বুধবার ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫


ছবি প্রতীকী

বসবাসের উপযুক্ত জমি হল সুষম আকারের জমি৷ মনে রাখতে হবে, প্রতিটি জমি নিজেই একটি চুম্বক৷ কাজেই জমির আকার যদি বিষম হয় তবে সেই জমিতে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র সমভাবে বণ্টিত হতে পারবে৷ আর জমির আকার যদি বিষম হয় তবে সেই জমিতে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র বিষমভাবে বণ্টিত হবে৷ এর ফলে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র পুরোপুরি জমির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে হয় জমির বাইরে চলে যাবে অথবা জমির মধ্যে বিষমভাবে বণ্টিত হবে৷

আবার, কোনও জমির সংলগ্ন জমি ক্রয়ের ব্যাপারেও কয়েকটি কথা মাথায় রাখতে হবে৷ বর্তমান জমির বর্ধিতকরণের ক্ষেত্রে অবশ্যই দেখতে হবে যে বর্ধিত সেই জমিতে উপকারী অবলোহিত রশ্মিস্রোত প্রচুর পরিমাণে পড়ে কি না৷ সেই কারণে কোনও জমির বর্ধিতকরণ উত্তর, পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব দিকে ভালো৷ কেননা ওই দিকগুলি বর্ধিত করলে সেই খোলা অংশ দিয়ে সূর্যের উপকারী অবলোহিত রশ্মি সহজেই মাটিতে পড়ে বিকিরিত হতে পারবে৷
ছবি বসবে৷
বাস্তু এবং জিওপ্যাথিক স্ট্রেস (Geopathic Stress) নিয়ে সাম্প্রতিক কিছু নির্দিষ্ট পত্রপত্রিকায় কয়েকটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে এই বিষয়টি নিয়ে মানুষের মনে যথেষ্ট কৌতূহলের উদ্রেক হয়েছে৷ অরা স্ক্যানারের সাহায্যে, যা কিনা বর্তমানে সহজেই ক্রয় করা সম্ভব, ধনাত্মক ও ঋণাত্মক (Positive and Negative) শক্তিকে চিহ্নিতকরণ এবং পরিমাণ উভয়ই করা সম্ভব৷ তবে অরা শক্তির চিহ্নিতকতরণ এবং সংশোধনের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিটি আমাদের ভালো করে বুঝতে হবে৷
আরও পড়ুন:

বাস্তুবিজ্ঞান, পর্ব-১৭: বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী গৃহনির্মাণের জন্য উত্তম জমি বাছাইয়ের ক্ষেত্র দিক নির্ণয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ

অন্দরসজ্জার ভোল পাল্টাতে গাছ লাগান, ভবে এই বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখুন

ক্রমশ কি বাংলার দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিতরাং’! কবে, কোথায়, কেমন প্রভাব?

আমাদের প্রায় প্রত্যেকেরই ধারণা এই যে, বাস্তুশাস্ত্র হল গৃহনির্মাণ সংক্রান্ত এক শাস্ত্র৷ কিন্তু প্রকৃত অর্থে দেখতে গেলে বাস্তু হল জড় পদার্থ (Matter) ও তার আকার বা আকৃতি সংক্রান্ত এক শাস্ত্র যার প্রভাব অবশ্যভাবে গৃহের জ্যামিতিক গঠনের উপর বর্তায়৷ আমাদের এটা বুঝতে হবে যে, এই পৃথিবীর প্রত্যেকটি জড় পদার্থ জ্যামিতিক এবং আলোকধর্ম মেনে চলে৷ আর এই কারণেই আমরা একটি ফলকে তার বর্ণ সমেত, একটি ফুলকে তার বর্ণ সমেত বা অন্যান্য বস্তুগুলিকে চোখে দেখতে পাই, যা নির্ভর করে তাদের অভ্যন্তরীণ আণবিক গঠনের উপর৷

আইনস্টাইনের সেই বিখ্যাত ফরমূলা E=mc2-এর কথা আমরা সবাই জানি৷ যেখানে E=শক্তি m=ভর এবং c= আলোর গতিবেগ৷ সংস্কৃতে এই ‘m’-কে বাস্তু (vastu) হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে বাস্তু = জড় পদার্থ (matter) যার ভিতর শক্তি বা Energy রয়েছে? আর এই বাস্তুতে যারা বসবাস করে তারা ভর এবং শক্তির সমন্বয়ে তৈরি৷
মানুষ = জড় + প্রাণ
= দেহ + প্রাণ
= ভর + শক্তি
আরও পড়ুন:

ধনতেরসে সোনা কিনছেন? কেনার আগে অবশ্যই এই পাঁচটি বিষয় মাথায় রাখুন নিজস্ব প্রতিবেদন

আগামী বছর অনেক ছুটি নষ্ট, পুষিয়ে দিয়ে বাড়তি ছুটির তালিকা ঘোষণা করল নবান্ন

বাতাসে হিমেল ভাব, শীতকাল কি তবে দোরগোড়ায়!

পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে মানবদেহ থেকে যে শক্তি নির্গত হয় তা এক ওয়াটের একটি বৈদ্যুতিক বাতির শক্তির সমান৷ আমাদের এটা জানা এবং বোঝা উচিত যে, এই শরীর ভূশক্তি এবং মহাজাগতিক শক্তি (Telluric energy & Cosmic energy) উভয়ের সমন্বয়ে গঠিত৷ অতএব বাস্তুদোষ সংশোধনের জন্য Telluric এবং Cosmic দু ধরনের শক্তিকেই হিসেবের মধ্যে আনতে হবে৷ আর এইভাবে বাস্তুদোষ সংশোধন করা হলে তবেই সেই বাস্তু হয়ে উঠবে সর্বাঙ্গীণ মঙ্গলময়৷ আজকাল বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং পাওয়ার প্ল্যান্টে এভাবেই বাস্তু সংশোধন সাফ্যল্যর সঙ্গে করা হচ্ছে৷
* বাস্তুবিজ্ঞান (Vastu Shastra): সুরেন্দ্র কাপুর (Surendra Kapoor), বিশিষ্ট বাস্তুবিদ।

Skip to content