মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


(বাঁদিকে) উকড়ি বেগুন গাছ। ছবি: লেখক। (মাঝখানে) পাকা মধুফলসহ শাখা। ছবি: সংগৃহীত। (ডান দিকে) নিশিন্দা ফল। ছবি: সংগৃহীত।

 

উকড়ি বেগুন (Solanum trilobatum)

আমাদের গ্রামের বাড়ির বাঁশবাগানে খুব ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি বেগুন গাছের মতো একরকম গাছ ঝোপের আকারে দু’তিন জায়গায় হয়ে রয়েছে। পাতার আকার অনেকটা বেগুনের মতো। ফুলের রং বেগুনের মতো বেগুনি। আকারও বেগুন ফুলের মতো। আর যে ফলগুলো হয় সেগুলো বেগুনের মতো দেখতে হলেও আকারে খুব ছোট। বলা চলে মিনি বেগুন। কাঁচা ফলে সবুজের ওপরে হালকা সাদা ছোপ থাকলেও পাকলে ফলগুলো হয়ে যায় টুকটুকে লাল। তবে গাছটা বেগুনের মতো অতটা শক্তপোক্ত নয়। বেশ দুর্বল কাণ্ড। ফলে গাছটা আশেপাশে থাকা বাঁশ গাছ বা অন্যান্য গাছকে জড়িয়ে ধরে বেড়ে উঠেছে। বেগুন গাছে অল্প-স্বল্প কাঁটা থাকে দেখেছি কিন্তু এই গাছটাতে প্রচুর কাঁটা থাকে। আর কাঁটাগুলো বেশ তীক্ষ্ণ ও শক্ত। ছোটবেলায় খেলার সময় তরকারি রান্না করার জন্য এই গাছের ফল তুলতে গিয়ে বহুবার কাঁটার আঘাত খেয়েছি। আমার ঠাকুমার মুখে শুনেছি, গাছটার নাম উকড়ি বেগুন। অবশ্য বাবার মুখে শুনেছি, গাছটার নাম বৃহতি। আবার কাউকে কাউকে আনকুড়ি নামে ডাকতেও শুনেছি।

গাছটার আঞ্চলিক নাম যাই হোক না কেন এ যে বেগুনের এক জাত ভাই তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। পরবর্তীকালে এই গাছটিকে আমার বিদ্যালয়-চত্বরে আগাছার জঙ্গলের মধ্যে দেখেছি। এখনও সেই জায়গায় কিছু সংখ্যক উকড়ি বেগুন গাছ বেঁচে আছে। এই গাছটার পাতার আকার কিছুটা বেগুনের মতো হলেও পাতা তিনটি বা পাঁচটি লতি যুক্ত। ফোটা ফুলে পাঁচটি বেগুনি রংয়ের সুদৃশ্য পাপড়ি থাকে। আর ফুলের মাঝখান থেকে বেরিয়ে আসে, টকটকে হলুদ রঙের লম্বা পাঁচটি পরাগধানী।

উকড়ি বেগুন বা বৃহতি গাছের নাকি অনেক ভেষজ গুন আছে, ঠাকুমার মুখে শুনেছিলাম। পরে নানাজনের মুখে এর গুণাগুন শুনেছি। কাউকে কাউকে আমাদের বাঁশবাগান থেকে ওই গাছের মূল তুলে নিয়ে যেতে দেখেছি। যেহেতু আমার ঠাকুরদা প্রাচীন ও প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলে কবিরাজি চিকিৎসা করতেন তাই আমাদের বাস্তুজমিতে আরও অনেক ভেষজ উদ্ভিদের সঙ্গে উকড়ি বেগুন গাছ থাকাও খুব স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫৩: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—খলসি ও করঞ্জা

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-১: প্রাক-কথন

উকড়ি বেগুন গাছ হল ম্যানগ্রোভ সহযোগী উদ্ভিদ। সুন্দরবনের অরণ্য অঞ্চলে, নদী ও খাঁড়ির দু’পাশে যেখানে জোয়ারের জল পৌঁছয় সেই অঞ্চলে এই গাছ দেখা যায়। উকড়ি বেগুন গাছ গেঁওয়া, বনঝাঁপি, হরগোজা ইত্যাদি গাছের সঙ্গে একসাথে জন্মায়।
 

