শান্তিনিকেতনে আশ্রম-বিদ্যালয়ের সূচনাকালে প্রায় কিছুই ছিল না। ঢাল নেই, তলোয়ার নেই, যেন যুদ্ধযাত্রায় চলেছে নিধিরাম সর্দার। থাকার মধ্যে ছিল শুধু সদিচ্ছা। এই সদিচ্ছার জোরেই কেমন করে পড়ানো উচিত, কী রকম হওয়া উচিত বিদ্যালয়ের পরিবেশ, ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক, তার একটা ‘মডেল’ তৈরি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, তখনও সেভাবে গড়ে ওঠেনি, তা সত্ত্বেও ওই বিদ্যালয়েই নিজের পুত্রকে পড়িয়েছিলেন তিনি। নিজের স্কুলজীবন সম্পর্কে তাঁর বিরক্তির শেষ ছিল না। ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে গোড়া থেকেই আপত্তি ছিল তাঁর।
এক সময় জোড়াসাঁকোয় স্কুল খুলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বাড়ির ছেলেমেয়েরাই পড়ত এই স্কুলে। সব মিলিয়ে দশ-পনেরোজন ছাত্র। তিনি নিজে পড়াতেন, মাস্টারমশায়ও রেখে দিয়েছিলেন। এই স্কুলেই রথীন্দ্রনাথের হাতেখড়ি হয়েছিল। শিলাইদহে বসবাসকালে পুত্রকন্যাদের রবীন্দ্রনাথ নিজে পড়াতেন। তাঁর কাছেই হয়েছিল পুত্রকন্যাদের চিরায়ত-সাহিত্যের পাঠ। বিদ্যাসাগর-মধুসূদনের রচনাসম্ভার পিতার কাছেই পড়েছিলেন, বুঝেছিলেন পুত্রকন্যারা। রথীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘আমাদের পড়াতে গিয়ে শিক্ষাপদ্ধতি সম্বন্ধে বাবার যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল, পরে শান্তিনিকেতনে তাঁকে তা খুব সাহায্য করেছিল।’
এক সময় জোড়াসাঁকোয় স্কুল খুলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বাড়ির ছেলেমেয়েরাই পড়ত এই স্কুলে। সব মিলিয়ে দশ-পনেরোজন ছাত্র। তিনি নিজে পড়াতেন, মাস্টারমশায়ও রেখে দিয়েছিলেন। এই স্কুলেই রথীন্দ্রনাথের হাতেখড়ি হয়েছিল। শিলাইদহে বসবাসকালে পুত্রকন্যাদের রবীন্দ্রনাথ নিজে পড়াতেন। তাঁর কাছেই হয়েছিল পুত্রকন্যাদের চিরায়ত-সাহিত্যের পাঠ। বিদ্যাসাগর-মধুসূদনের রচনাসম্ভার পিতার কাছেই পড়েছিলেন, বুঝেছিলেন পুত্রকন্যারা। রথীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘আমাদের পড়াতে গিয়ে শিক্ষাপদ্ধতি সম্বন্ধে বাবার যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল, পরে শান্তিনিকেতনে তাঁকে তা খুব সাহায্য করেছিল।’