বুধবার ২৬ মার্চ, ২০২৫


এখন দ্রোহকাল। বিপ্লবের সময়। আজ এক বিদ্রোহিনীর গল্প বলি। হয়তো তিনি লেখক হতে পারতেন। তিনি তাঁর জীবনযাপনের মধ্যেই উনিশ শতকে ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলে চিকের আড়ালে কত জ্যোতির্ময়ী আলোর শিখা যে প্রচারের আলো পাননি, ভাবলে অবাক লাগে। সময়টা মেয়েদের জন্য গহীন আঁধারের। সেই যুগে দাঁড়িয়ে দৃপ্ত ভঙ্গিতে নিজেদের ইচ্ছের মর্যাদা রাখতে পেরেছিলেন যাঁরা, তাঁরা প্রত্যেকেই আলোকবর্তিকা। এমনই একজনের কথা বলবো আজ। দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র গিরীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী যোগমায়া দেবী।
যশোর জেলার চেঁচুরি অঞ্চলের মদনমোহন চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা ছিলেন যোগমায়া। অপৌত্তলিক দেবেন্দ্রনাথের বিপরীতে দাঁড়িয়ে তিনি নিশ্চিন্ত গৃহসুখ নয়, চেয়ে নিয়েছিলেন গৃহদেবতা লক্ষ্মী জনার্দনকে। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তখন ব্রাহ্মধর্মের অপ্রতিরোধ্য প্রতিষ্ঠানু। তাঁর কথায় জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে মূর্তিপুজো স্তব্ধ হয়ে যায়। অন্দরমহলে লুকিয়ে, গোপনে পুজো, ব্রতপালন করতেন মেয়েরা। কিন্তু সে তো নিঃশব্দ ভীরু ভঙ্গিতে। যোগমায়া দেবী নিজের ইচ্ছের আড়াল রাখেন নি। এইখানেই তাঁকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হতেই পারে আধুনিক মেয়েদের মুগ্ধতা।

Skip to content