লৌকিক চিকিৎসা

উকড়ি বেগুনের মূল খুব তেতো হয়। এই গাছের মূল এবং কচি কাণ্ড থেকে ক্বাথ বা গুড়ো করে পাউডার তৈরি করা হয়। এই ঔষধ হাঁপানি রোগে বা শিশুদের অজানা জ্বর হলে ব্যবহার করা হয়। প্রসবের সময় প্রসূতির সমস্যা হলেও এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। জ্বর কমানোর জন্য, কফ-কাশির চিকিৎসায়, বাতের চিকিৎসায়, রক্ত বমি হলে কিংবা কুষ্ঠ রোগের চিকিৎসায় পাতার রস ব্যবহার করা হয়। কৃমি বিনাশে উকড়ি বেগুনের বীজ কোথাও কোথাও ব্যবহৃত হয়।

আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৭১: সাইকেল ও জীবন

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৫১: জয়রামবাটির যথার্থ রক্ষয়িত্রী

 

মধুফল (Salacia chinnensis)

আমাদের বড় পুকুরের দক্ষিণ দিকে ছিল এক সারি তেঁতুল গাছ। তেঁতুল গাছগুলির গোড়ায় নানা গুল্ম জাতীয় ও লতানে গাছের ঝোপ ছিল। সেই ঝোপে ছিল এক ধরনের কাষ্ঠল লতাজাতীয় উদ্ভিদ। বাড়িতে সবাই বলত কাচ ফলের গাছ। গাছটির মধ্যে কোনও বিশেষত্ব না থাকলেও থোকা থোকা লাল রংয়ের পাকা ফল যখন ঝুলে থাকত তখন অসাধারণ হয়ে উঠতো সেই সাধারণ লতা। আমরা ছোটরা সেই ফল ভাগ করে খেতাম পাখি আর কাঠবিড়ালিদের সাথে। ঠিক যেন ছোট ছোট টম্যাটো। ফলের ভেতরে থাকত একটা বীজ। আমরা পাকা কাচফল শুধু খেতামই না, রান্না বাটি খেলার সময় টমাটো হিসাবে সবজি করতাম। পরে জেনেছি, এই গাছটির ভালো নাম হল মধুফল। পাকা ফলের স্বাদ মিষ্টি হওয়ায় এমন নামকরণ সার্থক। সংস্কৃতে অবশ্য এই গাছের নাম সপ্তচক্র।

মধুফল গাছটিকে যেমন পুরোপুরি লতাজাতীয় উদ্ভিদ বলা যায় না তেমনই পুরোপুরি গুল্ম বলা যায় না। দু’য়ের মাঝামাঝি উদ্ভিদ। কাণ্ড বেশ কাষ্ঠল হলেও খুব একটা দৃঢ় নয় ফলে আশেপাশে থাকা কোনও অবলম্বনকে ধরে উঠতে হয়। ভালো অবলম্বন পেলে এরা ৩০-৩৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। গাঢ় সবুজ রঙয়ের ডিম্বাকার পাতাগুলো কাণ্ডের দু’পাশে পেয়ারা বা জাম পাতার মতো বিন্যাসে সজ্জিত থাকে। ছোট ছোট হালকা হলুদ বা হলুদাভ সবুজ রঙের ফুলগুলো পাতার কক্ষে থোকায় থোকায় জন্মায়। ফলে ফলগুলিও জন্মায় থোকায় থোকায়। সাধারণত ডিসেম্বর মাস নাগাদ গাছে ফুল আসে। রসালো ফলগুলি কাঁচা অবস্থায় সবুজ থাকলেও পাকলে টুকটুকে লাল রঙের হয়।
মধুফল গাছ সুন্দরবন অঞ্চলে জনবসতি এলাকায় কোথাও কোথাও পাওয়া গেলেও অরণ্য অঞ্চলে এখনও যথেষ্ট পাওয়া যায়। নদীর তীরে বা সমুদ্র তীরে অন্যান্য বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদের সাথে থেকে এরা বেড়ে ওঠে। ভারতের পূর্ব উপকূল বরাবর এই গাছটির প্রাধান্য থাকায় এর আরেক বিজ্ঞানসম্মত নাম Johnia coromandeliana.

