বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি : প্রতীকী

বাস্তুশাস্ত্র যে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক এক ভাবনা, পরিচ্ছেদে সে কথাই বিশ্লেষণ করে দেখানোর চেষ্টা করছি৷ ‘দিক’ এবং ‘সৌরশক্তি’ ছাড়াও বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী গৃহনির্মাণ কীভাবে মহাজাগতিক রশ্মির কম্পনের উপর নির্ভরশীল এই অধ্যায়ে বিশ্লেষণ করছি সেই প্রসঙ্গ৷ আমাদের প্রাচীন জ্ঞানতাপসেরা বাস্তুশাস্ত্রের জনক৷ তাঁদের অতীন্দ্রিয় কল্পনাশক্তি এবং অন্তর্দর্শনের ফসল হল বাস্তু৷ বলা বাহুল্য, মানবসমাজ এবং স্থাপত্যের ওপরে ব্রহ্মাণ্ডের মহাজাগতিক শক্তির সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম প্রভাব বৈদিকযুগের জ্ঞানতাপসদের অজানা ছিল না৷ স্বীয় সাধনার বলে নিখিল বিশ্বের এ রহস্যময় শক্তিগুলির সম্যক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন তাঁরা৷ নিউটনের আবির্ভাবের পূর্বে পশ্চিমি দুনিয়ার বিশ্বাস ছিল, পৃথিবীতে মনুষ্য অথবা প্রকৃতিসৃষ্ট অস্থায়ী শক্তি ব্যতিরেকে অন্য কোনও শক্তির সম্ভাবনা অবান্তর৷ নিউটন সর্বপ্রথম এই ধারণার মূলে কুঠারাঘাত করেন৷ তিনি প্রমাণ করেন যে, পৃথিবী নিজেই এক প্রকাণ্ড শক্তির উৎস৷ নিউটন এই পার্থিব শক্তির নাম দেন গ্রাভিটেশন বা মাধ্যাকর্ষণ৷ যদিও নিউটন সপ্তদশ শতাব্দীতে এই মাধ্যাকর্ষণের তত্ত্ব আবিষ্কার করে আধুনিক জগৎকে চমকে দেন, তবুও আশ্চর্যের ব্যাপার নিউটনের আবিষ্কারের প্রায় ৬০০ বছর আগে ১১১৪ সালে ভারতীয় গণিতাচার্য ভাস্করাচার্য পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কথা তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘সিদ্ধান্ত শিরোমণি’ গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেন৷ নিম্নলিখিত শ্লোকে তারই উল্লেখ আছে৷
আকৃষ্ট-শক্তিশ্চ মহী তয়া যৎ
খস্তং গুরু স্বামিমুখং স্বশক্ত্যা৷
আকৃষ্যতে তৎপততীব ভাতি
সমে সমন্তাৎ ক্ক পতত্বিয়ং খে৷৷
অর্থাৎ পৃথিবীর নিজস্ব আকর্ষণশক্তি আছে৷ যে কোনও গুরু অর্থাৎ ভারী বস্তুকে সে তার কেন্দ্রে আকর্ষণ করে৷
ভাস্করাচার্যের ‘সিদ্ধান্ত শিরোমণি’ গ্রন্থটি চারি খণ্ডে বিভক্ত—লীলাবতী, বীজগণিত, গণিতাধ্যায় ও গোলাধ্যায়৷ আধুনিক পশ্চিমি গণিতশাস্ত্র ভারতীয় গণিতশাস্ত্রের কাছে অশেষ ঋণী৷ শূন্যের আবিষ্কার থেকে দশমিকের আবিষ্কার সবই ভারতীয় গণিতজ্ঞের কৃতিত্ব৷ ভাস্করাচার্য তাঁর গ্রন্থে বৃত্ততত্ত্বের উল্লেখ করেছেন৷ সেখানে তিনি বৃত্ত. বৃত্তের ব্যাস, পরিধি, ব্যাসার্ধ ও বৃত্তকেন্দ্র সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেছেন৷
বৃক্ষাদ্ধস্তশতোচ্ছয়াচ্ছতযুগে বাপীং কপিঃ
কোপ্যগদুত্তীর্চ্যাথপরোদ্রুতং শ্রুতিপথেনোড্ডীয় কিঞ্চিদ্ দুমাৎ৷৷
যাতৈবং সমতা তয়োর্থদিগতাবুড্ডীনমানং
কিয়দ্বিদ্বনচেৎসুপরিশ্রমোহন্তিগণিতে ক্ষিপ্রং তদাচক্ষব মেং৷৷
পৃথিবীর বুকে মাধ্যাকর্ষণই একমাত্র শক্তি নয়৷ একাধিক চৌম্বকীয় এবং তড়িৎ চুম্বকীয় বলেরও সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ তাঁদের মতে, অগুনতি ‘কম্পন’ পৃথিবীর বুকে ক্রিয়াশীল৷ সাম্প্রতিক পরীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে, এই মহাজাগতিক কম্পনগুলির উৎস এক ও অভিন্ন৷ এরই উৎস থেকে বিকীর্ণ হয়ে মহাজাগতিক শক্তি সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডে ছড়িয়ে পড়ে৷ ভারতীয় ঋষিকুল ভূপৃষ্ঠে এই মহাজাগতিক শক্তির ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন হলেও, পশ্চিমি সমাজকে এ ব্যাপারে অবহিত করার কৃতিত্ব এক জার্মান বিজ্ঞানী ড. এর্মেজ হার্টম্যান-এর৷ ড. হার্টম্যান ভূপৃষ্ঠের গায়ে তারের জালির মতো লেগে থাকা একগুচ্ছ রশ্মি আবিষ্কার করেন৷ ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক আধারযুক্ত এই রশ্মিগুলি উল্লম্বভাবে ভূমি থেকে বিচ্ছুরিত হচ্ছে—অনেকটা তেজস্ক্রিয় প্রাচীরের ধাঁচে৷ প্রতিটির ঘনত্ব ২১ সেন্টিমিটার৷ উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রতি দু-মিটার অন্তর এই ধরনের রশ্মি বিকিরণ হয়৷ মিশরে চিপোর পিরামিডের গাণিতিক বীজগুলির সঙ্গে এই মহাজাগতিক রশ্মিগুচ্ছের অত্যাশ্চর্য মিল রয়েছে৷ এর্মেজ হার্টম্যান এও আবিষ্কার করেন যে, ভূপৃষ্ঠ থেকে বিচ্ছুরিত রশ্মিগুলি পরস্পরকে ছেদ করে৷ এই ছেদবিন্দুগুলি মানবদেহের ওপর অত্যন্ত অশুভ প্রভাব ফেলতে পারে৷ কয়েকটি ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে ‘হার্টম্যান নেটওয়ার্ক’-এর ছেদবিন্দু৷ অন্যান্য পারিপার্শ্বিক প্রভাব (শারীরিক, পরিবেশগত ইত্যাদি) ছাড়াও বাস্তুশাস্ত্রে ভূমি থেকে নির্গত হয়ে ভূমণ্ডল পরিবেষ্টনকারী এই শক্তির বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে৷

