খেজুরে রয়েছে প্রোটিন, পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি৬, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন সি এবং ডি। এই ভিটামিনগুলি ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন করতে অত্যন্ত উপকারী। খেজুরে এইসব পুষ্টিগুণ থাকার জন্য প্রতি দিন এটি খেলে চুল এবং ত্বক উজ্জ্বল থাকে। তাই সারা বছর শরীর ভালো রাখতে চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদেরা খেজুর খেতে বলেন। কিন্তু জানেন কি, রূপচর্চাতেও খেজুরের অবদান কম নয়? বলিরেখা দূর করতে, ত্বক টানটান ও সুন্দর করে তুলতে খেজুর অত্যন্ত উপকারী। খেজুরের গুণে চুলেও জেল্লা ফিরে পাওয়া সম্ভব।
ত্বক ও চুলের যত্নে খেজুরের জাদু
প্যাক
● খেজুর দিয়েও সহজে মুখের প্যাক তৈরি করা যেতে পারে। এর জন্য প্রয়োজন কয়েকটি খেজুর। এগুলি প্রথমে দুধে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর মিক্সিতে বা শিলনোড়াতে বেটে নিতে হবে। এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা মধু। মিশ্রণটি পরিষ্কার মুখে ব্যবহার করুন। এটি মুখে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে ত্বক হবে উজ্জ্বল এবং টানটান।
স্ক্রাব
● আমাদের ত্বকের উপরে মৃত কোষ জমে গিয়ে মুখের স্বাভাবিক জেল্লা কমিয়ে দেয়। এ জন্য দরকার এক্সফোলিয়েশন। তাই খেজুর দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন স্ক্রাব। শুকনো খেজুর সারা রাত দুধে ভিজিয়ে, বীজ ফেলে দিয়ে ভালো করে বেটে নিন। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন এক চামচ ওটসের গুঁড়ো। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল অত্যন্ত উপকারী একটি স্ক্রাব। এরপর মিশ্রণটি মুখে হালকা হাতে মালিশ করুন। ৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
প্যাক
● এছাড়া টক দইয়ের সঙ্গে জলে ভিজিয়ে রাখা কয়েকটি খেজুর বেটে নিয়ে চুলের প্যাক তৈরি করতে পারেন। পরিষ্কার চুলে মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। ১০-১৫ মিনিট রেখে খুব ভাল করে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল হয়ে গেছে উজ্জ্বল নরম এবং ঝলমলে।
চুলের যত্ন
● শুধুমাত্র ত্বক নয়, চুলের যত্নেও খেজুর সমান উপকারী। প্রথমে১০-১২টি খেজুর ২ গ্লাস জলে ফুটিয়ে নিন। জল ঠান্ডা হলে সেই জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। খেজুরের গুণে অনায়াসেই পেয়ে যাবেন নরম ও সুন্দর চুল।
পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখে
● ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর খেজুর ত্বক আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা দুধের সঙ্গে মেশালে তা আরও বেশি কার্যকর হয়ে ওঠে। আবার খেজুরের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণও বেশি। যা ফ্রি র্যাডিক্যালের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বকে প্রদাহের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখে এই খেজুর। অন্যদিকে পিএইচে হেরফের হলে ত্বকের অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে। ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে পড়তে পারে। তাই বাজার থেকে কেনা স্ক্রাব বা এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার না করে খেজুর দিয়ে তৈরি ঘরোয়া স্ক্রাব ব্যবহার করাই যায়।