(বাঁদিকে) উকড়ি বেগুন ফুল। ছবি: সংগৃহীত। (মাঝখানে) মধুফল গাছের ফুল। ছবি: সংগৃহীত। (ডান দিকে) উকড়ি বেগুন ফল। ছবি: সংগৃহীত।

 

লৌকিক চিকিৎসা

শুনেছি, সুন্দরবন অঞ্চলে প্রাচীনকালে স্ত্রীলোকের রজস্রাব বন্ধ হলে বা অনিয়মিত হলে মধুফল গাছের মূলের ক্বাথ ব্যবহার করা হতো। কোথাও আঘাত লেগে ফুলে গেলে সেখানে এই উদ্ভিদের মূল বেটে মন্ড আকারে লাগিয়ে দেওয়া হত। এখন অবশ্য এই গাছের সংখ্যা খুব কমে গিয়েছে কারণ আগাছা হিসেবে মানুষ এই গাছ সাফ করে দিচ্ছে।
 

নিশিন্দা (Vitex trifolia)

আগে একাধিক প্রসঙ্গে লিখেছি যে আমাদের গ্রামের বাড়ির বিরাট বাস্তু এলাকায় নানা ধরনের ভেষজ উদ্ভিদের সম্ভার ছিল। আর সেই সব ভেষজ উদ্ভিদ অবশ্যই নোনা মাটিতে বেঁচে থাকার জন্য ছিল অভিযোজিত। আমাদের সেই বাস্তুজমির দক্ষিণ-পশ্চিম সীমানায় ছিল এক বেশ বড় আকারের গুল্মের ঝোপ। আমার ছোটবেলায় দাঁতে খুব ‘পোকা’ লাগত, মানে দাঁতের ক্ষয় (dental caries) হত। বেশি লজেন্স খেতাম বলেই দাঁতের এই ক্ষয় হত। মাঝে মাঝে প্রচন্ড যন্ত্রণা হত ও মাড়ি ফুলে যেত। তখন দেখতাম আমার ঠাকুরমা ওই গুল্মের ঝোপ থেকে কয়েকটি পাতা এনে বেটে তার ক্বাথ মাড়ির রক্তপাতের জায়গায় লাগিয়ে দিত।

এতে যতদূর মনে পড়ে সাময়িক নিরাময় হত। যদিও এই সমস্যা দীর্ঘতর হওয়ায় পরে বেশ কিছু দুধে দাঁতকে দন্ত চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়ে বিসর্জন দিতে হয়েছিল। কখনও কখনও দেখেছি ফোঁড়া হলে ঠাকুরমা ওই গাছেরই পাতা বেটে তা ফোঁড়ার উপর লাগিয়ে দিত। তাই ওই গাছটার সাথে আমার পরিচয় আশৈশব। আমাদের বাস্তুজমি থেকে কিছু দূরে একটা আলের ওপরেও ওই একই গাছের ঝোপ ছিল। এই গাছটিকে সবাই বলত নিশিন্দা গাছ।

তবে এই গাছের পাতা থ্যাঁতলালে বা বাটলে একটা তীব্র গন্ধ পাওয়া যায় যা আমার তো বটেই, অনেকের কাছে খুবই অপছন্দ। এই গন্ধে নাকি মশা-মাছি পালায়। তাই ছোটবেলায় দেখেছি বাড়িতে মশা বা মাছির উপদ্রব বাড়লে নিশিন্দা পাতা বেটে ঘরের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় রেখে দেওয়া হত। এমনকি পোকামাকড় তাড়াতে রান্নাঘরেও নিশিন্দা গাছের পাতাসহ ডাল ঝুলিয়ে রাখা হত।

আরও পড়ুন:

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৪৬: রাজার নিয়ন্ত্রণহীন অনুচরেদের কুকর্মের দায় রাজাকেই নিতে হয়

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৩৪: পুণ্য আষাঢ়ের প্রথম দিবসে

নিশিন্দা গাছ হল ম্যানগ্রোভ-সহযোগী একপ্রকার গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর উচ্চতা ৯-১০ ফুট পর্যন্ত হয়। কোথাও কোথাও এর থেকেও বেশি উচ্চতা দেখা যায়। এদের পাতা হল যৌগিক পাতা। বেল পাতার মতো তিনটে পত্রক নিয়ে এক একটা পাতা গঠিত। তবে তিনটে পত্রকের মধ্যে শীর্ষ পত্রকটি অপেক্ষাকৃত বড় এবং নিচের দুপাশের দুটি পত্রক বেশ কিছুটা ছোট। পত্রকগুলি ওপর দিকে গাঢ় সবুজ হলেও নিচের দিকের রঙ ফ্যাকাশে। বর্ষার শেষে বা শরতের শুরুতে এদের ফুল ফোটে। ফুলগুলো একটা সুন্দর মঞ্জরী তৈরি করে। প্রতিটি ফুলের আকার খুব ছোট হলেও পুরো মঞ্জরীর দৈর্ঘ্য হয় প্রায় ১৫-১৮ সেন্টিমিটার। ফলে ফুল ফুটলে গাছটিকে দূর থেকে খুব সুন্দর দেখায়। এদের ফুলের রং নীলচে বেগুনি। যখন ফুল ফোটে তখন পুষ্পমঞ্জরীতে পিঁপড়ের আনাগোনা ভীষণ বেড়ে যায়। কারণ পিঁপড়ের সাহায্যে এই ফুলের পরাগমিলন ঘটে। এদের ফল হয় গাঢ় বাদামি রঙের, খুব ছোট ছোট ও ডিম্বাকার। প্রতি ফলের মধ্যে চারটে ছোট্ট কালো রঙের বীজ থাকে।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯২: মহর্ষিদেব নাতজামাইকে দিয়েছিলেন সোনার কলম

