প্রাথমিকের চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে। প্রাথমিকে আপাতত নতুন করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে না। শুক্রবার এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১২ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল।
গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এ বিষয়ে একটি নির্দেশ জারি করেছিলেন। সেই নির্দেশে তিনি জানিয়েছিলেন, যে চাকরিপ্রার্থী ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁদেরকেও সুযোগ দিতে হবে। এ নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:
কিসের বিচ্ছেদ! চার বছর পরেও ‘কমরেড’ বিজয়কে মনে ধরে রেখেছেন রশ্মিকা
হাত বাড়ালেই বনৌষধি: টেম্পেল ট্রি চাঁপার এই গুণগুলি সম্পর্কে জানতেন?
এ নিয়ে উচ্চ আদালতে তাদের বক্তব্য ছিল, ডিএলএড পরীক্ষায় বিলম্ব হওয়ার জন্যই তাঁরা নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেননি। তাঁদের বক্তব্য শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ডিএলএড পরীক্ষার অন্তিম বর্ষের পড়ুয়াদেরও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই মামলায়।
আরও পড়ুন:
ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৯: যে তোরে পাগল বলে তারে তুই বলিস নে কিছু
নাট্যকার গিরিশচন্দ্রের সন্ধানে, পর্ব-৪১: ভক্তিমূলক নাটক রচনায় গিরিশচন্দ্র ঘোষ ছিলেন সিদ্ধহস্ত
যদিও এর পরে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, নিয়োগের দিন ঘোষণার দিন পর্যন্ত যাঁরা ডিএলএড পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁদের সবাইকেই এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে যান। আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় এই চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে মামলাটি লড়েন। সেই মামলার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল।