সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


অলঙ্করণ: লেখক।

পাগলা দাশু একবার অ্যাক্টো করতে নেমেছিল। তারপর কী হতে পারে বা হয়েছিল তা সুকুমার ও স্কুলছুটের দলের অজানা নয়। দাশু পার্ট ঠিকঠাক বলেছিল, নাকি একটু বেশি অথবা, মঞ্চ থেকে বিদায় নিয়েও ফিরে এসেছিল কী না এ সব মামুলি বিষয়। আসল কথা, দাশুর পাগলামিটা বেশ ভালোরকম হয়েছিল কী না? ভীমসেন হাতে খন্তি নিয়ে পুঁইশাক রাঁধলেও তিনি কী আর কী করতে পারেন, তা চাপা থাকে না, যেমন নাকি ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। আসলে, তারকাটা বা তারে জড়ানো, সুতোছেঁড়া কিংবা পেটকাটা চাঁদিয়ালের দল উড়বেই, এটাই ঘটনা। তাই দাশু-টেনি-টিনটিন-হাঁদারা তাদের মজ্জায় মিশে থাকা কাজটা করবে, করবেই। তাকে পাগলামি বলো, কী ক্যাবলামি, বোকামি কিংবা আর কিছু বলে দাগিয়ে দিতে পারো, তাতে গোপালেরা ভাঁড় হয়ে যায় না, আদ্যানাথের মেসো, শ্যামাদাসের ভাগ্নে বা নাসিরুদ্দিনদের কিস্যুই আসে যায় না।

এই যেমন সেদিন।
“তর্কবাগীশ মশাই নাসিরুদ্দিনের সঙ্গে তর্ক করবেন বলে দিনক্ষণ ঠিক করে তার বাড়িতে এসে দেখেন মোল্লাসাহেব বেরিয়ে গিয়েছেন। মহা বিরক্ত হয়ে তিনি মোল্লার সদর দরজায় খড়ি দিয়ে লিখে গেলেন মূর্খ।
নাসিরুদ্দিন বাড়ি ফিরে এসে কাণ্ড দেখে এক হাত জিভ কেটে এক দৌড়ে তর্কবাগীশ মশাইয়ের বাড়ি গিয়ে তাঁকে বললে, ঘাট হয়েছে পণ্ডিতমশাই, আমি বেমালুম ভুলে গেসলুম আপনি আসবেন। শেষটায় বাড়ি ফিরে দরজায় আপনার নামটা লিখে গেছেন দেখে মনে পড়ল।”

মুশকিল হল এটাই যে, কে মূর্খ কে বা পণ্ডিত এই নিয়ে বিবাদ যারা করতে আসে তারা মূর্খ না পণ্ডিত, আজ পর্যন্ত সেটার সমাধান ঠিকঠাক হয়ে ওঠেনি। লোকাল ট্রেনে যে সিদ্ধান্ত হবে, চলন্ত বাসে তার চেয়ে আলাদা বিধান, বোর্ড মিটিংয়ে যে ফাইণ্ডিংস আসে, ক্লাসের লাস্ট বেঞ্চে তা আবার খাটবে না, চায়ের দোকানের জাজমেন্ট কফি হাউসের পর্যবেক্ষণে আ বিগ জিরো।

তার ওপর যে মূর্খ সে বোকা কী না, যে বোকা সে ক্যাবলা না হাবা, যে ক্যাবলা সে মূর্খ কী না অথবা হাঁদারা গাধা না গাধারা হাঁদা; মানুষ, ছাগল, হাতি, গরু, ভেড়া আর ষাঁড় বা বলদদের মধ্যে গোপন আঁতাতের রহস্য গভীর না হালকা এইসব গম্ভীর চিন্তার ঠিকঠাক সমাধান যতদিন না ভালোমতন হচ্ছে ততদিন ট্রেন, বাস, চায়ের দোকান, কফিশপ, লাস্টবেঞ্চ, হারু, ফেলু, গঙ্গারাম কী বেচারাথেরিয়ামরা তাদের মতো করেই অহং অহং, ঘোরতর পাণ্ডিত্য, মূর্খামি আর আনলার্ণিং চালিয়ে যাক জোরকদমে।
আরও পড়ুন:

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৩২: কে বলে ঈশ্বর গুপ্ত?

