ছবি: প্রতীকী।
দুর্গাপুজোর আগে আবার বৃষ্টি সম্ভাবনা। নিম্নচাপের জেরে মাটি হতে পারে উৎসবের। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া দফতর এও জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উপর আগামী সোমবার একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। তবে সেটি কতটা শক্তিশালী হয়ে কোন দিকে এগোবে, তা এখনই স্পষ্ট ভাবে বলা সম্ভব নয় বলে আবহবিদেরা জানিয়েছেন।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই আগামী কয়েক দিন বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আগামী রবিবার কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম বৃষ্টি হতে পারে। এই আট জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। তবে বাংলার অন্য কোথাও আপাতত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই বেল জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৬৩: বেলুড়মঠে শ্রীমায়ের অভিনন্দন
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৩৯: ভারতের বিপ্লবী মেয়েরা এবং অন্তরে রবীন্দ্রনাথ
উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে। । কোচবিহার, দুই দিনাজপুর এবং মালদহের আবহাওয়া শুকনো থাকবে। শুক্রবার কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। কলকাতায় সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি এবং ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাওয়ায় আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি। তাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকায় দিনের বেলায় অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন:
পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫৯: শাসক বেকায়দায় পড়লেই প্রতিপক্ষকে সন্ধির প্রতিশ্রুতি দেয়, যদিও রাজনীতিতে সে সব মানা হয় না
রহস্য উপন্যাস: হ্যালো বাবু!, পর্ব-৪৭: দুবেজি যে রুষ্ট, তাঁর কথাতেই স্পষ্ট
শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে ভিজেছে দক্ষিণবঙ্গ। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে আবহাওয়া কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। কয়েক দিন নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল ছিল। ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছিল পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ এবং ওড়িশা উপকূল-সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে। যদিও গত সোমবার রাত থেকে সেই পরিস্থিতি বদলেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এখন সমুদ্র শান্ত থাকবে।
আরও পড়ুন:
বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৮: জোসেফ কনরাড ও জেসি কনরাড—আমি রূপে তোমায় ভোলাব না…/৩
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৬: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—ছাগল ক্ষুরি ও ধানি ঘাস
দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে নিম্নচাপের জেরে যে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। এদিকে ডিভিসি বৃহস্পতিবার রাতেও পাঞ্চেত এবং মাইথন জলাধার থেকে মোট ৫০ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া এবং হুগলির বিস্তীর্ণ অংশ এখনও কার্যত জলের তলায়।
আরও পড়ুন:
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৮২: খটকা
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৭: কী করে গল্প লিখতে হয়, ছোটদের শিখিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ
আবহাওয়া শুকনো আবহাওয়া থাকলে এবং জলাধারগুলি যদি আর জল না ছাড়ে তাহলে বন্যা পরিস্থিতির খানিক উন্নতি হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে আগামী সপ্তাহের গোড়ায় আবার নিম্নচাপ তৈরি হলে বৃষ্টিতে ফের রাজ্যের একাংশ প্লাবিত হবে কি না, তা নিয়েও আশঙ্কাও ঘনাচ্ছে।