সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।

আমরা প্রত্যেকেই বছরের শুরুতে কিংবা মাসের প্রথমে অনেক কিছুর জন্য পরিকল্পনা করে থাকি। বিশেষ করে সঞ্চয় সংক্রান্ত। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই এই পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত কার্যকরী হয় না। এর অবশ্য কতগুলো কারণ আছে। আমরা সকলেই জানি যে, আয় আমাদের যেমনই হোক না কেন, সঞ্চয় করা জরুরি। কারণ সঞ্চয়ের ওপরেই কিন্তু ভবিষ্যতের ভালো থাকা বা না থাকা নির্ভর করে। তাই সকলেরই উচিত আয় অনুযায়ী কিছু না কিছু সঞ্চয় করা। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও কিছুতেই আপনার খরচ কমছে না কিংবা কোনওভাবেই সঞ্চয় হয়ে উঠছে না। সমস্যার সমাধানে কয়েকটি টিপস রইল।

মাসের প্রথমেই একটা বাজেট করুন। সেই অনুযায়ী একটা তালিকা তৈরি করে ফেলুন। কোন খাতে কত টাকা লাগতে পারে তার মোটামুটি হিসেব করে নিন। এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী একটি আলাদা খামে বা ফোল্ডারে প্রত্যেকটি খাতের জন্য আলাদা আলাদা করে টাকা রেখে দিন। এই যেমন ধরুন বাজার, ছেলেমেয়েদের টিউশান, মুদিখানা দোকানের খরচ, বিদ্যুতের বিল ইত্যাদি। এর পরে একটা খাম কিংবা ফোল্ডার রাখুন কিছু টাকা জমাবার জন্য। দেখবেন মাসের শেষে কিছু না কিছু টাকা তার মধ্যে ঠিকই জমা পড়েছে।

অনেকে আবার মোবাইল ফোনে খরচের তালিকা বানিয়ে ফেলেন। আপনি একটি নির্দিষ্ট খাতা বানিয়ে তার মধ্যে প্রতিমাসের খরচের তালিকা বানিয়ে ব্যাগ, ফোল্ডার বা খামে টাকা ভরে দেবার পর খাতাতে টিক দিতে পারেন। তাহলে বুঝতে পারবেন মাসের শেষে আপনাকে সঞ্চয় করতে গেলে কতটা ব্যয় কমাতে হতে পারে।

অনেক সময় আমরা প্রায়ই একটু রাস্তা হাঁটার পরিবর্তে অটো বা রিকশায় উঠে পড়ি। সাধারণত দরকার না হলে অটো বা রিকশায় না উঠে যে দূরত্ব হেঁটে যাওয়া যায় তা হেঁটেই চলে যান। এতে যেমন সঞ্চয় হবে তেমনি স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।

সিগারেট বা অন্য কোনো নেশা থাকলে খরচের কথা মাথায় রেখে নেশা করুন। প্রথমেই হিসেব করে দেখে নিন দিনে কত টাকার সিগারেট খাচ্ছেন ।সেই হিসাব অনুযায়ী মাসের হিসাব করলেই আপনার কাছে খরচটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

আমরা এখন অনেকেই বাড়ির খাবারের পরিবর্তে রেস্তরাঁয় গিয়ে কিংবা অনলাইনে অর্ডার করে লাঞ্চ বা ডিনার সেরে ফেলি। এই অভ্যাসটি তাড়াতাড়ি বর্জন না করলে কখনওই সঞ্চয় করা সম্ভব নয়। অনেক সময় নানান রকম খাবার খেতে ইচ্ছা করলে নিজেই বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন। নিজের হাতে নতুন ধরনের খাবার বানালে দেখবেন মন ভালো হয়ে যায়।

ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ডের যুগে অনেকেই খরচের কথা না ভেবে অযথাই কেনাকাটা করে ফেলেন। আমাদের এই নেশাকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। প্রয়োজন না পড়লে শপিং থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখাই ভালো।

Skip to content