কেরালি উদ্ভিদের কয়েকটি ভ্যারাইটি বাহারি উদ্ভিদ হিসেবে বাগানে বা টবে বা অ্যাকোয়ারিয়ামে প্রতিপালন করা হয়। এদের পুরো চমসার রং হয় বেগুনি বা গোলাপি। চমসার আকার বাদ্যযন্ত্র ট্রাম্পেট এর মতো দেখতে হয় বলে ইংরেজিতে এই উদ্ভিদকে বলে ওয়াটার ট্রাম্পেট। এরা পুরোপুরি ম্যানগ্রোভ নয়, ম্যানগ্রোভ সহযোগী উদ্ভিদ। তবে এরা তীব্র লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে।
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:
নোনা হাতিশুঁড় হল লতানে বীরুৎ জাতীয় বর্ষজীবী উদ্ভিদ। প্রতিটি গাছ থেকে অনেক শাখা প্রশাখা তৈরি হয়ে মাটির ওপর অনেকটা জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে থাকে। এদের পাতাগুলো দেখতে হয় অনেকটা দই খাওয়ার কাঠের চামচের মতো। পাতাগুলি প্রায় ৩.৫ সেমি লম্বা ও ০.৬-০.৭ সেমি চওড়া হয়। পাতা রসালো এবং চকচকে মসৃণ। ফুলগুলো হাতির শুঁড়ের মতো বাঁকা মঞ্জরীদণ্ডের ওপর গায়ে গায়ে ঠাসাঠাসি করে সাজানো থাকে। ফুলগুলি ছোট ছোট এবং সাদা রংয়ের হয়। তবে ফুলের মাঝে হালকা হলুদ ও হালকা লাল দাগ থাকে। ফুলের পাঁচটি পাপড়ির অগ্রভাগ ভিতরের দিকে সামান্য বাঁকানো থাকে। ফুল থেকে ২-৩ মিলিমিটার লম্বা ডিম্বাকার ফল সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন:
সাধারণত যেখানে জোয়ারের জল পৌঁছয় তার থেকে উঁচু জায়গায় নোনা হাতি শুঁড় জন্মায়। নদী, খাঁড়ি ও খালের তীরে কিংবা চড়ায় ঠাসাঠাসি করে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে একক প্রজাতি হিসেবে এদের জন্মাতে দেখা যায়। এদের লবণাক্ততা সহ্য করার ক্ষমতা মাঝারি ধরণের। এরা হল ম্যানগ্রোভ সহবাসী উদ্ভিদ। অনেক জায়গায় এই উদ্ভিদটিকে মানুষ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
* সৌম্যকান্তি জানা। সুন্দরবনের ভূমিপুত্র। নিবাস কাকদ্বীপ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। পেশা শিক্ষকতা। নেশা লেখালেখি ও সংস্কৃতি চর্চা। জনবিজ্ঞান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের জন্য ‘দ্য সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল ২০১৬ সালে ‘আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড’ এবং শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান লেখক হিসেবে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ ২০১৭ সালে ‘অমলেশচন্দ্র তালুকদার স্মৃতি সম্মান’ প্রদান করে সম্মানিত করেছে।