মুভি রিভিউ: সত্যঘটনা অবলম্বনে ভায়োলেন্ট ওয়েব সিরিজ ‘ভাউকাল’ ভালো লাগবে

আমরা একটু টেনিদার ঠেকে যাব? থাক, তার চেয়ে অন্য একটা জায়গায় যাওয়া যাক। ঢাকুরিয়া লেকের ধারে, সেখানে অক্রূর নন্দী কী বলছেন দেখা যাক।

“অক্রুর নন্দী বাতিকগ্রস্ত বটে, কিন্তু শেক্সপীয়ার যেমন বলেছেন—এঁর পাগলামিতে শৃঙ্খলা আছে। লোকটিকে ভাল করে জানবার জন্য খুব কৌতূহল হল। বললুম, আজ্ঞে হাঁ, ঠিক আসব।”

দেখা যাবে, সৃষ্টিকর্তা তাঁর কর্মশালায় নাগাড়ে কাজ করতে করতে কখনও কখনও অন্যমনস্ক হয়ে দু’ চারটে অঙ্ক অন্যভাবে কষেছেন। তাতেই অক্রুর নন্দীরা আসেন। ইনি ঘরে অতিথি আর ভৃত্যদের ছোঁয়ায় ময়লা হওয়া থেকে বাড়ির দেয়াল, দরজা বাঁচাতে সার সার গ্রামোফোনের পিন আটকে রেখেছেন। তিনি দেখেছেন, ভারত ত্রিভঙ্গ মুরারীর দেশ, শ্রীকৃষ্ণের আমল থেকে শুরু করে অজন্তা ইলোরা, পুরী, মাদুরা, রামেশ্বর, পর্যন্ত হেলে পড়া বাঁকা সার সার মূর্তি, অগত্যা দেওয়ালে আর দরজায় ঠেস দেওয়া আটকাতে এই দাওয়াই। বাড়িতে ভৃত্য টিকতে অসুবিধা নেই, মাইনে আড়াই গুণ বেশি। কারণ, নন্দীবাবু বেজায় ধনী, পৈতৃক সূত্রে। যেমনটা শিব্রামের হর্ষবর্ধন, তবে তাঁর কথা পরে।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৮: কোন অজানায় ‘পথে হল দেরী’

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫০: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—গরিয়া, গোলপাতা ও হেতাল

ক্যাবলা বা অদ্ভুত স্বভাবের সৃষ্টিছাড়া লোকেদের বাতিকগ্রস্ত কাজকর্মে চারপাশের ‘বড়’দের দল বেজায় বিব্রত হয়, চটে যায় আর কী! তবে তথাকথিত হিসেবহীনের দল যে কেবল রকের আড্ডায় কিংবা গলির মোড়ে ডাংগুলিতে সময় অতিবাহিত করে এমনটা নয়, জীবন নিয়ে দস্তুরমতো তাদের একটা দর্শন আছে, সেটা পিলে চমকে দিলেও…

“শুনুন। দাম্পত্য হচ্ছে তিন রকম। এক নম্বর যাতে স্বামীর বশে স্ত্রী চলে, যেমন গান্ধী—কস্তুরবা। দু—নম্বর, যাতে স্বামীই হচ্ছে স্ত্রীর বশ, অর্থাৎ স্ত্রৈণ ভেড়ো বা হেনপেক, যেমন জাহাঙ্গীর—নূরজাহান। দুটোই হল ডিক্টেটারী ব্যবস্থা, কিন্তু দুক্ষেত্রেই দম্পতি সুখী হয়। তিন নম্বর হচ্ছে, যাতে স্বামী—স্ত্রী কিছুমাত্র রফা না করে নিজের নিজের মতে চলে, অর্থাৎ দুজনেই একগুঁয়ে। এই হল ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য কিছুমাত্র রফা না করে নিজের মতে চলে, অর্থাৎ দুজনেই একগুঁয়ে। এই হল ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য—মূলক আদর্শ দাম্পত্য—সম্বন্ধ কিন্তু এর পদ্ধতি বা টেকনিক লোকে এখনও আয়ত্ত করতে পারেনি।”
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯০: সাহেবের বেশ না-পরে ফিরেছিলেন সাহেবের দেশ থেকে