আমাদের জীবন নির্ভর করে প্রকৃতির পাঁচটি শক্তি—সূর্যের বিকিরণ, পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র, মাধ্যাকর্ষণ, বাতাসের গতিবেগ এবং মহাজাগতিক শক্তিসমূহের উপর৷
সূর্যের রশ্মি হল তড়িচ্চুম্বকীয় বিকিরণ৷ এই বিকিরণের ব্যাপ্তি সুদূরবিস্তৃত ক্ষেত্রে, তা মহাজাগতিক রশ্মি থেকে বেতার তরঙ্গেও৷ সূর্যরশ্মির একটি সামান্য অংশ যা আমরা খালিচোখে দেখতে পাই এবং যা সাদা রঙের বলে প্রতিভাত হয়, তার পিছনে লুকিয়ে আছে রামধনুর সাত রং—বেনীআসহকলা (VIBGYOR) ৷ এ রংগুলি হল বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল৷ আসলে রংগুলি রয়েছে বেগুনি থেকে লালের মধ্যেই৷ বেগুনি রঙের থেকে বেশি ক্ষমতার রশ্মিকে বলে অতিবেগুনি (Ultraviolet) রশ্মি৷ আর লাল রঙের থেকে বেশি ক্ষমতার রশ্মিকে বলে অবলোহিত (Infrared) রশ্মি৷ মানুষের জীবনে অবলোহিত রশ্মি অতি প্রয়োজনীয়৷ এ রশ্মির সাহায্যে প্যারালিসিস, পেশির বেদনা ও নানাবিধ অসুখ সারানো সম্ভব৷ অথচ অতিবেগুনি রশ্মি মানুষের জীবনের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর৷ এই অতিবেগুনি রশ্মির কারণে দেহে জিনঘটিত নানা রোগ সৃষ্টি তো হয়ই, সেই সঙ্গে সৃষ্টি করে বিভিন্ন চর্মরোগ৷ আধুনিক বিজ্ঞানীরা সূর্যরশ্মির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে মানবসমাজকে সচেতন করছেন৷ অথচ সুপ্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদশাস্ত্রে সূর্যরশ্মি বিজ্ঞান সম্পর্কে কয়েক সহস্র বছর আগেই বিশদ আলোচনা রয়েছে৷ সূর্যের এ ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচতে এখনকার ফোটোগ্রাফাররা ছবি তোলার সময় আল্ট্রাভায়োলেট ফিল্টার (UV Filter) ব্যবহার করছেন৷

