বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

গরমের ছুটি শেষ। গত ১০ জুন থেকে আবার স্কুলগুলিতে ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে এখনও জেলায় জেলায় গরমের জেরে নাজেহাল অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি, সরকার পোষিত, সরকার অনুমোদিত স্কুলগুলিকে পঠনপাঠনের সময় পরিবর্তনের নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। ডিরেক্টরেট অফ স্কুল এডুকেশন-এর পক্ষ থেকে এই মর্মে বিশেষ ‘অ্যাডভাইসরি’ প্রকাশিত করা হয়েছে।
ওই ‘অ্যাডভাইসরি’তে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আবহাওয়ার পরিস্থিতি অনুযায়ী, জুন মাসের বাকি দিনগুলিতে স্কুলগুলি অন্য সময়ে ক্লাস করাতে পারবে। তবে এর জন্য মিড ডে মিলের মতো অ্যাকাডেমিক অ্যাক্টিভিটির সময় বদল করা যাবে না।
আরও পড়ুন:

অনন্ত এক পথ পরিক্রমা, পর্ব-৭১: হৃদয়ে প্রভুর দর্শন করলে যেমন মনে সংশয় থাকে না, তেমন অপ্রাপ্তিও থাকে না

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯১: এক আলমারি বই : রাণুর বিয়েতে কবির উপহার

এই নিয়ম প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত প্রযোজ্য। চলতি সপ্তাহেই স্কুলের পঠনপাঠন শুরুর সময় হুগলি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ অনির্দিষ্ট কালের জন্য সকাল সাড়ে ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ক্লাস করানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল।
আরও পড়ুন:

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৪৬: রাজার নিয়ন্ত্রণহীন অনুচরেদের কুকর্মের দায় রাজাকেই নিতে হয়

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪৩: এক্সপায়ারি ডেটের ওষুধ খাবেন?

এ প্রসঙ্গে অ্যাডভান্সড সোস্যাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতির বক্তব্য, স্কুলগুলির নিজের মতো করে চলার বিষয়টি আগামী দিনেও যাতে বহাল থাকে সে বিষয়ে শিক্ষা দফতরকে নিশ্চিত করতে হবে। তাঁর কথায়, ‘‘গ্রীষ্মপ্রধান রাজ্যে গরমের ছুটি প্রয়োজনের থেকে কম।” শিক্ষা দফতরের কাছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে সঠিক সময়ে গরমের ছুটি চালুর অনুরোধ জানিয়েছেন চন্দন মাইতি।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৪৯: রসিক স্বভাব মা সারদা

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২৬: কুসুমকুমারী দাশ—লক্ষ্মী সরস্বতীর যুগ্ম মূর্তি

বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানিয়েছেন, বাংলায় অসহনীয় গরমের পরিস্থিতি শুরু হয়েছে ৬ জুন থেকে। এর পরও ১০ জুন স্কুল খোলার পর শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে এখন উপদেশ দেওয়া হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘কিছু দিন পর বৃষ্টি শুরু হবে। মুশকিল হল শিক্ষা দফতর দেরিতে বিষয়গুলি নিয়ে পদক্ষেপ করছে। ফলে এই উপদেশ আর কার্যকারী নয়। কারণ ইতিমধ্যেই তীব্র গরমের জন্য এক জন শিক্ষক এবং এক জন ছাত্রকে আমরা হারিয়েছি।’’
আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫২: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— গর্জন, ভোলা ও নোনা ঝাউ

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৬৬: বিগ্রহে রামের প্রাণপ্রতিষ্ঠা, আদিকবির নবীন নায়ক রামের মানবিক মুখ

পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের ওই একই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর পরই শিক্ষামহলের একাংশের প্রশ্ন, বিভিন্ন কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক পঠনপাঠন। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘নির্দেশিকাকে স্বাগত জানাই। বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করেই স্কুলে গরমের ছুটি বাড়ানো হোক। তা হলে সার্বিক ভাবে পঠনপাঠন ভালো ভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে। সেক্ষেত্রে সরকারকে আলাদা করে আর ছুটি ঘোষণা করতে হবে না।’’
* অনন্ত এক পথ পরিক্রমা (Ananta Ek Patha Parikrama) : স্বামী তত্ত্বাতীতানন্দ (Swami Tattwatitananda), সম্পাদক, রামকৃষ্ণ মিশন, ফিজি (Fiji)।

Skip to content