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২৪: অপরাজিতা রাধারাণী

অক্রূরবাবু ধনী হলেও বিবাহের ব্যাপারে কিছু তাত্ত্বিক ধারণা নিয়ে চলেন, সেগুলো ‘বড়’ আর তথাকথিত স্বাভাবিক লোকজনের কাছে অসঙ্গত ঠেকে বটে, তাই শোনা যায়
“দেখুন অক্রুরবাবু, আপনার ওপর আমার অসীম শ্রদ্ধা হয়েছে। যা বলছি তাতে দোষ নেবেন না। আমি সামান্য লোক, শরীর বা মনের তত্ত্ব কিছুই জানি না। কিন্তু আমার মনে হয় আপনি যে পুং—হরমোনের কথা বলছেন তা হরেক রকম আছে। একটাতে দাড়ি গজায়, আর একটাতে গুঁতিয়ে দেবার অর্থাৎ আক্রমণের শক্তি আসে, আর একটাতে সর্দারি করবার প্রবৃত্তি হয়। তা ছাড়া আরও একটা আছে যা থেকে প্রেমের উৎপত্তি হয়। বোধ হচ্ছে আপনার সেইটের কিঞ্চিৎ অভাব আছে। আপনি কোনও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।”

অক্রূরবাবু স্বয়ং মনে করেন, “আমার সংসারযাত্রার আদর্শ এত বেশী র্যা শন্যাল যে কোনও স্ত্রীলোকই তা বরদাস্ত করতে পারেন না।”

তাই পাত্রী দেখতে গেলে তিনি পোটেনশিয়াল বধূকে বলেন,” কিন্তু তোমাকে কতকগুলো নিয়ম মেনে চলতে হবে। দু—এক গাছা চুড়ি ছাড়া গহনা পরতে পাবে না, শৃঙ্গী নখী আর দন্তী প্রাণীর মতন সালংকরা স্ত্রীও ডেঞ্জারস। নিমন্ত্রণে গিয়ে যদি নিজের ঐশ্বর্য জাহির করতে চাও তো ব্যাঙ্কের একটা সার্টিফিকেট গলায় ঝুলিয়ে যেতে পার। সাজগোজেও অন্য মেয়ের নকল করবে না, আমি যেমন বলব সেইরকম সাজবে। আর শোন—ছবি টাঙিয়ে দেওয়াল নোংরা করবে না, নতুন নতুন জিনিস আর গল্পের বই কিনে বাড়ির জঞ্জাল বাড়াবে না, গ্রামোফোন আর রেডিও রাখবে না। ইলিশ মাছ কাঁকড়া পেঁয়াজ পেয়ারা আম কাঁঠাল ত্যাগ করতে হবে, ওসবের গন্ধ আমার সয় না। পান খাবে না, রক্তদন্তী স্ত্রী আমি দু’ চক্ষে দেখতে পারি না। সাবান যত খুশি মাখবে, কিন্তু এসেন্স পাউডার নয়, ওসব হল ফিনাইল জাতীয় জিনিস দুর্গন্ধ চাপা দেবার অসাধু উপায়।”
আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৬৪: প্রজাদের আনন্দ, স্বস্তি, আশ্রয় রাম—তাঁর কাছে প্রজাদের আনুগত্যের স্থান কোথায়?

আলোকের ঝর্ণাধারায়,

অক্রূরবাবুর বিবাহ অভিযানের কাহিনী আপাতত এটুকুই থাকুক, পুরাণকথায় অক্রূরের হাত ধরে শ্রীকৃষ্ণ মাথুরলীলায় প্রবেশ করেন। আমাদের কাহিনির অক্রূর সবরকম গবেষণায় বিফল হয়ে অবশেষে দ্বারকাধামে জগদম্বা মাতাজীর শরণাগত হলেন। কিন্তু সে কথাও এখন নয়।

যতোই আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো ‘বড়’ একটা ভাবমূর্তি তৈরির জন্য যা যা প্রয়োজন, তা আপাতভাবে থাকলেও কোন্ এক রহস্যে ছোট হয়ে থাকাটাই ক্যাবলাদের ভবিতব্য হতে দেখা যায়, তাদের থিওরি আর মনস্তত্ত্ব যে ঠিক সামাজিক মানুষের ‘ছাব্বিশ ইঞ্চির’ মাপে আটকানো নয়, ক্রমে ক্রমে চারপাশটা দেখে দেখে এদের ক্যাবলামি ঘুচে যায়, ঠিক মাপে মাপে, খাপে খাপে, সুরে সুরে কথা বলতে শেখে তারা, শিখে নেয়, যোগ্যতমের উদ্বর্তনের সূত্র মেনে। আর যারা সেটা পারবে না তারা খাপছাড়া, অকেজো আর ক্যাবলা হয়ে বাঁচে। তাই অক্রূরবাবু অনায়াসে বলতে পারেন—
“কোনও জন্তু ক্যালরি প্রোটিন ভাইটামিন নিয়ে মাথা ঘামায় না। আমাদের গুহাবাসী পূর্বপুরুষরা জন্তুর মতনই কাঁচা জিনিস খেতেন, তাতেই তাঁদের পুষ্টি হত। সভ্য হয়ে সেই সদভ্যাস আমরা হারিয়ে ফেলেছি। এখন কাঁচা লাউ কুমড়ো অনেকেই হজম করতে পারে না, তাই আপনাকে দিই নি। আমি কিন্তু কাঁচা খাওয়া অভ্যাস করেছি, একটু একটু করে ঘাস খেতেও শিখছি।”

পরশুরামেরই আরেকটি গল্পে এক বিজ্ঞানী এমনটাই ভাবছিলেন না?

