‘আ স্যুটেবল বয়’ ছবির একটি দৃশ্য।
আ স্যুটেবল বয়
১৯৫০-৫২ সালের ভারতীয় পটভূমিকায় লেখা বিক্রম শেঠের উপন্যাস ‘আ স্যুটেবল বয়’ ১৯৯৩ সালে প্রকাশ পেয়েছিল। সাড়ে ১৩০০ পৃষ্ঠার এই ইংরেজি ভাষায় লেখা বইটি এক খণ্ডে প্রকাশিত লম্বা ইংরিজি উপন্যাসগুলির মধ্যে অন্যতম। দেশভাগ ও স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের কয়েকটি উচ্চবিত্ত পরিবারের দিনলিপি জীবনযাত্রা ও কাহিনির মূলচরিত্রদের মানসিক বিশ্লেষণ ও পারিপার্শিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিত এই জনপ্রিয় উপন্যাসটির উপজীব্য।
কাহিনি শুরু হয় কাল্পনিক শহর ব্রহ্মপুরে। এর পাশে অবস্থিত গঙ্গা, পাটনা, ব্রহ্মপুর, কলকাতা, দিল্লি, লখনউ এবং অন্যান্য ভারতীয় শহরে কাহিনি আবর্তিত হতে থাকে।
১৯৫০ সাল। ১৯ বছর বয়সী লতা মেহরার দিদি, সবিতার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার প্রাণ কাপুরের বিয়ে। লতার মা, মিসেস রূপা মেহরা ছোটমেয়ে লতার বিয়ে নিয়েও সমান চিন্তিত। লতা এখনই বিয়েতে রাজি নয়। সে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে আরও পড়াশোনা করতে চায়। তবুও, লতার মা তাঁর বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিত আত্মীয়-অনাত্মীয় প্রায় সকলের কাছেই লতার জন্য সৎপাত্রের খোঁজ করতে থাকেন।
মুভি রিভিউ: ঐতিহাসিক পটভূমির ‘মহারাজ’ ছবিতে আমিরপুত্র জুনেদ নজর কাড়বে
গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-৪: যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, যাহা পাই তাহা চাই না?
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৭৪: রাজা দশরথ, রাম, লক্ষ্মণ, সীতা সকলেই কি এক একটি জীবনবোধের প্রতীক?
পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫২: হিতকারী মূর্খ বন্ধুর থেকে একজন পণ্ডিত শত্রু থাকা ভালো
মূল কাহিনি সঙ্গে সেই সময়কার রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে এসেছে মান কাপুরের গল্প, সে লতার জামাইবাবু প্রাণ কাপুরের ভাই। শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদ, রাজস্ব প্রতিমন্ত্রী মহেশ কাপুরের ছোট ছেলে মান কাপুর পার্থিব চাওয়া পাওয়ার বাইরে একটি রোম্যান্টিক বোহেমিয়ান ছেলে সে উর্দু কবিতার ভক্ত, ভারতীয় মার্গ সংগীতের অনুরক্ত। হোলি উপলক্ষে ঘরোয়া গানের অনুষ্ঠানে মান কাপুর গান শুনে বয়সে বড় সাঈদা বাঈয়ের অনুরক্ত হয়ে পড়ে। শহরে সাঈদা বাঈকে সকলেই চেনে জানে সে এক অতি পরিচিত বাঈজি। শহরের অনেক বড় মানুষজন তার কোঠিতে যাতায়াত করেন। সাঈদার প্রেমে অন্ধ মান কাপুর সেখানে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করে।
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৭৭: কথা কিছু কিছু
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৪৭: ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও?
এই উপন্যাসকে বিবিসি নিউজ তাদের ১০০টি সবচেয়ে অনুপ্রেরণামূলক উপন্যাসের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। টাইমস পত্রিকায় ড্যানিয়েল জনসন লিখেছেন এটি কেবল ইংরেজির দীর্ঘতম উপন্যাসগুলির মধ্যে একটি নয়, এটি গত শতাব্দীর শেষার্ধের সবচেয়ে অসাধারণ এবং বিস্ময়কর সৃষ্টি। জনসন বলেছেন বিক্রম শেঠ ইতিমধ্যেই তার প্রজন্মের সেরা লেখক হিসেবে প্রমাণিত। অন্যদিকে ইউজিন রবিনসন ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম সেরা সোভিয়েত সাহিত্যিক, আনা কারেনিনা ওয়ার অ্যান্ড পিস-এর মতো কালজয়ী রচনার স্রষ্টা লিও টলস্টয়ের সঙ্গে বিক্রম শেঠের তুলনা টেনেছেন। অবশ্যই সেটি রবিনসনের নিজস্ব মতামত। বইটি ২০১৪ সালের তালিকায় টেলিগ্রাফ ১০টি সর্বকালের সেরা এশিয়ান উপন্যাসের মধ্যে স্থান করে নিয়েছিল এই উপন্যাস।
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৩৩: মিলাডা—বিদেশিনীর হরফ
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৬: স্রোতস্বিনী পদ্মায় লাফিয়ে কবির কটকি চটি-উদ্ধার
তবে কাহিনীতে নায়িকার কলকাতা যোগ থাকলেও চরিত্রাভিনেত্রী তানিয়ার কোনও পূর্বপুরুষ মানিকতলায় থাকতেন কিনা সেটা জানা নেই। এই সিরিজ সম্প্রচারিত হয়েছিল বিবিসি ওয়ান চ্যানেলে। এখন দেখা যাবে নেটফ্লিক্সে।