ভ্রমণ প্রিয় বাঙালি সবসময়ই চেনা পথ ছেড়ে অচেনা জায়গাতেই ঘুরতে বেশি ভালোবাসে। এবার বেড়ানোর জনপ্রিয় ডেস্টিনেশন হতে পারে ডুয়ার্স। শুধু জঙ্গল সাফারির জন্য নয়, পর্যটকদের মন কাড়বে নতুন ধরনের খাবারও। বহু মানুষই বেড়াতে গিয়ে স্থানীয় পদ চেখে দেখতে পছন্দ করেন। এবার সেই সুযোগ মিলবে সবুজে মোড়া ডুয়ার্সে।
ডুয়ার্সে বেড়াতে এসে জঙ্গল সাফারি বা হাতি সাফারির সঙ্গে থাকছে জনজাতিদের বিভিন্ন খাবার-দাবারও। জলদাপাড়ার বিভিন্ন ইকো ট্যুরিজম সোসাইটি ও হোম স্টে মালিকদের সৌজন্যে এবার পর্যটকদের পাতে পড়তে পারে ছ্যাকা, সিদল, শামুক জাতীয় জনজাতিদের বিভিন্ন খাবারের উপকরণ। চাইলে মিলতে পারে রেশম কিট পোকা ভাজাও, যা মেচ সম্প্রদায়ের মানুষের অন্যতম সুস্বাদু খাবার।
আরও পড়ুন:
অমরনাথের পথে, পর্ব-৬: এবার বালতাল হয়ে ফেরার পালা
ছোটদের যত্নে: আপনার সন্তান কি প্রায়ই কাঁদে? শিশুর কান্না থামানোর সহজ উপায় বলে দিচ্ছেন ডাক্তারবাবু
এখানে ভারতের বিভিন্ন ভাষা ও জনগোষ্ঠীর মানুষজন রয়েছেন। আর সেই সব বিভিন্ন জনজাতির মানুষদের জীবনযাপন খাওয়া-দাওয়া পর্যটকদের কাছে বরাবরই একটা আকর্ষণের বিষয়। তাই ডুয়ার্সকে ‘মিনি ভারত’ বলেন অনেকে। পর্যটকদের সেই পছন্দের কথা মাথায় রেখে জনজাতিদের বিভিন্ন খাবার পর্যটকদের পাতে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন জলদাপাড়ার পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন:
মাইগ্রেনের মুক্তি সঠিক ডায়েটেই, রোজকার খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলি
জগদ্ধাত্রীপুজোয় ব্রেকফাস্টে বানিয়ে ফেলুন পদ্মলুচি, রইল সহজ রেসিপি
শুকনো মাছ ও কচুর ডগা দিয়ে তৈরি হয় ‘সিদল’, যা রাভা ও রাজবংশী সম্প্রদায়ের অন্যতম সুস্বাদু খাবার। আর নদীর পাড় থেকে তুলে আনা জ্যান্ত শামুক খোসা ছাড়িয়ে জম্পেশ করে রান্না করে তৈরি করা হয় ‘ঘুঙ্গি’।
জানা গিয়েছে, এই সব খাবার তৈরি করতে পারেন, বিভিন্ন জনজাতি সম্প্রদায়ের বয়স্ক রাঁধুনিদের খুজে বের করে, তাঁদের দিয়ে এই সব খাবার রান্নার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফলে জলদাপাড়ায় বেড়াতে এসে এবার জঙ্গল সাফারি, জনজাতি নাচের সঙ্গে মিলবে জনজাতীদের প্রিয় খাবারও।
জানা গিয়েছে, এই সব খাবার তৈরি করতে পারেন, বিভিন্ন জনজাতি সম্প্রদায়ের বয়স্ক রাঁধুনিদের খুজে বের করে, তাঁদের দিয়ে এই সব খাবার রান্নার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফলে জলদাপাড়ায় বেড়াতে এসে এবার জঙ্গল সাফারি, জনজাতি নাচের সঙ্গে মিলবে জনজাতীদের প্রিয় খাবারও।