বাস্তুশাস্ত্রের মূল কথাই হল, কেমন করে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে মানবজীবনকে রক্ষা করে উপকারী অবলোহিত রশ্মির সুফল লাভ করা যায়৷ সেই কারণে বাড়িঘর এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে বাড়িতে অতিবেগুনি রশ্মি না ঢুকতে পারে৷ বরং অবলোহিত রশ্মির যাতায়াত অবাধ হয়৷ যেহেতু অবলোহিত রশ্মি আসে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে, সেই কারণে বাস্তুশাস্ত্রে বাড়ির উত্তর-পূর্ব অঞ্চলকে বেশি খোলা রাখতে বলা হয়েছে৷ আবার অতিবেগুনি রশ্মি বেশি পরিমাণে আসে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে৷ তাই বাস্তুশাস্ত্রে বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকটি কম খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে৷
আমরা জানি যে, পৃথিবী নিজেই একটি বৃহৎ চুম্বক৷ চুম্বকের ধর্ম হল তাকে যদি খণ্ড খণ্ড করে হাজার হাজার টুকরো করা যায়, তবে প্রতিটি খণ্ডই একটি চুম্বকে পরিণত হবে৷ আর মজার ব্যাপার হল প্রতিটি খণ্ডেই চুম্বকীয় ধর্মগুলি বিদ্যমান থাকে৷ অনুরূপে সমগ্র পৃথিবীকে শত সহস্র খণ্ডে বিভক্ত করলে প্রতিটি খণ্ডেই চুম্বকীয় ধর্ম থাকবে৷ তাই একটি বিশাল আকারের জমি হোক বা অতি ক্ষুদ্র প্লটই হোক, প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রতিটি জমিতে থাকবে চুম্বকের গুণাবলি৷

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রতিটি বস্তু থেকেই যার যার নিজস্ব তরঙ্গে প্রতিনিয়ত শক্তি বিকিরণ হয়৷ কেবলমাত্র কঠিন, তরল বা গ্যাসের থেকেই নয়, প্রতিটি অণু, তন্তু ও কোষ থেকেও শক্তি বিকিরিত হয়৷ কিছু বস্তু থেকে বিকিরিত হয় ধনাত্মক শক্তি, আবার কিছু বস্তু থেকে বিকিরিত হয় ঋণাত্মক শক্তি৷ যে সমস্ত বস্তু থেকে ধনাত্মক শক্তি বিকিরিত হয় সেগুলি উপকারী৷ আর যে সমস্ত বস্তু থেকে বিকিরিত হয় ঋণাত্মক শক্তি সেগুলি ক্ষতিকর৷ বস্তু থেকে বিকিরিত ক্ষতিকর ঋণাত্মক শক্তিকে কেমনভাবে প্রতিহত করা যায় তারও নির্দেশ আছে বাস্তুশাস্ত্রে৷ আর সেই নির্দেশাবলিই হল বাস্তুকলা৷

