রবিবার ১৭ নভেম্বর, ২০২৪


অসুস্থ সারদার জন্য বিশেষ ওষুধ পথ্যের ব্যবস্থা করা হল। ঠাকুরের মা চন্দ্রমণিদেবী তাঁর জীবনের শেষ বার বছর ছেলের কাছে থাকার জন্য দক্ষিণেশ্বরে গঙ্গাবাস করেন। তিনি তখন ওখানেই নহবতের ঘরে থাকতেন। এ বার সারদা নহবতে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ঠাকুর বাধা দিয়ে বলে উঠলেন, ‘না, না ওখানে ডাক্তার দেখাতে অসুবিধে হবে, এখানেই থাক’।

এই নহবত ঘরটি ছিল ভীষণ ছোট, সেখানে একজনেরই ভালোভাবে থাকতে অসুবিধে হয়। তাই ঠাকুরের ইচ্ছায় তাঁর ঘরেই সারদার জন্য আলাদা শয্যার ব্যবস্থা করা হল। একটি সঙ্গিনী মেয়েও তাঁর দেখাশোনার জন্য সঙ্গে থাকে। সারদা যখন এখানে আসেন, কালীমন্দিরের সকলের খাওয়া তখন হয়ে গিয়েছে। তাই হৃদয় দু’তিন ধামা মুড়ি নিয়ে আসে। পরদিন ডাক্তার আসে দেখতে। ঠাকুর নিজে ওষুধ থেকে সকল বিষয়ের তত্ত্বাবধান করায় তিন-চার দিনের মধ্যে সারদা সুস্থ হয়ে উঠলেন। সারদার বাবা রামচন্দ্রও জামাইয়ের বন্দোবস্ত দেখে খুশি মনে নিশ্চিন্ত হয়ে ক’দিন সেখানে থেকে জয়রামবাটি ফিরে গেলেন।

Skip to content