রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ বধূমাতা জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর প্রতি সহৃদয় ছিলেন, তেমন নয়। জ্ঞানদানন্দিনী গড্ডলিকা প্রবাহে কখনও গা ভাসাননি। তাঁর দৈনন্দিন কার্যকলাপে, জীবনভাবনায় লক্ষ্য করা গিয়েছে প্রগতিশীলতার ছোঁয়া। আধুনিকতার আলো। সেসব বোধহয় মহর্ষিদেবের না-পসন্দ ছিল। শ্বশুরমশায়ের সঙ্গে পুত্রবধূর যে দূরত্বের সূচনা, তা দিনে দিনে প্রকট হয়ে উঠেছে। পরস্পরের মধ্যে দূরত্ব-বিরোধের আভাস পাওয়া যায় জ্ঞানদানন্দিনীকে লেখা সত্যেন্দ্রনাথের এক চিঠিতে। সত্যেন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘তোমার অন্য বাড়ীতে থাকার বিষয় কিছু স্থির করিতে পারিতেছি না… বাবামহাশয় ইহার মধ্যে বাড়ী আসিবেন, না জানি তাঁহার কি মত? আর তুমি ত পাঁচিধোবানির গলিতে কোন বাড়ী লইয়া থাকিতে পারিবে না … একটা ভাল স্থানে বাঙ্গলীটোলায় বাড়ী পাওয়া সহজ নহে।’

Skip to content