নিবারণ বলিল—‘একি বউদি, এত শাগের ঘণ্ট কার জন্যে রাঁধছেন?’

নিরুপমা বলিল—‘শাগ নয়, ঘাস সেদ্ধ হচ্ছে। ওঁর কত রকম খেয়াল হয় জানেন তো।’

নিবারণ। সেদ্ধ হচ্ছে? কেন, ননির বুঝি কাঁচা ঘাস আর হজম হয় না?

ননি বলিল—‘নিবারণ, ইয়ারকি নয়। পৃথিবীতে আর অন্নাভাব থাকবে না।’

নিবারণ। সকলেই তো প্রফেসার ননি বা রোমন্থক জীব নয় যে ঘাস খেয়ে বাঁচবে।

ননি। আরে ও কি আর ঘাস থাকবে? প্রোটিন সিন্থেসিস হচ্ছে ঘাস হাইড্রোলাইজ হয়ে কার্বোহাইড্রেট হবে। তাতে দুটো অ্যামিনো—গ্রুপ জুড়ে দিলেই ব্যস। হেক্সা—হাইড্রক্সি—ডাই—অ্যামিনো—

নিবারণ। থাক, থাক। হারমোনিয়মটা কি জন্যে?

ননি। বুঝলে না? অক্সিডাইজ করবার জন্যে। নিরু, হারমোনিয়মটা বাজাও তো।

নিরুপমা হারমোনিয়মের পেডাল চালাইল। সুর বাহির হইল না, রবারের নল দিয়া হাওয়া আসিয়া ডেকচির ভিতর বগবগ করিতে লাগিল।

নিবারণ। শুধুই ভুড়ভুড়ি! আমি ভাবলুম বুঝি সংগীতরস রবারের নল ব’য়ে ঘাসের সঙ্গে মিশে সবুজ—অমৃতের চ্যাঙড় সৃষ্টি করবে।”

কী বুঝলেন? বুঝলেন কি?

ঋণ:
অক্রূর সংবাদ, বিরিঞ্চিবাবা: রাজশেখর বসু
শিরোনাম হৈমন্তী শুক্লার বাংলা গান থেকে
—চলবে।
* ক্যাবলাদের ছোটবেলা (kyablader-chotobela): লেখক: ড. অভিষেক ঘোষ (Abhishek Ghosh) সহকারী অধ্যাপক, বাগনান কলেজ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগ থেকে স্নাতকস্তরে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত। স্নাতকোত্তরের পর ইউজিসি নেট জুনিয়র এবং সিনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ পেয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে সাড়ে তিন বছর পূর্ণসময়ের গবেষক হিসাবে যুক্ত ছিলেন। সাম্বপুরাণের সূর্য-সৌরধর্ম নিয়ে গবেষণা করে পিএইচ. ডি ডিগ্রি লাভ করেন। আগ্রহের বিষয় ভারতবিদ্যা, পুরাণসাহিত্য, সৌরধর্ম, অভিলেখ, লিপিবিদ্যা, প্রাচ্যদর্শন, সাহিত্যতত্ত্ব, চিত্রকলা, বাংলার ধ্রুপদী ও আধুনিক সাহিত্যসম্ভার। মৌলিক রসসিক্ত লেখালেখি মূলত: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়ে চলেছে বিভিন্ন জার্নাল ও সম্পাদিত গ্রন্থে। সাম্প্রতিক অতীতে ডিজিটাল আর্ট প্রদর্শিত হয়েছে আর্ট গ্যালারিতে, বিদেশেও নির্বাচিত হয়েছেন অনলাইন চিত্রপ্রদর্শনীতে। ফেসবুক পেজ, ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে নিয়মিত দর্শকের কাছে পৌঁছে দেন নিজের চিত্রকলা। এখানে একসঙ্গে হাতে তুলে নিয়েছেন কলম ও তুলি। লিখছেন রম্যরচনা, অলংকরণ করছেন একইসঙ্গে।

Skip to content