বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫


ছবি: প্রতীকী।

দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততার জীবনে আমাদের অনেকের দিনের প্রায় অনেকটা সময়ই কেটে যায় কম্পিউটার বা ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে। তার সঙ্গে অহরহ চলছে মোবাইলে স্ক্রল করা। ফলস্বরূপ যা হয় দিনের শেষে, দু’টি চোখ যেন বন্ধ হয়ে আসে আর বেশিক্ষণ খুলে রাখতে মন চায় না। চোখের ক্লান্তি এতটাই বেশি হয়ে যায় যে দৃষ্টিও ঝাপসা হয়ে যায় অনেক সময়ে। চোখে যন্ত্রণা, জল পড়া, চোখ লাল হয়ে ওঠার সমস্যায় জেরবার প্রায় অধিকাংশ মানুষই। ইদানীং কালে চোখের ক্লান্তি মারাত্মক ভাবে বেড়ে গিয়েছে।
শীতের সময়ে শুষ্ক চোখের সমস্যায় অনেক মানুষই জর্জরিত হয়ে পড়েন। তার উপরে বিভিন্ন কারণে চোখের ক্লান্তি বাড়লে তা আরও কষ্টকর হয়ে ওঠে। কী ভাবে এই সমস্যা দূর করবেন? আমাদের দৈনন্দিন কাজের চাপে চোখ দু’টিই অবহেলিত হয় সবচেয়ে বেশি। বৈদ্যুতিন যন্ত্রের নীল আলো রেটিনার উপর এমন প্রভাব ফেলে, যে চোখ সহজেই যেন ক্লান্ত হয়ে পরে। তার ফলে চোখ দিয়ে অনবরত জল পড়া, চোখে ব্যথা এমনকি মাথাযন্ত্রণার মত সমস্যা দেখা দেয়। এই অবস্থাকে চক্ষুচিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় ‘আই স্ট্রেন’ বা ‘অ্যাস্থেনোপিয়া’। তা ছাড়া যাঁদের ঘুম কম বা যারা বিছানায় শুয়ে অন্ধকারে দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইলে চোখ রাখেন, তাঁদের চোখ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফল স্বরূপ চোখের চারপাশ জুড়ে বলিরেখা দেখা দেয়, চোখের নীচে পুরু কালির ছাপ পড়ে।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬৫: ইন্দ্রধনু আর ‘ইন্দ্রাণী’

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-১৭: প্রবল অজেয় বাণী তব

 

চোখের ক্লান্তি দূর করার উপায় কী?

 

আই বল রোলিং

এই যোগাভ্যাসের ক্ষেত্রে মাথা সোজা রেখে চোখের মণি ৩৬০ ডিগ্রি ঘোরাতে হবে। এক বার ঘড়ির কাঁটার দিকে ও এক বার ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে। গোটা পদ্ধতিটি তিন বার করে করতে হবে কিছু সময় অন্তর। সমস্ত চোখের ব্যায়াম হয় এই পদ্ধতিতে। এই ব্যায়ামের ফলে চোখের শুষ্ক ভাব অনেকটা কেটে যায়।
 

সানগ্লাস পরুন

গ্রীষ্মকালে এমন কি শীতের দিনেও বাইরে বেরোলে সানগ্লাস পরতেই হবে। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মিও কিন্তু চোখের ক্ষতি করে। এমন সানগ্লাস পড়তে হবে যাতে চোখের পাশ, বাইরের দিক ঢাকা থাকে। এছাড়া এর পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া টোটকা করে দেখা যেতে পারে যার ফলে চোখের ক্লান্তি অনেকাংশে দূর হয়।সবার প্রথমে চোখের উপর তুলো দিয়ে অলিভ অয়েল লাগিয়ে নিন। ৫ মিনিট রেখে এ বার তার উপরে ঠান্ডা টিব্যাগ চোখের উপরে বেশ কিছু ক্ষণ চেপে ধরে থাকুন। এতে চোখ আরাম পাবে।

তাছাড়া চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য চোখের উপরে গোল করে কাটা শশা বা আলু রেখে শুয়ে থাকুন। নিয়মিত করলে চোখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবেই। চোখের নীচে কালির ছাপও দূর হবে। সেই সঙ্গেই পর্যাপ্ত জল খেতে হবে।

আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-১১০: মানুষের পাশে, মানুষের কাছে

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১০১: সরষের মধ্যে ভূত

 

চোখ ও কপালের ব্যায়াম

মাথা সোজা রেখে কপাল কুঁচকে তাকিয়ে থাকুন। এর ফলে কপালের পেশি এক বার সংকুচিত আর এক বার প্রসারিত হবে। বার বার এই ব্যায়াম করলে চোখের পেশিরও ব্যায়াম হবে। অনেক ক্ষণ কাজ করার পরে এই ব্যায়াম করলে চোখে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে। চোখের ক্লান্তি সহজে দূর হয়ে যাবে ।

আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৮৫: সুন্দরবনের পাখি — মাছরাঙা

যে গান যায়নি ভোলা— প্রাক জন্মদিনে তাঁর প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য…/১

 

সহজ যোগ

অন্ধকার ঘরে একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে তার শিখার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকুন। এরপর যতক্ষণ চোখ থেকে জল বেরিয়ে না আসে পলক না ফেলে তত ক্ষণ তাকিয়ে থাকুন। খুব সহজেই চোখের ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। এই ব্যায়ামের নিয়মিত অভ্যাসে দৃষ্টিশক্তিও উন্নত হয়, পাশাপাশি মনঃসংযোগও বাড়ে।

আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-১০০: সন্দেহের তীরবিদ্ধ ভরতদের আজও খুঁজে পাওয়া যায়

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-১৩: রাগ অনুরাগের বন্ধন, ডিএইচ লরেন্স ও ফ্রিডা

 

বার বার চোখের পাতা ফেলতে হবে

বর্তমান যুগের মানুষ পলক ফেলতে ভুলে যাচ্ছেন। কারণ অফিসে কিংবা কর্মব্যস্ততায় একনাগাড়ে কম্পিউটার বা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। ফলে খুব দ্রুততার সঙ্গে চোখের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন মোবাইল বা ল্যাপটপের নীল আলো চোখের জলই শুকিয়ে দিচ্ছে। তাই একটানা কাজের মাঝে চোখের পলক ফেলুন বার বার। এতে চোখের ক্লান্তি ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’ -এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন। বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন। ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না। গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে। ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com


Skip to content