শুক্রবার ৫ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু মঙ্গলবার সারা দেশের সর্বত্র প্রবেশ করেছে। নির্ধারিত সময় ছিল ৮ জুলাই। তবে তার ছয় দিন আগে সারাদেশে বর্ষা পৌঁছে গিয়েছে। চলতি বছরে বর্ষা আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে তিন দিন আগেই হাজির হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে ৮ দিন আগে বর্ষা ঢুকেছিল। যদিও উত্তরবঙ্গেই ঘাঁটি গেড়েছিল।
শেষমেশ দক্ষিণবঙ্গেও বর্ষার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
এই সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে বড় দুর্যোগের আশঙ্কা নেই। তবে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া,মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব-পশ্চিম বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং বাঁকুড়া জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন:

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৪৭: মূর্খকে উপদেশ দিলে সেটা তার রাগের কারণ হয়

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫৫: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— আমুর ও গোশিঙা

আবহাওয়া দফতরেরর পূর্বাভাস বলছে, বিহার থেকে অসম পর্যন্ত মৌসুমী অক্ষরেখা বিস্তৃত হয়ে রয়েছে। আপাতত এই অক্ষরেখা উত্তরবঙ্গের উপর রয়েছে। তাই উত্ত্রবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশিই হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। এর জেরেই দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। সপ্তাহভর পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হবে। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকার পাঁচ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৫২: দেশহিতৈষী মা সারদা

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৩: মৃণালিনীর মৃত্যু হয়েছিল কীসে?

তবে এখনই দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কা নেই। যদিও উত্তরবঙ্গের অবস্থা খানিক ভয়াবহ। পাহাড়ে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য উত্তরবঙ্গের জনজীবন কার্যত বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার কালিম্পং জেলার গরুবাথান অঞ্চলের যুদ্ধ বীর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে যাওয়ার পথে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। ফাগু ঝোড়া পেরোতে গিয়ে হরপা বানের জলে আটকে পড়ে একটি গাড়ি । এর ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গাড়িতে থাকা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে।
আরও পড়ুন:

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-১: টলস্টয় ও সোফিয়া—প্রেম ও বিবাহ/১

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৩৫: কী যে করি করি ভেবে মরি মরি

আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং এর সেবকে ২৯০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ২১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে আলিপুরদুয়ারে। দার্জিলিং ও গজলডোবাতে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ৩২.১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে নদিয়া জেলার দেবগ্রামে।

Skip to content