রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

বর্ষাকালে সর্দি-কাশি ও গলার সমস্যা খুব সাধারণ। এই সময় এ ধরনের সমস্যা এখন বাড়িতে বাড়িতে। তাপমাত্রার ওঠা-পড়া ফ্লুয়ে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে গলা ব্যথা, জ্বর, ঠান্ডা লাগা, সর্দি, চোখ দিয়ে জল পড়া ইত্যাদি সমস্যার মতো বিভিন্ন উপসর্গও দেখা যায়।
সর্দি-কাশি এমনিতেই সংক্রামক ব্যাধি। খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আবহাওয়ার কারণে অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ায়। বর্ষাকালে বাচ্চা থেকে বড় প্রত্যেকেই জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, জ্বর, ঠান্ডা লাগা, সর্দি, চোখ দিয়ে জল পড়ার মতো সমস্যায় ভোগেন। তাই এই সময় বেশ কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ভীষণ জরুরি। এতে শুধু নিজে নয়, আশেপাশের লোকজনকেও সুস্থ রাখা যায়।
আরও পড়ুন:

দ্রুত ওজন ঝরাতে চান? সঙ্গী করতে পারেন ছোলাকে

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-৪: যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, যাহা পাই তাহা চাই না?

 

বর্ষাকালে পাতে কী কী রাখবেন?

 

হাইড্রেটেড থাকতে হবে

বর্ষাকালে তাপমাত্রার কারণে জল তেষ্টা কম পায়। তাই ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। ভালো ভাবে হাইড্রেটের থাকলে ঠান্ডা লাগা ঝুঁকি কমে। শ্বাসযন্ত্রও ঠিক মতো পরিচালিত হয়। এই সময় গরম যে কোনও পানীয় শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।
 

ইমিউন বুষ্টিং খাবার খেতে হবে

ইমিউনিটি বুস্টিং খাবার অর্থাৎ যে সব খাবারে ভিটামিন সি, জিঙ্ক এবং ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে তেমন খাবারই বেশি করে খেতে হবে। তা হলেই সর্দি-কাশির মতো সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কমলা, বা সাধারণ পাতিলেবুর খাবার যোগ করুন। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ মাশরুম এবং ডিমের কুসুমও খেতে হবে। জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার যেমন ওটস, কাজু এবং মুরগির মাংস খাদ্য তালিকায় রাখুন।

আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৭৪: রাজা দশরথ, রাম, লক্ষ্মণ, সীতা সকলেই কি এক একটি জীবনবোধের প্রতীক?

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫২: হিতকারী মূর্খ বন্ধুর থেকে একজন পণ্ডিত শত্রু থাকা ভালো

 

অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য যুক্ত খাবার

আনারস এবং বেদানা আন্টি-ইনক্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। আনারসে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য যুক্ত ব্রোমেলাইন পাওয়া যায়, যা কাশি উপশম করতে চমৎকার কাজ করে। অন্যদিকে বেদানার রস আন্টি-ইনফ্লেমেটরির পাশাপাশি আন্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। ফলে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
 

প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার

সাধারণ সর্দি এবং ফ্লুর লক্ষণগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রোবায়োটি রয়েছে এমন খাবারি ভালো। প্রোবায়োটিকের অন্যতম উদাহরণ হল দই।

আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫৯: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—কালি লতা ও পান লতা

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৫: বার্নার্ড শ ও শার্লটি—যদি প্রেম দিলে না প্রাণে/১

 

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম

ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম ভীষণ জরুরি। সর্দি-কাশির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। আবার সংক্রমণ এবং বিভিন্ন ভাইরাসে আক্রমণে হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায় ঘুমের ঘাটির জন্য।

আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৩৩: মিলাডা—বিদেশিনীর হরফ

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৬: স্রোতস্বিনী পদ্মায় লাফিয়ে কবির কটকি চটি-উদ্ধার

 

আরও যা খেতে পারেন

দুধের সঙ্গে সামান্য হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন।
তুলসীপাতা, আদা ও মধুর রস একসঙ্গে খেতে পারেন।
ইসদ উষ্ণ গরম জলে মধু দিয়ে খেতে পারেন।
আদা দিয়ে লিকার চা খেতে পারেন।
বাসক, তুলসী ও লবঙ্গ ইত্যাদি জলে ফুটিয়ে অল্প মধু দিয়ে খেতে পারেন।

প্রতিটি উপাদানে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই এদের মিশিয়ে খাওয়া ভালো। এই মিশ্রণগুলো অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। বর্ষাকালে সংক্রমণ থেকে মুক্তি দেয়, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে এবং হজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট। যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২।

Skip to content