঞ্চয় করে তৈরি করা পুঁজি দিয়ে সেই তার বেড়ে ওঠা পরিবারের লাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে, হিসেবনিকেশে পড়াশোনা জানা সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত মানুষেরও ভরসা অর্জন করেছে।
কুর্নিশ সেই নারীকে অতি উচ্চপদের গুরুদায়িত্ব সামলেও ক্লান্ত শরীর মনেই রাতে বাড়ি ফিরে ফের হাতে বই তুলে নিয়েছে, নিজে পড়েছে, উদাহরণ তৈরি করেছে নিজের সন্তানের কাছে। তারপর একদিন রাতবিরেতের সেই পড়াশোনায় সন্তান তার সঙ্গী হয়েছে। তা বলে দিনের গুরুদায়িত্বে ফাঁকি পড়েনি বিন্দুমাত্র।
কুর্নিশ সেই নারীকে যিনি নিজে গর্ভধারণ করেননি বটে, কিন্তু অগণিত ছাত্রের আশ্রয় হয়েছেন, ছাত্ররা যাঁকে মা বলে ডাকে।
কুর্নিশ সেই নারীকে যাঁর বিদ্যাচর্চা আর সংগীতসাধনা পরস্পরের বাধা হয়নি বরং এতটাই পরিপূরক হয়েছে, যে তাঁর সাধনা বহুজনের প্রেরণা, তাঁর সুর বহুজনের প্রাণের আরাম। যাঁর শিক্ষা বহুজনের আশ্রয়। কুর্নিশ তাঁদের সকলকে যাঁরা থামেন না, থামতে জানেন না, হার মানেন না, এগিয়ে চলাই যাঁদের ব্রত।
শত বেদনাতেও দীর্ণ হননি পৃথ্বীমাতা, শত প্রতিকূলতাতেও হার না মেনে চেনা অচেনা আমাদের চারপাশের কতশত নারী চলেছেন, হোঁচট খেয়েছেন, পড়েছেন, আবার উঠেছেন, দৃঢ়কণ্ঠে নিজের মত প্রতিষ্ঠা করেছেন, পথদ্রষ্টা হয়েছেন, কখনও বা অন্তরালবর্তিনী হয়ে শতেক ভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন নীরবে। কিন্তু হারেননি।
স্বর্গ মানে সেই সুখ যা আমাদের সকলের কাম্য। সেই স্বর্গনামের সুখের চাইতেও মায়ের গরিমা অধিক বলা হয়। সবসুখের সেরা সুখ মায়ের পরশ। নারীর এই মাতৃত্বশক্তিতে নারী এগিয়ে।
আজ আন্তর্জাতিক নারীদিবসে এই যেন প্রার্থনা হয়, প্রতি নারী আত্মশক্তিতে বলীয়ান হোক, আত্মমর্যাদাবোধ জাগ্রত হোক তার, স্বাধীনতা আসুক মনে, এগিয়ে চলুক পুরুষের সঙ্গে পা মিলিয়ে।
ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।
সন্তানের জন্মদাত্রী মায়ের কাঁধে যখন সংসার ও সন্তানের দায়ভার অলিখিত নিয়মেই বর্তায়, নিজের পরীক্ষা দেওয়ার আরও সুযোগ মেলে তার। এইখানেই নারী এগিয়ে পুরুষের থেকে। জন্মসূত্রে পাওয়া জীবনীশক্তিকে আশ্রয় করে সব বাধাবিপত্তি, সমাজের চোখরাঙানিকে জয় করে এগিয়ে যেতে পারে দুর্বার গতিতে।
কুর্নিশ সেই নারীকে যার অক্ষরের সঙ্গে পরিচয় ঘটেনি বটে, কিন্তু স্বামী যাকে ছেড়ে গেলেও হরেক প্রতিকূলতাতেও সে হাল ছাড়ে না, ঘরে বাইরে দায়িত্ব সামলে সন্তানকে বড় করে তোলে, তারপর একদিন দেখা যায়, নিজচেষ্টায় ছোট ছোট কাজ করে সঞ্চয় করে তৈরি করা পুঁজি দিয়ে সেই তার বেড়ে ওঠা পরিবারের লাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে, হিসেবনিকেশে পড়াশোনা জানা সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত মানুষেরও ভরসা অর্জন করেছে।
কুর্নিশ সেই নারীকে অতি উচ্চপদের গুরুদায়িত্ব সামলেও ক্লান্ত শরীর মনেই রাতে বাড়ি ফিরে ফের হাতে বই তুলে নিয়েছে, নিজে পড়েছে, উদাহরণ তৈরি করেছে নিজের সন্তানের কাছে। তারপর একদিন রাতবিরেতের সেই পড়াশোনায় সন্তান তার সঙ্গী হয়েছে। তা বলে দিনের গুরুদায়িত্বে ফাঁকি পড়েনি বিন্দুমাত্র।
কুর্নিশ সেই নারীকে যিনি নিজে গর্ভধারণ করেননি বটে, কিন্তু অগণিত ছাত্রের আশ্রয় হয়েছেন, ছাত্ররা যাঁকে মা বলে ডাকে।
কুর্নিশ সেই নারীকে যাঁর বিদ্যাচর্চা আর সংগীতসাধনা পরস্পরের বাধা হয়নি বরং এতটাই পরিপূরক হয়েছে, যে তাঁর সাধনা বহুজনের প্রেরণা, তাঁর সুর বহুজনের প্রাণের আরাম। যাঁর শিক্ষা বহুজনের আশ্রয়। কুর্নিশ তাঁদের সকলকে যাঁরা থামেন না, থামতে জানেন না, হার মানেন না, এগিয়ে চলাই যাঁদের ব্রত।
শত বেদনাতেও দীর্ণ হননি পৃথ্বীমাতা, শত প্রতিকূলতাতেও হার না মেনে চেনা অচেনা আমাদের চারপাশের কতশত নারী চলেছেন, হোঁচট খেয়েছেন, পড়েছেন, আবার উঠেছেন, দৃঢ়কণ্ঠে নিজের মত প্রতিষ্ঠা করেছেন, পথদ্রষ্টা হয়েছেন, কখনও বা অন্তরালবর্তিনী হয়ে শতেক ভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন নীরবে। কিন্তু হারেননি।
স্বর্গ মানে সেই সুখ যা আমাদের সকলের কাম্য। সেই স্বর্গনামের সুখের চাইতেও মায়ের গরিমা অধিক বলা হয়। সবসুখের সেরা সুখ মায়ের পরশ। নারীর এই মাতৃত্বশক্তিতে নারী এগিয়ে।
আজ আন্তর্জাতিক নারীদিবসে এই যেন প্রার্থনা হয়, প্রতি নারী আত্মশক্তিতে বলীয়ান হোক, আত্মমর্যাদাবোধ জাগ্রত হোক তার, স্বাধীনতা আসুক মনে, এগিয়ে চলুক পুরুষের সঙ্গে পা মিলিয়ে।
ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।