সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


ড্যাশ ডায়েট আর হাইপারটেনশন কথা দুটো যেন একে অন্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ড্যাশ (DASH) কথার অর্থ ডায়েটারি অ্যাপ্রচেস টু স্টপ হাইপারটেনশন। হাইপারটেনশন বা হাই ব্লাড প্রেশার এখন যেকোনও বয়সী মানুষের মধ্যেই একটা বিশেষ সমস্যা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাইপার টেনশনের প্রাথমিক কোনও লক্ষণ না থাকায় যখন ধরা পড়ে তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। ‘সাইলেন্ট কিলার’ হিসাবে রোগ বাড়তে থাকে দেহের অভ্যন্তরে।

হাই ব্লাড প্রেশার আসলে কী?
ধমনী গাত্রে রক্তের স্বাভাবিক সংকোচন ও প্রসারণ জনিত চাপ ১২০/৮০ মিমি পারদ স্তম্ভের চাপের সঙ্গে সমান। কিন্তু এই মাত্রা বাড়তি বাড়তে ১৪০/ ৯০ ছাড়ালেই হাইপারটেনশন। প্রি-হাইপারটেনসিভদের রক্তের চাপ ১২০-১৩৯/৮০-৮৯। এরা বিজ্ঞানসম্মত ডায়েট, শরীরচর্চা, নির্দিষ্ট মাত্রায় লবণ খাওয়া এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের চেষ্টা না করলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই হাইপারটেনসিভদের তালিকাভুক্ত হয়ে পড়বেন তাতে সন্দেহ নেই।

হাইপার টেনশনের লক্ষণ
প্রাথমিকভাবে হাইপারটেনশনের সেরকম কোনও লক্ষণ না থাকলেও হঠাৎ করে অতিরিক্ত ঘাম, বুক ধড়ফড় করা, তীব্র ক্লান্তি, চোখে ঝাপসা দেখা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, কানমাথা, গরম হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে রক্ত পড়া ইত্যাদি সব সমস্যার এক বা একাধিক দেখা দেওয়া মাত্রই ব্লাড প্রেশার চেক করিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন।

ড্যাশ ডায়েটের মূল কথা
প্রি-হাইপারটেনসিভদের জন্য এই ড্যাশ ডায়েট অত্যন্ত উপকারী। মাত্র কয়েকদিন অনুশীলনের মাধ্যমে ঊর্ধ্বগামী রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

আলোচনা করেছেন শম্পা চক্রবর্তী, ডায়েট কনসালটেন্ট।


Skip to content