মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


কলকাতায় বৃষ্টি

ছবি: প্রতীকী।

ডায়েটে কী খাবার রাখছেন তার উপর নির্ভর করে রোগা হওয়া বা ওজন তাড়াতাড়ি কমবে কি না। শরীরচর্চা তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে না চললে রোগা হওয়া কখনই সহজে তো হয়ই নয়। বরং তা আরও জটিল হয়ে পড়ে। পুষ্টিবিদদের বক্তব্য, যদি আপনি সহজে রোগা হতে চান তাহলে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন বেশি করে রাখতে হবে। দ্রুত ওজন কমাতে শরীরের প্রোটিনের জোগান যথাযথ হওয়া খুবই প্রয়োজন। কারণ, প্রোটিন দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। ফলে বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা এতে আর থাকে না। আমাদের সকলেরই জানা প্রোটিনের আধিক্য আমিষ খাবারেই বেশি পরিমাণে থাকে। তবে প্রতিদিন যাঁরা নিরামিষ খান, উদ্ভিদজাত খাবার থেকেও কিন্তু তাঁরা প্রোটিন পেতে পারেন।
সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, মাছ ওজন কমাতে খুব উপকারী। তারকারাও তাঁদের ডায়েটে মাছ রাখেন। যে কোনও মাছ খেলেই আমাদের অনেক ক্ষণ পেট ভরতি থাকে। তাছাড়া পেশিশক্তি বাড়াতে মাছ খুবই কার্যকরী। যদি ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড-সমৃদ্ধ মাছ ডায়েটে রাখতে পারেন তাহলে খুব ভালো হয়। কারণ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর মাছ হার্টের যত্ন খুব ভালো ভাবে নিতে পারে।
আরও পড়ুন:

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৬৩: আমার মালতী লতা কী আবেশে দোলে…

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২৩: তরু দত্ত— এক আনন্দ বিষাদের তরুলতা

একটি গবেষণা জানাচ্ছে, হৃদ্রোগীদের সুস্থ থাকতে মাছ খাওয়া বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ও তাঁরা তাঁদের খাদ্যতালিকায় ছোট মাছও রাখতে পারেন। এমনকি, হজমের সমস্যা নিয়েও যদি আপনি নাজেহাল হয়ে থাকেন তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বেশি করে মাছ খেতে পারেন। উপকার পাবেন। যাঁরা মাছ খান না, গবেষণা বলেছে তাঁরা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় সম্মুখীন হতে পারেন। এমনকি, মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে ঋতুস্রাবেও। অনিয়মিত ঋতুস্রাব মাছ না খাওয়ার একটা বড় কারণ হতে পারে। রোজ মাছ খেতে পারলে সবচেয়ে ভালো, তা না হলে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন মাছ রাখুন আপনার ডায়েটে। ওজন কমাতে চাইছেন যাঁরা, তাঁরা অবশ্যই মাছ খাবেন।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬৩: বাবু ডাক্তার ও ‘ডাক্তারবাবু’

মুভি রিভিউ: দ্য ওয়েডিং গেস্ট—অনাহুত গেস্ট দেব স্বয়ং অপহরণ করলেন কনে রাধিকাকে

ওজন কমানোর সময়ে অনেকেই আবার ডায়েটে চিকেনও রাখতে পছন্দ করেন। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ওজন কমাতে চিকেনও দারুণ উপকারী। মুরগির মাংসে থাকা নানা রকম স্বাস্থ্যগুণ দ্রুত ওজন ঝরিয়ে দেয়। রোজ মুরগির মাংস খেলে হাড় এবং পেশি ও শক্তিশালী হয়। তবে চিকেন কী ভাবে খাচ্ছেন সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডোবা তেলে ভেজে কিংবা পকোড়া বানিয়ে খেয়ে কিন্তু কোনও লাভ হবে না। আপনি যদি শরীরের যত্ন নিতে চান তাহলে চিকেন দিয়ে বানিয়ে খান স্টু, স্যুপ জাতীয় খাবার। অনেকে আবার গ্রিলড চিকেনও খান। সেদ্ধ চিকেন খেতে পারলে বাড়তি উপকার পাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন:

আপনার লুকে কেমন সানগ্লাস মানানসই জানেন?

বেশির ভাগ সময়েই এসি ঘরে কাটে? এই ৫টি রোগ কিন্তু নিঃশব্দে বেড়ে চলেছে, জানতেন?

 

চিকেন না কি মাছ, রোগা হওয়ার জন্য কোনটি বেশি উপকারী?

পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, মাছ এবং মুরগির মাংস রোগা হতে দু’টোই জরুরি। কোনটি ই কারও থেকে কম নয়। তবে মাছ কিংবা মাংস যাই খান না কেন, কী ভাবে রান্না করছেন তা আত্যন্ত জরুরি। মাছ কিনবা মাংস, তেল-মশলা দিয়ে রান্না করে খেলে এদের থেকে কোনও সুফলই পাওয়া যাবে না।


Skip to content