আমাদের চারপাশে যে সমস্ত বস্তু বিরাজ করে তার মধ্যে বেশ কিছু বস্তু হল ধনাত্মক শক্তিসম্পন্ন এবং বেশ কিছু বস্তুর রয়েছে ঋণাত্মক শক্তি৷ আমরা আগেই বলেছি যে ঋণাত্মক শক্তিসম্পন্ন বস্তুতে রয়েছে ঋণাত্মক শক্তি৷ আর এই ঋণাত্মক শক্তিসম্পন্ন বস্তু মানবজীবনের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক৷ আর ধনাত্মক শক্তিসম্পন্ন বস্তু মানবজীবনের কাছে উপকারী বন্ধু৷ ধনাত্মক শক্তিসম্পন্ন বস্তুর উদাহরণ হল—পিতল, ক্রিস্টাল, চিনামাটি, সেরামিক বেশ কিছু পাথর, সুরকি, কাঠ, গাছপালা ইত্যাদি৷ আর ঋণাত্মক বস্তুসকল হল—লোহা, আক্রেলিক, পলিথিন, নাইলন, পিভিসি, সিন্থেটিক ভিনাইল, গ্রানাইট ইত্যাদি৷ এই ঋণাত্মক বস্তুসকল পরিহার করলে ভালো৷ আর ধনাত্মক বস্তুসকল জীবনের প্রতি ক্ষেত্রেই উপকারী৷ ঋণাত্মক শক্তি মানবদেহে উৎপন্ন করে ক্ষতিকারক সিরোটিনিন ও হিস্টামাইন৷ যার ফলে অসুস্থতা সৃষ্টি হয় এবং জীবনীশক্তি কমিয়ে দিয়ে হতাশা বাড়ায়৷

বাড়ির নকশা করার সময় বাতাসের গতিবেগের কথা মাথায় রাখা অবশ্যই প্রয়োজনীয় বিষয়৷ কেননা বাতাসের গতিবেগ ও দিকনির্দেশ নির্ভর করে সূর্যের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের উপর৷ তাই কেরলে প্রবাহিত হাওয়ার গতিবেগ ও রাজস্থানের মরু অঞ্চলের হাওয়ার গতিবেগ এক নয়৷ কেরলের হাওয়ার গতিবেগ সমুদ্রোপকূলবর্তী বলে অনেক বেশি৷ আর বৃষ্টিও বেশি৷ তাই কেরলের বাড়ির ছাদ ঢালু করা হয়৷ সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলে এর বিপরীত চিত্র৷ ছাদের তল করা হয় সমতল৷

আমরা সূর্যকিরণ সারাদিন ধরে পাই, রাতে পাই না৷ কিন্তু মহাজাগতিক রশ্মি ২৪ ঘণ্টা ধরেই চলে৷ অথচ খালিচোখে তা দৃশ্যমান নয়৷ এই মহাজাগতিক রশ্মিকে বাস্তু পরিকল্পনার সাহায্যে একত্রিত করে মানবজীবনের কল্যাণে ব্যবহার করা যায়৷ মজার কথা হল বাস্তুশাস্ত্রে জমি-বাড়ির সকল ত্রুটি থেকে মুক্তির উপায়ও বলা আছে৷ আর সেই উপায় খোঁজা যায় অভিজ্ঞ বাস্তুশাস্ত্রীর মাধ্যমে৷ বাস্তু শুধু ভারতীয় স্থাপত্যবিদ্যা নয়, আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত শাস্ত্রও৷

বলা বাহুল্য, বাস্তুশাস্ত্র শিল্প, বিজ্ঞান, গ্রহবিজ্ঞান, জ্যোতিষশাস্ত্র এবং অতীন্দ্রিয়বাদের সমন্বয়৷ মানবসমাজের ওপর প্রভাব বিস্তারকারী অন্যান্য বিষয়, যেমন, আবহাওয়া, তাপমাত্রা, বায়ুচাপ, বাতাসের গতি ও অভিমুখ, রৌদ্রালোক, আর্দ্রতা, তেজস্ক্রিয়তা, সময়, মহাশূন্য এবং বাসস্থানের চর্চারও অপর নাম বাস্তুশাস্ত্র৷ হিন্দুশাস্ত্রে এই মহাজাগতিক শক্তিপুঞ্জকে ‘মহাভূত’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে৷ এই কম্পন এবং পৃথিবীর পঞ্চতত্ত্বই (ক্ষিতি, অপ্, তেজ, মরুৎ, ব্যোম) বিভিন্ন মহাজাগতিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার জন্য দায়ী৷ এইগুলি মানবসমাজের কল্যাণে ব্যবহার করাই বাস্তুশাস্ত্রের লক্ষ্য৷
* বাস্তুবিজ্ঞান (Vastu Shastra): সুরেন্দ্র কাপুর (Surendra Kapoor), বিশিষ্ট বাস্তুবিদ।

 


Skip to content