সোমবার ১১ নভেম্বর, ২০২৪


সরকারি স্কুলের শিক্ষককে গাছে বেঁধে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলার গোপীকান্দার থানার তফসিলি জাতি আবাসিক স্কুলে এই ঘটনাটি ঘটেছে। অঙ্ক পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ার জন্য ক্ষোভে নবম শ্রেণির পড়ুয়ারা শিক্ষককে পিটিয়েছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রদের কথা অনুযায়ী ওই শিক্ষকের অপরাধ নবম শ্রেণির ১১ জন ছাত্রকে অঙ্ক পরীক্ষায় ৩২ নম্বরের মধ্যে ‘ডাবল ডি’ গ্রেড দিয়েছিলেন। ‘ডাবল ডি’-র অর্থ প্রায় ফেল করারই সমান। শনিবার ঝাড়খণ্ড অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল (জেএসি) অঙ্কের ফল ঘোষণা করেছে। তার পরই আবাসিক স্কুলে ছাত্রদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, অঙ্ক পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ায় ওই ১১ জন পড়ুয়া শিক্ষক সুমন কুমার এবং কেরানি সোনেরাম চৌরেকে ঘেরাও করে একটি গাছে বেঁধে মারধর করে।
গোপীকান্দার থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক নিত্যানন্দ ভক্তা জানিয়েছেন, “স্কুলের এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষও লিখিত অভিযোগ করেননি। স্কুলকে লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তাতেও স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ জানাতে রাজি হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, পুলিশে অভিযোগ করলে ছাত্ররা আরও বিগড়ে যেতে পারে।”
ঘটনার কথা জানতে পেরে ওই আবাসিক স্কুলে গিয়েছিলেন গোপীকান্দারের বিডিও অনন্ত ঝা। তিনি জানান, স্কুলে প্রায় ২০০ ছাত্র রয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে বেশির ভাগ ছাত্রই জড়িত। তিনি এও বলেন, “আক্রান্ত শিক্ষক আসলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাঁকে ওই পদ থেকে কোনও কারণে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। স্কুলের শৃঙ্খলা রক্ষায় নবম এবং দশম শ্রেণিকে দু’দিনের জন্য স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
পড়ুয়াদের অভিযোগ, একেবারে ইচ্ছা করেই ওই তাদের ফেল করিয়েছেন। এর জন্য একই ভাবে দায়ী স্কুলের কেরানিও। জেএসি-র ওয়েবসাইটে কেরানি সোনেরাম চৌরে পরীক্ষার ফল আপলোড করেছেন।
বিডিও বলেন, “প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় কে কত নম্বর পেয়েছে তা স্কুল দেখাতে পারেনি। শুধু তাই নয় পরীক্ষার নম্বর ওয়েবসাইটে কবে আপলোড করা হয়েছে সেই তথ্যও স্কুল কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি। ফলে পরিস্কার ভাবে জানা যাচ্ছে না পড়ুয়ারা থিওরিতে না কি প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় ফেল করেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর মনে হচ্ছে, পড়ুয়ারা একেবারে গুজবের বশেই শিক্ষক সুমন কুমার এবং কেরানি সোনেরাম চৌরের উপর হামলা চালিয়েছে।”

Skip to content