রোজ একঘেয়ে খাবার খেতে ভাল না লাগলে, বাড়িতে হঠাৎ অতিথি এলে কিংবা স্বাদবদল করতে সমাধান একটিই— ‘ফাস্ট ফুড’। পাড়ার মোড়ে জ্বলজ্বল করতে থাকা এই বিপণিগুলিতে যে ধরনের খাবার পাওয়া যায়, সেগুলিতে ক্যালোরির মাত্রাও বেশি এবং স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। তা সত্ত্বেও শুধুমাত্র স্বাদের কারণে এই সব খাবার খেয়ে ফেলার প্রবণতা দেখা যায় অনেকের মধ্যে। আগেও এই ধরনের ফাস্ট ফুড খাওয়ার চল ছিল। তবে একটি সমীক্ষা বলছে, আমেরিকায় ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে তার হার বেড়েছে প্রায় ৩৭ শতাংশ। ভারতের পরিসংখ্যানটি নেহাত কম নয়। অনেকেই জানেন, এ ধরনের খাবার খেতে ভাল লাগছে বলেই একটানা খেয়ে ফেলা যায় না। শরীর খারাপ হয়। পেটেরও গন্ডগোল হতে পারে। কিন্তু এই খাবারগুলি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে কেমন প্রভাব ফেলে, তা জানা আছে কি?
উৎসবের দিনগুলোতে সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবার জন্য শিশু থেকে বৃদ্ধ সবারই ভরসা ফাস্ট ফুডে। বিশেষত, জেনারেশন-এক্স তো এখন ফাস্টফুডেই মজে আছে। সময় থাকুক বা না থাকুক মন খারাপ বা ভালো একা বা একসঙ্গে পকেটমানি কম বা বেশি—সব সময়ই হিট পিৎজা, বার্গার, হট ডগ, কেক, পেস্ট্রি, চকোলেট, আইসক্রিম, চাউমিন, রোল, চিপস বা কোল্ড ড্রিঙ্কস যখন যা পছন্দ আর কি। সম্ভবত, ১৮৬০ সালে ব্রিটেনে প্রথম ফাস্টফুড হিসেবে ফিশ অ্যান্ড চিপ চালু হয়েছিল। ফাস্টফুড শব্দটা প্রথম ১৯৫১ সালে ইংরেজি মারিয়ম ওয়েবস্টার অভিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়ে স্বীকৃতি লাভ করে। মজার ব্যাপার, মিষ্টি কিন্তু ফাস্টফুডের তালিকাভুক্ত নয়।