রবিবার ১৭ নভেম্বর, ২০২৪


ঠাকুর বাংলার ঘরোয়া সুস্বাদু খাবার খেতে ভালোবাসতেন। শুধু তাই নয়, সুস্বাদু রন্ধন প্রণালীও জানতেন। এর কারণ কামারপুকুর গ্রামের অন্দরমহলে তাঁর ছেলেবেলা থেকে অবাধ যাতায়াত ছিল। বিশেষ করে লাহাবাবুদের ঘরে। জমিদারের মেয়ে প্রসন্নময়ী তাঁকে খুব স্নেহ করতেন, ঠাকুরও তাঁকে দিদি ডাকতেন।

গ্রামের মহিলারা যাত্রাপালায় ঠাকুরের শিবসেজে ভাবাবিষ্ট অভিনয় বার বার দেখতে আর তাঁর স্বকণ্ঠে পালাগান শুনতে চাইত। ঠাকুরও তাদের ইচ্ছাপূরণ করতেন, বিনিময়ে লাহাবাবুর অন্দর থেকে হাতে তৈরি নানা মিষ্টি খেতেন। শুধু খেতেন না, পিতার মৃত্যুর পর কনিষ্ঠ পুত্ররূপে তিনি মায়ের কাছে সবসময় থাকতেন। মায়ের রান্না করা দেখে ছোট থেকেই অনেক কিছু শিখেছিলেন।

পরবর্তী সময়ে যখন তিনি ভৈরবীকে নিয়ে গৃহে আসেন। তখন নতুন বউ সারদাকে কি ফোড়ন দিলে রান্নার স্বাদ ভালো হবে, তা নিজে শিখিয়েছেন। কথার ছলে তাঁর বৌদি ও সারদার সঙ্গে ঈশ্বরীয় প্রসঙ্গ আর রসিকতাও করতেন।

Skip to content