শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪


টানা আট বছরের লড়াই শেষ। আবার চাকরি পেলেন ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা কবিতা আঢ্য। সেই সঙ্গে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার তিনি বাড়ির কাছেই একটি স্কুলে চাকরি পেয়েছেন। কবিতার আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কবিতা ২০১২ সালে ভূগোলের শিক্ষিকা পদের প্রার্থী ছিলেন। যদিও তিনি সেই চাকরি পাননি। এর পর তিনি তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করেন। তাতে তিনি জানতে পারেন, তাঁর থেকে কম নম্বর পেয়েও শ্রীময়ী বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক জন চাকরিতে যোগ দিয়েছেন।
এর পর সুবিচার চেয়ে কবিতা মামলা করেন। সেই মামলায় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত শ্রীময়ীর চাকরি বাতিল করে কবিতাকে সেই চাকরি দেওয়ার কথা বলেন। যদিও ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয়। সেই সঙ্গে ফের শুনানির নির্দেশ দেয়। শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিংহ বলেন, একজন কম নম্বর পেয়েও চাকরি করছেন, অথচ যোগ্য প্রার্থী চাকরি এখনও পাচ্ছেন না। বিচারপতি আজই নিয়োগের নির্দেশ দেন। এদিকে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী আদালতকে জানান, শূন্য পদ নেই। কোর্ট প্রশ্ন করে, যদি শূন্য পদ না থেকে থাকে তা হলে শূন্য পদের খতিয়ান কী ভাবে দেওয়া হচ্ছে?
কবিতার আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত বলেন, এর পর ৬০ কিলোমিটার দূরের একটি স্কুলে কমিশন নিয়োগের সুপারিশপত্র দেয়। যদিও বিচারপতি জানিয়ে দেন, আট বছর পরে এত দূরে নয়, বাড়ির কাছেই কোনও একটি স্কুলে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
এর পর কবিতা আঢ্যকে নিউ আলিপুরের একটি স্কুলে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ, ২০১৪ সালে স্কুলে যোগ দিলে কবিতা আঢ্যর এখন যা বেতন হতো, তাঁকে সেই বেতনই এখন দিতে হবে। শুধু তাই নয়, ২০১৪ সাল থেকেই তাঁকে চাকরির সব সুবিধাও দিতে হবে।

Skip to content