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৬৮: আনন্দের নির্বাসন থেকে উত্তরণের উপায়?

সুন্দরবন অঞ্চলের জনবসতি এলাকা ছাড়াও বনাঞ্চলের যেসব জায়গায় জোয়ারের জল খুব একটা পৌঁছয় না সেখানে নদীর বা খাঁড়ির তীরে নিশিন্দা গাছ জন্মাতে দেখা যায়। সমুদ্র বা নদীর স্রোতে ভেসে এর বীজ ছড়িয়ে পড়ে দূরদূরান্তে। বর্তমানে এই গাছ জ্বালানী হিসেবেই বেশি ব্যবহৃত হয়। অতীতে এর ছাই রঙ তৈরির কাজে ব্যবহৃত হত। শুকনো পাতা গুঁড়ো করে শস্য বা বীজের সঙ্গে মিশিয়ে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে শস্য বা বীজ সহজে সংরক্ষণ করার রেওয়াজ একসময় চালু ছিল।

(বাঁদিকে) নিশিন্দা পুষ্পমঞ্জরী। ছবি: সংগৃহীত। (মাঝখানে) মধুফলের গাছ। ছবি: সংগৃহীত। (ডান দিকে) ফুলসহ নিশিন্দা গাছের। ছবি: সংগৃহীত।

 

লৌকিক চিকিৎসা

মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লে বা মাড়ি ফুলে গেলে নিশিন্দা পাতার ক্বাথ প্রয়োগ করার রীতি সুন্দরবনের মানুষের কাছে বহুদিন ধরে প্রচলিত। গবাদিপশুর গায়ে বেশি এঁটুলি হলে নিশিন্দা পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে ব্যবহার করা হয়। শরীরের ব্যথা নিরাময় করার জন্য অনেকেই পাতার ক্বাথ ব্যবহার করে। কাঁচা নিশিন্দা পাতা ঘি দিয়ে বেটে ফোঁড়ার ওপর লাগালে ফোড়া পেকে গিয়ে ফেটে যায়। কানে পুঁজ বা রস হলে নিশিন্দা পাতার রস সরষের তেলের সাথে ফুটিয়ে কানে দু-এক ফোঁটা করে দিলে ব্যথার উপশম হয়। এর পাতা চিবিয়ে বা রস করে খেলে পেটে কুচো কৃমি কমে যায়। নিশিন্দা পাতা জলে ফুটিয়ে তার রস বার করে গেঁটে বাতের রোগীকে খাওয়ালে যন্ত্রণা কমে। সর্দি, হাঁপানি ও ত্বকের রোগেও নিশিন্দা পাতার রসের ব্যবহার একসময় খুব প্রচলিত ছিল। বর্তমানে নিশিন্দা গাছের চিকিৎসাগত গুরুত্ব্বের কথা সুন্দরবনের অধিকাংশ মানুষ না জানায় আগাছা ভ্রমে এই গাছকে সাফ করে দিচ্ছে। —চলবে।

* সৌম্যকান্তি জানা। সুন্দরবনের ভূমিপুত্র। নিবাস কাকদ্বীপ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। পেশা শিক্ষকতা। নেশা লেখালেখি ও সংস্কৃতি চর্চা। জনবিজ্ঞান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের জন্য ‘দ্য সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল ২০১৬ সালে ‘আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড’ এবং শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান লেখক হিসেবে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ ২০১৭ সালে ‘অমলেশচন্দ্র তালুকদার স্মৃতি সম্মান’ প্রদান করে সম্মানিত করেছে।

Skip to content