শনিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৪


দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী।

ভারতীয় সিনেমায় অনবদ্য অবদানের জন্য জাতীয় পুরস্কার, পদ্মসম্মানে ভূষিত হয়েছেন বহু আগেই। ভারতীয় সিনেদুনিয়ায় অর্ধ শতাব্দীজুড়ে রাজত্ব করছেন মিঠুন চক্রবর্তী। এ বার ফিল্মি কেরিয়ারে অসামান্য অবদানের জন্য ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পাচ্ছেন মহাগুরু। এর আগে, বাঙালি হিসেবে ‘দাদাসাহেব-ফালকে’ পুরস্কার পেয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। আর এবার এই পুরস্কার পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুন চক্রবর্তী যে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন তা আজ সকালেই কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক ঘোষণা করেছে। আগামী ৮ অক্টোবর মিঠুনের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। ৮ অক্টোবর ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রবীণ অভিনেতাকে সম্মানিত করা হবে।
সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে অশ্বিনী বৈষ্ণ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে এই সুখবর শেয়ার করেন। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “মিঠুন দা’র অসাধারণ সিনেম্যাটিক সফর সব প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা। কিংবদন্তি অভিনেতাকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেকশন জুরি। ভারতীয় চলচ্চিত্রে মিঠুনজি’র অসামান্য অবদান রয়েছে।”

তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্রে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন মিঠুন। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ মহাগুরুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এর আগে বাংলা থেকে ২০১১ সালে শেষবার দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পেয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন:

মুভি রিভিউ: মামুটির মাল্টিস্টারার ছবি ‘সিবিআই ৫: দ্য ব্রেন’ গতানুগতিক থ্রিলার

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৭: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— রামবাণ ও পানি তাঙ্কি

‘দাদাসাহেব-ফালকে’ পুরস্কারের খবর শুনে কী বলেছেন মিঠুন চক্রবর্তী? এই পুরস্কারের কথা শুনে গলায় আবেগ মহাগুরুর। অভিনেতা বলছেন, ‘আমার কাছে কোনও শব্দ নেই। আমি খুশিতে কাঁদতে পারছি না, আবার হাসতে পারছি না। কলকাতার অন্ধ গলি থেকে উঠে আসা একটি ছেলে মুম্বইয়ে ফুটপাথে থেকে লড়ে আজ এই জায়গায় দাঁড়িয়েছে। আর তাকেই এই সম্মানে ভূষিত করলে সে কি বলবে কিছুই বলতে পারে না। এক কথায় আমি বাকরুদ্ধ। আমি এই সম্মান আমি উৎসর্গ করলাম আমার পরিবারকে এবং সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে থাকা অনুরাগীদের সবাইকে।’
আরও পড়ুন:

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫৯: শাসক বেকায়দায় পড়লেই প্রতিপক্ষকে সন্ধির প্রতিশ্রুতি দেয়, যদিও রাজনীতিতে সে সব মানা হয় না

পর্দার আড়ালে, পর্ব-৬২: সত্যজিৎ রায় রুপটান শিল্পীকে বলেছিলেন, উত্তমকুমারের কোনও মেকআপ করার

অভিনেতার শুরুর দিনগুলো নেহাত সোজা ছিল না। মিঠুনের ফিল্মি কেরিয়ারের শুরু ১৯৭৬ সালে। পরিচালক মৃণাল সেনের ‘মৃগয়া’ ছবিতে মিঠুনের অভিনয় জীবনে অভিষেক হয়। তবে বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে যথেষ্ট বেজায় বেগ পেতে হয় মহাগুরুকেকে। অভিনেতার চেহারা, গায়ের রং নিয়েও কটাক্ষ শুনতে হোয়েছে। কাজ চাইতে গেলেই বহু ছবি নির্মাতা মিঠুনের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তবে মিঠুন দমে যাননি। জেদের বশেই দর্শকদের কাছে প্রিয় ‘ডিস্কো ডান্সার’ হয়ে উঠেছিলেন মিঠুন।
আরও পড়ুন:

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৮: জোসেফ কনরাড ও জেসি কনরাড—আমি রূপে তোমায় ভোলাব না…/৩

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৮৪: ঝোপে-ঝাড়ে হায়েনা

কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব লিখেছেন, ‘মিঠুনদার সিনেমার সফর চিরকাল একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে। মানুষকে উৎসাহিত করবে। ঘোষণা করতে গর্ববোধ করছি যে, এ বছর দাদাসাহেব ফালকের সিলেকশন জুড়ি প্রবীণ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে তাঁর সিনেমার জগতে অসামান্য অবদানের জন্য দাদাসাহেব ফালকে সম্মান দেওয়া স্থির করেছে। আগামী ৮ অক্টোবর অভিনেতার হাতে তুলে দেওয়া হবে পুরস্কার।’
আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৮১: তথাকথিত পরিচয়হীন প্রতিভার মূল্যায়ন কী শুধুই সাফল্যের নিরিখে সম্ভব?

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৭: কী করে গল্প লিখতে হয়, ছোটদের শিখিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ

এ বছর পুজোতেই মুক্তি পাচ্ছে মিঠুন চক্রবর্তী অভিনিত ‘শাস্ত্রী’ মুক্তি পাচ্ছে। ছবিতে মহাগুরুর বিপরীতে দেখা যাবে দেবশ্রী রায়কে। এছাড়াও শাস্ত্রী’ ছবিতে দেখা যাবে সোহম চক্রবর্তী এবং সৌরসেনী মৈত্রকে।

Skip to content